অনলাইন হোক বা অফলাইনে, যেকোনো মাধ্যমে আমরা কিছু অর্থ উপার্জন করতে চেয়ে থাকি। এক্ষেত্রে কেউ অফলাইনে বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত থাকে আবার কেউ অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন পেশার সাথে যুক্ত হয়। সত্যি বলতে কয়েক বছর আগেও ইন্টারনেট থেকে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি খুব বেশি একটা প্রচলন ছিলনা। কিন্তু বর্তমানে আপনি রিসার্চ করলেই দেখতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন মানুষ। তাহলে আপনি আমি কেন পিছিয়ে থাকবো।
যদি বিদেশে থেকে তারা লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে থাকে তাহলে এদেশে থেকে কি আপনি ২০-৩০ হাজার টাকাও আয় করতে পারবেন না? অবশ্যই পারবেন। মাসে ২০০০০ থেকে ৩০০০০ টাকা আয় করার কার্যকরী এবং সেরা দুটি উপায় আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। চলুন শুরু করা যাক।
মাসে ২০০০০ থেকে ৩০০০০ টাকা আয় করার উপায়:
১. ব্লগিং – Blogging
ইন্টারনেটে লং টাইম ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনি ব্লগিং এর দিকে মনোনিবেশ করতে পারেন। ব্লগিং এমন একটি সেক্টর যেখানে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন, জানতে পারবেন, অন্যকে শেখাতে পারবেন এবং পাশাপাশি আপনি নিজেও রোজগার করতে পারবেন। তাহলে প্রশ্ন ব্লগিং কিভাবে শুরু করবো?
ব্লগিং শুরু করার উপায়ঃ
দেখুন আপনার যদি যেকোনো বিষয়ে লেখালেখি করার মতো অভিজ্ঞতা থাকে তবে আপনি আজ থেকে শুরু করতে করবেন ব্লগিং। ব্লগিং আপনি দুরি প্লাটফর্ম দিয়ে শুরু করতে পারেন একটি হচ্ছে WordPress, যেটি একটি পেইড প্লাটফর্ম অন্যদিকে আরেকটি হচ্ছে Blogger যেটি ফ্রী।
আমার সাজেশন থাকবে একজন বিগেনার হিসেবে আপনি অবশ্যই ব্লগার প্লাটফর্ম দিয়ে শুরু করুন। এতে আপনার সুবিধা হবে। আসুন ব্লগার প্লাটফর্ম সম্পর্কে জেনে নেই কিছুটা।
Blogger.com এর সম্পর্কে বিস্তারিত
১. প্রথমত বলতে হয় Blogger হচ্ছে গুগলের নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার প্লাটফর্ম। যেকেউ ব্লগারে তার জিমেইল একাউন্ট এর সাহায্যে ২ মিনিটের কম সময়ে একটি সাইট তৈরি করতে পারে।
২. ব্লগার দিয়ে ব্লগিং শুরু করার ক্ষেত্রে আপনাকে কোনো টাকা পয়সা খরচ করতে হবে না, ব্লগারের হোস্টিং সম্পূর্ণ ফ্রী, আপনি চাইলে তাদের সাব ডোমেইন দিয়েও শুরু করতে পারেন।
৩. ব্লগারে কাস্টোমাইজেশন করাটা অনেকটাই সহজ যেটি একজন নতুন ব্লগারের জন্য বেশি কাজে দিয়ে থাকে।
৪. ব্লগার দ্বারা আপনি কম সময়ে একটি চমৎকার ব্লগ তৈরি করতে পারবেন এবং উক্ত ব্লগে এডসেন্স প্রোগ্রাম দ্বারা উপার্জন করতে পারবেন।
৫. ব্লগারে যদিও আমি সরাসরি আপনার ওয়েবসাইটের মালিক নন, যেহেতু ব্লগার গুগলের একটি নিজস্ব সার্ভিস কিন্তু তবুও এটি অনেকটা নিরাপদ একটি প্লাটফর্ম।
তাই দেরি না করে আজ থেকে Blogger দিয়ে ব্লগ তৈরি করে ব্লগিং শুরু করে দিতে পারেন।
২. ইউটিউবিং – YouTubing
ইন্টারনেটে টাকা ইনকাম করার মত আরো একটি বহুল প্রচলিত এবং জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে ইউটিউবিং। ইউটিউব এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনি ফ্রীতে ভিডিও বানানোর সুযোগ পাবেন পাশাপাশি টাকা ইনকাম করার মত সুবিধাও পাচ্ছেন।
তাহলে প্রশ্ন হলো ইউটিউবিং কিভাবে শুরু করবেন। তো আমি কয়েকটি পয়েন্ট নিচে আপনাদের বলছি, এই কয়েকটি ধাপে আপনারা শুরু করে দিতে পারেন নিজের ইউটিউব ক্যারিয়ার।
ইউটিউবিং শুরু করার উপায়ঃ
১. ইউটিউবে কাজ শুরু করার পূর্বে আপনি যাচাই করুন আপনি কোন টপিকে দক্ষ, আপনি যে টপিকে বেশি দক্ষ এবং আগ্রহী সেই টপিক নির্বাচন করুন ইউটিউবে ভিডিও বানানোর জন্য।
২. একটি টপিক বেছে নেওয়া হয়ে গেলে আপনি আপনার ভিডিও শুট করার জন্য একটি ক্যামেরা (ক্যামেরা না থাকলে মোবাইল), মোটামুটি লাইটিং সেটাপ ইত্যাদি বিষয়গুলো গুছিয়ে নিন।
৩. অতঃপর আপনি ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করে ভিডিও আপলোড করা শুরু করুন।
৪. প্রথম অবস্থায় আপনার ভিডিওতে তেমন ভিউ আসবে না, তাই সোসিয়াল মিডিয়া গুলোতে শেয়ার করতে পারেন। ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাবেন ইউটিউব এসইও এর ব্যাপারে সেগুলো দেখে ইউটিউব এসইও সম্পর্কে ধারণা নিন। এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে থাকুন।
৫. ইউটিউবে সফল হওয়াটা খুব একটা সোজা বিষয় নয়। তবে নিজের উপরে আত্মবিশ্বাস রেখে ভিডিও তৈরি করে যান, সফলতা একদিন অবশ্যই আসবে ।
শেষ কথা: আজকে আপনাদের মাসে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় বললাম, যেগুলো একটি বাস্তবিক উপায় বলা যায়। যদি ব্লগিং বা ইউটিউবিং থেকে আপনার কোনো একটি ভালো লাগে আপনি সে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় রিসার্চ , কনটেন্ট পড়ুন,দেখুন এতে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন। বেশি বেশি শিখতে পারলে আপনাদের ব্লগিং/ইউটিউবিং ক্যারিয়ার সফল হবে দ্রুত।