আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। এই পোস্টে মিন্নির বর্তমান অবস্থা নিয়ে আপনাদের কাছে হাজির হলাম । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
মিন্নির বর্তমান অবস্থা
আমরা রিফাত হত্যার ঘটনা কমবেশি সকলে জানি। রাস্তার মধ্যে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আর এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল রিফাতের স্ত্রী মিন্নি। মিন্নি তার প্রেমিক নয়ন কে সাথে করে নিয়ে তার হাজব্যান্ড রিফাতকে হত্যা করে। এই ধরনের ঘটনা শুধু সিনেমাতেই ঘটতে দেখা যায়। ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করে, নয়ন ও তার সহযোগীরা। হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নয়ন পুলিশের সাথে বন্দুক গোলাগুলিতে নিহত হন। আর মিন্নি এখনো জীবিত অবস্থায় জেলে আছে। আর আজকে আমরা জানবো মিন্নির এখনকার বর্তমান অবস্থান।
মিন্নির বর্তমান অবস্থা:-কারাগারে করে কেমন আছেন সেই মিন্নি। কি জানিয়েছেন তার পরিবার। কি জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। নিজের ভুলগুলো বুঝতে পেরে অনুশোচনা কারাগারে বসে বসে কি করছে। তার বিস্তারিত এখন জানতে পারবেন। আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। দর্শক বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুর দণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দীক মিন্নি। গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় মহিলা কারাগারে বন্দী আছে। হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘদিন নজরদারি রেখেছিল মিন্নির উপর পুলিশ। ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই পুলিশ থানায় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেন। এরপর মাঝে জামিনেও ছিলেন তিনি। পরে সে জামিন বাতিল করা হয়। সে সময় বরগুনা জেলা কারাগারে ছিলেন মিন্নি। তারপর তাকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়।
রায়ের পর তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে কারাগারে কেমন আছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি কারাগারে তিনি ভালই আছেন। কিন্তু তার পরিবারের দাবি কারাগারে মিন্নি ভালো নেই। পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে পারছেন না তিনি। মিন্নির বাবা জানান তার মেয়ের শরীরে নানা ধরনের অসুখ বাসা বেঁধেছে। মৃত্যুর দন্ডের বিরুদ্ধে আপিল করলেও, করনার কারনে উচ্চ আদালতের কার্যক্রম দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকায়, মামলাটির কার্যক্রম বন্ধ হয়েছিল। হত্যাকাণ্ড মামলায় প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন মিন্নি।
পরবর্তীতে তিনি হয়ে যান হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি। কারণ তার পরিকল্পনাতেই প্রেমিক নয়ন হত্যা করেছিলেন রিফাত কে করা মামলায় 2020 সালে ৩০ শে সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলা ও দাইরা জর্জ মিনি সহ ৬ জন কে ফাঁসির রায় দেয়। আদালতের রায়ের পর বরগুনা জেলা কারাগার থেকে নেয়া হয় কাশিমপুর মহিলা কারাগারে। সেখানে আছেন তিনি। মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন তার পরিবার। কারাগারের আইনজীবী জানান মিন্নি সেখানে সুস্থ আছেন। প্রতি সপ্তাহে পরিবারের সাথে কথা বলার সুযোগ রয়েছে মিন্নির। প্রতি সপ্তাহে মিন্নি পরিবারের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন।
পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।