বর্তমানে আমাদের সমাজে তরুণ প্রজন্ম বাইক চালানো একটা নেশা হয়ে গেছে। বিশেষ করে ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সী ছেলে গুলো বাইক নিয়ে মাস্তানি করে বেড়ায়। বাইক নিউ ফ্যাশন করতে গিয়ে তা মে কততা ঝুঁকির মধ্যে করতে হয় তা এ যুগের ছেলেরা ধারণা রাখে না। বাইক নিয়ে ক্যাপশন –
প্রতিবছর এ দেশে মোটরসাইকেল অ্যাক্সিডেন্টে মারা যায় অনেক মানুষ। যানবাহনের মধ্যে যত প্রকার অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বিপদজনক এক্সিডেন্ট বাইক এক্সিডেন্ট। নয়তো মৃত্যু হয় তো পঙ্গু। একটা সাজানো গোছানো জীবন চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায়। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও বাইক অ্যাক্সিডেন্ট হচ্ছে। পত্র-পত্রিকা চোখ রাখলেই এই ভয়াবহ খবর দেখতে পাওয়া যায়। অনেক পিতা মাতার আসেন তাদের আদরের ছেলেকে অল্প বয়সে মটর বাইক কিনে দেন। এটি মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত।
এই অল্প বয়সে বাইক কিনে দিলে ছেলেগুলো যদি এক্সিডেন্ট না হয় তবে তারা নানা ধরনের বিপদে পরিচালিত হয়। পড়ালেখা বাদ দিয়ে পাড়ায় পাড়ায় মাস্তানি করে ঘুরে বেড়ায়। মেয়েদের ইভটিজিং করে। এক বাইকে তিন,চারজন বসে হাইস্পিডে চলে যায়। একটু এদিক সেদিক হয়েছে তারা শেষ। একটি দুর্ঘটনা যেন সারা জীবনের জন্য কান্না। নিজের,পিতা মাতা স্বপ্ন এক নিমিষেই শেষ হয়ে যায়।
আমাদের উচিত পাড়ার ছেলেপেলে গুলোকে বাইক চালানো নিয়ে সতর্ক দেয়া। অনেক ছেলে আসে তারা বাইক ব্যবহারের সময় হেলমেট পরে না, ট্রাফিক আইন মেনে চলতে চায় না।
এই বিষয়গুলো নিয়ে এখনি সবারই সচেতন হওয়া দরকার। যারা এভাবে বাইক কিনে দেন আমি সমস্ত অভিভাবকদের অনুরোধ করবো, আপনারা আপনাদের সন্তানকে সবসময় খোঁজ রাখুন, কোথাও অযথা ঘুরে বেড়াচ্ছে কিনা, ছেলে মাদকাসক্ত হচ্ছে কিনা, কোন মেয়েকে ইভটিজিং করছে কিনা, খারাপ ছেলে মেয়েদের সাথে মিশছে কিনা এসব বিষয়গুলো সবসময় খোঁজ খবর রাখা দরকার।