আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই?আশা করি সকলে যার যার পরিস্থিতিতে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আপনি কি জানেন শুধুমাত্র কথা শুনার অভাবে কত কত মানুষ প্রতিবছর আত্নহত্যার পথ বেঁছে নেয়?প্রত্যেকের লাইভে তাই একজন সত্যিকারের কথা শুনার মতো বন্ধুর খুব বেশি প্রয়োজন।কারণ বন্ধুর সাথে মানুষ তার ছোট বড় সমস্যা, সমস্যার সমাধান সব কিছু শেয়ার করতে পারে যা তার পরিবারের কারো সাথে পারে না।মানুষ চায় তার বন্ধু তাকে বিচার না করে তার পাশে থাকুক।তার ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর,বড় থেকে বৃহত্তর প্রায় প্রতিটি সমস্যায় যেনো তার বন্ধুকে তার পাশে পায়।বন্ধুর সাথে খুশি ভাগাভাগি করা ছাড়া যেমন খুশি অপূর্ণ লাগে ঠিক তেমনি দুঃখ ভাগাভাগি না করলে মনে হয় কষ্ট কমে না। বন্ধুদের নিয়ে ফানি স্ট্যাটাস
বন্ধুত্তের এই টানাপোড়নের দিক থেকে আমি খুব ভাগ্যবান।কারণ আমি এমন একজন বন্ধুরূপে মানুষ পেয়েছি যে আমার ছোটবড় সকল সমস্যার সমাধানক।আমার ছোট বড় খুশির অংশিদারক।আমার বিপদে আপদে পাশে থাকার মতো একজোড়া শক্ত হাত।সেই আর কেউ নয় আমার বন্ধু ফৌজি।তার কথা যা বলবো তা কম হবে।তার সাথে আমার পরিচয় কলেজে।কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে এসেছিলো আমাদের কলেজে।যেহেতু কলেজে তার কোন বন্ধু ছিলো না এমনকি এই কলেজে সে কাউকে জানতোনা তাই আমিই নিজে থেকে গিয়ে তাকে আমাদের গ্রুপে নিয়ে আসি।
আমাদের গ্রুপে চারজন মেম্বার ছিলো সে আসাতে পাঁচজন মেম্বার যুক্ত হলো। সে আসার পর থেকে আমাদের গ্রুপ আরো অধিক শক্তিশালী হতে লাগলো। সেই থেকে শুরু তারপর থেকে তার সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের হাজার রকমের স্নৃতি।আজ আমি আমাদের বন্ধুত্তের সেইসব মজার মজার স্নৃবিগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
###আমাদের কলেজটি ছিলো শহর থেকে খানিকটা দূরে পাহাড় ঘেরা মনোরোম পরিবেশে।তাই কলেজে যাবার একমাত্র বাহন ছিলো বাস।কিন্তু সেই বাসে সিট পাওয়া কি এত্ত সহজ।বাসটির সব থেকে লাস্ট স্টপেজ ছিলো আমার আর ফৌজির বাসার কাছে। তাই আমরা বাসে উঠতে উঠতে বাস পুরোপুরি ফুল থাকতো।সিট পাওয়া যেতোনা।তাই সবসময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাসে যাওয়া আসা করতে হতো।এতদূর যাত্রায় এটি খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিলো। তাই আমি আর ফৌজি ভাবতে লাগলাম কিভাবে কি করা যায়।তাই বুদ্ধি করে বাসের প্রথম স্টপেজ এ আসলে ওইখানে যে বান্ধবিরা উঠতো তাদের কল দিতাম। তারা খাতা বই দিয়ে আমাদের সিট রেখে দিতো। এরপর সারা কলেজ জীবনে এই নিয়ম অনুসরণ করেছি।এরপর থেকে আর কখনো দাঁড়িতে গিয়ে বাসে করে কলেজে যেতে হয় নি।
###একবার আমি আর ফৌজি কলেজে গিয়েছিলাম।হঠাৎ করে কলেজে গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস স্থগিতহয়ে গেলো।তাই ভাবতে লাগলাম ঘুরতে গেলে কেমন হয়।যেই ভাবা সেই কাজ।কিন্তু আমাদের কলেজের আশা পাশে যানবাহন পাওয়া খুব দুঃসাধ্য ব্যাপার৷ ছিল। তখন ভাবলাম যেতে হলো সেই ৮ কিলোমিটার হেটেই যেতে হবে।যেই ভাবা সেই কাজ হাঠা শুরু করলাম।হঠাৎ করে প্রিন্সিপালের গাড়ি দেখতে পেলাম।উনি দেখলে আমাদের শাস্তি দিবে এই ভয়ে পাহাড়ের পিছনে লুকালাম। উনিও আমাদের দেখতে পেয়েছিলেন। দেখতে পেতেছিলেন তার কলেজের কোন দুইজন শিক্ষার্থী কলেজ ড্রেস পড়ে বাইরে ঘুরাফেরা করছিলেন। তিনি আমাদের দেখা মাত্রই তার ড্রাইভার পাঠালেন আমাদের ধরবার জন্য। কিন্তু আমরা এতটা দূর পালিয়েছি ধরতেই পারলেন না😂😂😂😂।
###সবচেয়ে মজাদার ঘটনা ঘটলো আরেকদিন।কলেজে শেষ এ আমি আর ফৌজি আর রোজিনা বের হলাম।আমি আর ফৌজি কথা বলতে বলতে একটু আসতে আসতে হাঁটতে লাগলাম এইদিকে রোজিনা খুব দ্রুত হাঁটতে লাগলো।এক ছেলে তার বাইক খুব স্পিডে চালাচ্ছিলো। ছেলেটি রোজিনার দিকে ধেয়ে আসছিলো। পরে যদিও ব্রেক করে থেমে গিয়েছিলো। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো আমি আর ফৌজি রোজিনাকে বাঁচাবার বদলে একজন একজনকে ধরে রেখেছিলাম🤣🤣🤣🤣।আমাদের এই কান্ড দেখে ওপাশ থেকে রোজিনাও হেসে উঠছিল।
ঠিক এইরকম আরো নানান ধরণের ছোট বড় হাশি তামাশা হতো আমার আর ফৌজির গ্রুপে।সত্যিই এখনো মনে পড়ে কলেজের সেই হাসির এবং মজার দিনগুলোকে।আপনার যদি এমন বন্ধু থেকে থাকে তাহলে আপনি খুবই ভাগ্যবান।কারণ এখন যা করবেন।কয়েক বছর পর তা আপনার স্নৃতি হয়ে থাকবে আপনার ডায়রির পাতায়।ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন