“ভালোবাসা কায়দায় ফেলে নয় কোমলতায়”
পৃথিবীতে জীবন্ত যাদুকরী সুগন্ধি যুক্ত অলঙ্কার সমৃদ্ধ যদি কোন অপ্রতিদ্বন্দ্বী শব্দ থেকে থাকে সে আছে এক “ভালোবাসা “। আগুন দিয়ে পাথর গলানোর দৃষ্টতা না থাকলে ও পাথরের চেয়ে শক্ত হৃদয় কোমলতা দিয়ে গলানোর দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে অসংখ্য রয়েছে। জোর করে কাউকে কষিয়ে না নিয়ে কোমল কমল চিত্তে রশিয়ে নিলে মন যন্ত্রের জাঁতাকলে তাকে নিজের মধ্যে মিশিয়ে পিষেও নেয়া যায়। জোর করে ভালোবাসা হয় না।
এবং জোর করে কায়দায় ফেলে কাউকে দিয়ে কিছু করানোও যায় না। মনের আয়নায় ভালোবাসার ছায়া বিস্তৃত হলে এটি এমনি এক শক্তি যে, আত্মবিস্মৃতির কোণে তখন পাখির গানের মত, কবির কাব্যের মত অনায়াসে কারুকার্যময় রঙিন শিল্প পয়দা করে।কেননা মন এমন এক সত্তা যে, নিত্য নতুন অজস্র গুণ ও শক্তি সহ তাতে বিচিত্র বর্ণিয় রূপকর্ম এবং কল্প কথার সৃষ্টি করে। ভালোবাসার এক ফোঁটা মিষ্টি হাসি দিয়ে কেউ কারো জীবনের সব খুশিটুকু কেড়ে নেয়,কেউ বা আবার হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার অপ তৃষ্ণা মিটাতে বাঘের মত হিংস্র শিকারে উদ্ধত হয়ে ওঠে। কোমলতার দানে কোমলতাই লাভ করা যায়। কোমলতার দান ও তাঁর অর্জন কঠোরতা অপেক্ষা উত্তম উৎকৃষ্টতর হয়।
দৃশ্যত মধু পোকা যখন কোন ফুলে বসে তখন ফুলের অনুভূতি হয় সে আমার! মৌমাছি ফুল থেকে মধু গ্রহণ করে উড়ে যায় তাতে ফুল কখনও তার ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে না। আর সুন্দর এবং সৌম্যতা তো তাই যাতে কোমলতা বা, শালীনতা আছে। সর্প হয়ে কাউকে দংশন-ধ্ব়ংসন করা যায়, রেল পথের মিলন স্থলের মত তাকে নিয়ে জীবন জংশন করা যায় না। সর্পের মাথায় মহা মূল্যবান মণি থাকে,তবুও এ জগতের কেউ তাঁর সাথে বন্ধুত্ব করে না কারণ সে দুধ খেয়ে বিষ উগলায়।
আর এ জন্য গোটা মানব সমাজটাই আজ অসহায় এবং দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে প্রকৃত ভালোবাসা খোঁজ করছে। তাই প্রকৃত ভালোবাসা যদি কফিনে,কাফনে কিবা চিতায় পুড়ে ছাই হয়ে যেয়ে থাকে মানুষ মানুষের হয়ে মানব সম্প্রদায়ের মধ্যে পুনরায় সে ভালোবাসার সদ্ভাব সম্প্রীতি পুনর্জীবীত করতে হবে।ভালোবাসার অপব্যবহার আর দুর্দশার উষ্ণ অনলে আজ ব্যক্তি,পরিবার, সমাজ এমনকি গোটা পৃথিবীটাই অশান্ত।তাই সাম্য হারা অশান্ত এ পৃথিবীতে ভালবাসার সৌম্য সৌরভে সুরভিত করতে প্রত্যেককেই দরদ দেলে জাগতে হবে।
স্নেহময় ও প্রেমময় ভালবাসা সহকারে ক্ষমা সুন্দর মন নিয়ে পরষ্পরে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ প্রদর্শন করতে হবে।সহানুভূতি ও সহিষ্ণু মহানুভবতা অপেক্ষা সুন্দর বিনিময় আর কিছু নেই। তাই ভালোবাসার উপহার ভালোবাসা হতে পারে।ভালোবাসার বিনিময় এবং পরিণাম খুন, জখম, দংশন, ধর্ষণ, কিবা ধ্বংসন হতে পারে না। মানুষকে যদি সামাজিক জীব বলা হয় তবে ভালোবাসা তার প্রাণ শক্তি সম্পন্ন সজীব দেহ হওয়া উচিৎ নয় কী?”মতানৈক্য সহ ঐকতানের গেয়ে যাই সাম্যের গান, সবার উপরে মানব ধর্ম ভালোবাসা হোক তার প্রাণ।”