বাস্তবিক অর্থে ভাইরাস হলো এক প্রকার অতিক্ষুদ্র জৈব কণা বা অণুজীব। এরা মূলত জীবিত কোষ এর ভিতরেই বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম। এরা অতি আণুবীক্ষণিক এবং অকোষীয়। ভাইরাসকে মূলত জীব বলা যাবে কিনা এ ধরনের মন্তব্য বিজ্ঞানীরা আদৌ করেছেন কিনা সন্দেহ। তবে এটা নিশ্চিত যে, সব বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে যে ভাইরাসকে আসলে জীব বলা যাবে কিনা?
এই পৃথিবীতে কিছু ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে বংশবৃদ্ধি করে যাদেরকে মূলত ব্যাকটেরিওফেজ বলা হয়ে থাকে।
ভাইরাসের শব্দগুলোকে বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন ভাবে বলা হয়। মূলত ভাইরাস একটি ল্যাটিন শব্দ যেটা ল্যাটিন ভাষা থেকে নেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে বিষ।
আগের কালের মানুষ রোগ সৃষ্টিকারী যে কোন বিষাক্ত পদার্থকে ভাইরাস বলে থাকতেন। এই আধুনিক যুগে ভাইরাস এর সংজ্ঞা ভিন্নভাবে দেওয়া যায়। বর্তমানে ভাইরাস বলতে এক প্রকার অতি ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক রোগ সৃষ্টিকারী কে বোঝায়।
উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা যায় ।এইসব মূলত সৃষ্টি হয়ে থাকে বিভিন্ন কারণে। এর মধ্যে ভাইরাস একটি প্রধান কারণ।বিভিন্ন উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রাণীর বিভিন্ন রোগ সৃষ্টির কারণ হচ্ছে ভাইরাস। যার কারনে কে জীবাণু না বলে বস্তু ও বলা যেতে পারে। কারণ জীব দেহ ডিএনএ, আরএনএ ও নিউক্লিক এসিড দিয়ে গঠিত, প্রোটিন তাই ভাইরাস অকোষীয়।
আজকের প্রথম পর্বে ভাইরাস কি এটা আমরা জানতে পারলাম। বিভিন্ন বিজ্ঞানী এটিকে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছেন। এর মধ্যে থেকে অন্যতম একজন ব্যক্তি যিনি হল্যান্ডের প্রাণরসায়নবিদ এডলফ মেয়র তামাক গাছের মোজাইক নামক ভাইরাস রোগ নিয়ে সর্বপ্রথম কাজ শুরু করেছিলেন। তাই আমার মতে,উনাকেই মূলত একটু বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
প্রাচীনকালের তুলনায় এখন ভাইরাসের রোগ নির্ণয় সহজ হয়ে পড়েছে। আধুনিক যুগে বিজ্ঞানীদের ক্লান্তি আর কষ্টের মাধ্যমে ভাইরাসের বিভিন্ন দিক মানুষের সামনে তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে।