আসসালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন । আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাই বাংলাদেশে বৈদেশিক বাণিজ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নে কতটুকু ভূমিকা রাখে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ফলে বাংলাদেশ নিজ দেশে উৎপাদিত পণ্য বিদেশের বাজারে বিক্রি করতে তথা রপ্তানি করতে পারে। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের তথা বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়ে। বৈদেশিক মুদ্রা আয় বাড়লে অর্থনৈতিক অন্যান্য খাতের উন্নয়নে ব্যয় করা যায়। বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির ফলে দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়। বিনিয়োগ বৃদ্ধির ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। বৈদেশিক বাণিজ্যের কারণে দেশে বিনিয়োগ বাড়ার সাথে সাথে কর্মসংস্থান বাড়ে।বৈদেশিক বাণিজ্য অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিত করে। বৈদেশিক বাণিজ্যের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নয়ন ঘটে। কাজেই বৈদেশিক বাণিজ্যের দেশীয় পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে । বাংলাদেশে প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ নয়। বৈদেশিক বাণিজ্যের সুযোগে প্রযুক্তির ও কারিগরি জ্ঞান আমদানি করে ব্যাপক জনশক্তির দক্ষতা বাড়ানো যায়। অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পারিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার গুরুত্বও কম নয়। বৈদেশিক বাণিজ্য বাংলাদেশের সাথে অপরাপর দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক কর্মক্ষম ও অদক্ষ বেকার শ্রমশক্তি রয়েছে। বৈদেশিক বাণিজ্য চালু থাকলে শ্রমশক্তির রপ্তানির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা যায়। এর ফলে বেকার সমস্যা কমার সাথে সাথে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়ে , জীবনযাত্রার মান বাড়ে।বৈদেশিক বাণিজ্য বাংলাদেশের কৃষি ও শিল্প উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সার কীটনাশক উন্নত প্রযুক্তির আমদানি ও ব্যবহার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করে।বৈদেশিক বাণিজ্য অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিত করে। তাছাড়া বিদেশি প্রযুক্তি ও পরামর্শ আমদানি করে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ ও বাড়ানো যায় যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের নিয়ামক ভূমিকা পালন করে। বৈদেশিক বাণিজ্যের ফলে বিদেশেে বাংলাদেশীর পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হয়। একটি দেশের অভ্যন্তরের সাধারণত বাজার কাঠামো একই থাকে এবং ক্রেতার রুচি ও পছন্দের মধ্যে তেমন পার্থক্য থাকেনা। কিন্তু বিভিন্ন দেশে বাজার কাঠামোর মধ্যে পার্থক্য থাকে। এজন্য অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের চরিত্র ভিন্নতর হয়, যা আলাদাভাবে আলোচনার দাবি রাখে। সাধারণত দেশের অভ্যন্তরে পণ্য সামগ্রী অবাধে চলাচল করে। কিন্তুু বিভিন্ন দেশের মধ্যে পণ্যসামগ্রীর আদান-প্রদানে সরকারসহ নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে । এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশ্লেষণের জন্য আলাদা তত্ত্বের প্রয়োজন পড়ে। আগামী দিন আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব। ধন্যবাদ সবাইকে।
The Mysterious Oarfish: The Deep-Sea Giant Shrouded in Myths
Oarfish are an enigma of the ocean. Known for their remarkable length, strange appearance, and elusive behavior, these pelagic fish...