আশা করি সবাই ভালো আছো।আমাদের সমাজে পুরুষদের মতো মেয়েরা এত স্বাধীন না।ছেলেরা যেইসব কাজ করতে পারে মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছু কিছু কাজে বাধা রয়েছে।আগে মেয়েদের শিক্ষার অধিকারও ছিলো না।কিন্তু তথ্যও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।যদিও এখন সবাই বলে ছেলেও মেয়ে সবার সমান অধিকার।কিন্তু প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছেলেরা যেই চাকরিগুলো করতে পারে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে।মেয়েদের পরিবার কোনসময় তা দিবে না।তাই আজকে মেয়েদের এমন একটা পেশার কথা বলবো,যেই টা মেয়েরা ঘরে বসে করতে পারে এবং এটা একেবারে স্বাধীন পেশা।আপনারা এতক্ষণে পোষ্টের শিরোনাম দেখে বুঝে গিয়েছেন আমি ফ্রিল্যান্সিং এর কথা বলছি।আজকে ফ্রিল্যান্সিং পেশাটা নিয়ে আমি মেয়েদের উদ্দেশ্য কিছু কথা বলবো।
ফ্রিল্যান্সিং শব্দটার অর্থ যেমন মুক্ত পেশা, আসলে এটার কাজও মুক্ত।মানে আপনি যখন ইচ্ছে কাজ করতে পারবেন যখন ইচ্ছে করবেন না।আর এটার সবথেকে ভালো দিক হলো আপনি যেখানেই থাকেন না কেন সেইখানেই করতে পারবেন।একটা ল্যপটপ বা ড্যক্সটপ তার সাথে ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে আপনি ঘরে বসেই বিশ্বের যেকোনো দেশের কাজ করতে পারেন।এবং বাংলাদেশে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ বেকার হয়ে চাকরির পিছনে ঘুরে বেরায়।চাকরির বাজার যেহেতু সিমিত তাই চাকরির পিছনে না ছোটে নিজে কোনো একটা বিষয়ে কাজ শিখে স্কিল ডেভেলপ করে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।এবং বাংলাদেশের চাকরি গুলো থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি একটু বেশি টাকায় ইনকাম করতে পারেন।আর এটা যেকোনো বয়সে যেকোনো পেশার মানুষই করতে পারেন।মেয়েরাও এখন বাসায় বসে ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা মাসে আয় করছে যা আমরা ইউটিউব বা ফেসবুকে ঘাটাঘাটি করলেই দেখতে পারবো।
আর সবথেকে বড় উদাহরণ হচ্ছে এই করোনা পরিস্থিতিতে যখন সবার ইনাকাম বন্ধ হয়ে গেছে তখন ফ্রিলান্সারদের ইনকাম আরও বেরে গিয়েছে।
তাই আমার মনে হয় মেয়েদের জন্য সবথেকে স্বাধীন পেশা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।
সবার শেষে একটা কথায় বলতে চাই,
ঘরে থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।