রাশেদ সীমান্ত বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের নাটক জগতে তুমুল জনপ্রিয় ও খ্যাতি সম্পন্ন একজন অনভিনেতার নাম । তবে তাঁর অন্য একটি পরিচয়ও আছে তিনি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের মার্কেটিং ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত আছেন । সেই টেলিভিশন চ্যানেলের চেয়ারম্যানের জোরা জোরিতেই একট নাটকে অভিনয় করে বনে যান হিরো । তবে তিনি এখন নিজেকে একজন পূর্নাঙ্গ অভিনেতা হিসেবে দেখেছেন না । নিতিন নিজেকে একজন সিজনাল অভিনেতা হিসেবেই পরিচয় দিয়ে থাকেন । তবে তিনি অভিনয় জগতে খুব অল্প সময়েই যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তা অনেক অভিনেতা অনেক বছর অভিনয় করেও অর্জন করতে পারেননি । বরিশাল, ময়মনসিংহ সহ নানান আঞ্চলিক ভাষায় অভিনয় করে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন । তিনি অভিনয় জগত ও বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনে প্রবেশ করেন ‘যেই লাউ সেই কদু’ নাটকটির মাধ্যমে । বর্তমান সময়ে অস্লিল মিডিয়ার বাইরেও গিয়ে যে গ্রামিন পরিবেশ ও প্রকৃতির মাধ্যমে বিনোদনের মাধ্যম তৈরি করা যায় তিনি তাঁর অভিনয়ে তাই তুলে ধরেছেন। একান্নবর্তী পরিবারে বেড়ে উঠা রাশেদ সীমান্ত টঙ্গির শহীদ সৃতি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে এস এস সি পাস করেন । ২০০৬ সালে ঢাকা উত্তরা বয়েস কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন । তাঁর শৈসব এবং কৈশর কেটেছে টঙ্গিতে । বর্তমানে তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আক্তার এবং তাদের তিন বছরের সন্তানকে নিয়ে কাটছে তাদের সুখের সংসার । তিনি তাঁর জীবনের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চট্রগ্রামের ঢাকা ক্যাম্পাস থেকে অনার্স শেষ করে তিনি চাকরিতে জয়েন করেছেন । সেটা ২০১১ সালের কথা । তিনি পরিবারের বড় ছেলে অনেক দায়িত্ব তাঁর তাই চাকরিতে মনোযোগী হতে হয়েছে তাকে । তিনি তখন বৈশাখী টিভিতে মার্কেটিং সেকশনে কাজ করেন এবং ধীরে ধীরে তিনি অনুষ্ঠানের প্রিভিউ কমিটির সদস্য হন । যেখানে তাঁর কাজ ছিলো নাটক দেখা এবং পর্যবেক্ষন করা । এই নাটক পর্যবেক্ষন করতে গিয়ে তাঁর মনে হত এই যায়গায় এভাবে না করে অন্য ভাবে করলে ভালো হতো এমন উপলদ্ধি হত । তিনি বলেন, আমার মন্তব্য এবং পর্যবেক্ষন খেয়াল করতেন আমাদের ডিএমডি মিলন স্যার । তিনি ২০১৮ সালে আমাকে যেই লাউ সেই কদু নাটকে অভিনয় করতে বলেন । অভিনয়টি আমার কাছে চ্যালেঞ্জ মনে হলেও আমি এই চ্যালেঞ্জটি গ্রহন করে ফেললাম । আর তারপরের ইতিহাস সবারই জানা ।
তাঁর পর থেকে স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরতে থাকে তাঁর নাম । এবং নাটকে ভালো একজন অভিনেতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করতে থাকেন তিনি । ২০১৮ সালে ‘যেই লাউ সেই কদু’ নাটকে অভিনয় করলেও একই সালে ‘যেই লাউ সেই কদু -২ ও বউয়ের দোয়া পরিবন নাটকে অভিনয় করেন । গত রমজান ঈদে রাশেদ সীমান্তের কয়েকটি নাটক বেশ ভালো জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলো । তাঁর এই নাটকগুলো হল, বরিশাল টু ঢাকা, ভাবের দোকান, বউয়ের দুয়া-২ রাশেদ সীমান্তকে নতুন পরিচয় এনে দেয় ‘বরিশাল টু ঢাকা’ নাটকটি তাঁর মাঝে বধ্য রাতের সেবা নাটকের সি দৃশ্য যা লাখো মানুষের চোখে জল এনে দিয়েছে । আর তাঁর পর থেকে রাশেদ সীমান্ত এখন নাটকের বহুল আলোচিত ও জনপ্রিয় অভিনেতা ।
অসাবধানতাবশত গ্যাসের চুলা যেন আর না হয় মৃত্যুর কারণ
গ্যাসের চুলা থেকে আগুন লেগে দুর্ঘটনার কথা আমরা সবাই শুনেছি | সাধারণত আমাদের যাদের বাড়িতে গ্যাসের চুলা আছে তাদের অসচেতনতা...