এক সময়ে এক জঙ্গলে ছিল একটি শিয়াল। সে বোনের সব প্রাণীদের বোকা বানিয়ে তাঁর পেট ভরাতো। সেখান কার রাজা ছিল সিংহ। আর সে এই সব শিয়ালের অপকান্ড দেখে রাগে শিয়ালকে জঙ্গল থেকে বের করে দিল।
তারপর শিয়াল সেই জঙ্গল থেকে মনের দুঃখে বের হয়ে গেলো। এরপর সে গ্রামে গ্রামে পালিত পশু পাখি ধরে খেয়ে ফেলতো। আর গ্রামের লোকজন সেই শিয়ালটিকে ধরার কতই না চেষ্টা করেছে।
কিন্তু চালাক শিয়াল নামেই চালাক নয় কাজেও সে চালাকি করে গ্রামের হাস থেকে শুরু করে যত পালিত পশু পাখি সব খেয়ে তাঁর নিজের পেট পুজো করত।
সেই গ্রামের লোকজনেরা একাবার চালাক শিয়ালটিকে ধরার জন্য একটি ফাদ তৈরি করল। আর ফাদ তৈরির সময় সেখানে ঝোপের পাশে চালাক শিয়াল সব কিছু দেখে ভাবে আর হাশে ও বলে ওরে বোকা গ্রামের লোকজনেরা তোমরা এত বলদ। আর রাতে শিয়াল সেই ফাদ টপকে আবার তাঁর পেট ভরায়। আর গ্রামের লোকজন সকালে দেখে ফাদে চালাক শিয়াল নেই। তারপর চালাক শিয়াল আসতে আসতে গ্রামের সব পশু পাখি খেয়ে ফেলল।
এরপর চালাক শিয়াল সেই গ্রামের পশু পাখি না থাকায় অন্য গ্রামে জাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। কয়েকজন গ্রামের লোক বলাবলি করতেছিল পাশের গ্রামের অনেক মুরগি রয়েছে। আর লোকজনের মুখে এই কথা শুনে চালাক শিয়াল পাশের গ্রামে জাওয়ার জন্য রওনা দিল।
সেই গ্রামে পোঁছার পর রাতে একটি ঘরে মুরগি খেয়ে তাঁর পেট ভরালো। কিন্তু চালাক শিয়াল জানেনা যে, সে যার মুরগি খেয়েছে সেই মুরগির মালিক এক জন চালাক লোক ছিল। দিন হলো চালাক লোকটি তাঁর পালিত মুরগির ঘরে দেখে তাঁর কিছু মুরগি নেই। আর সে বুঝতে পারলো তাঁর মুরগি কেউ খেয়ে ফেলেছে।
তারপর রাতে সে ভাবে আবারো মুরগি খেতে কেউ আসতে পারে। তাই সে মুরগির ঘরের ঠিক দরজার সামনে একটি গর্ত ও তাতে সাপের বিষ কিছু কাটায় লাগিয়ে গর্তের উপরে হালকা পাতা ছিটিয়ে ঘরে চুপকরে শুয়ে থাকলো।
এরপর চালাক শিয়াল তাঁর রাতের খাবারের জন্য আবার সেই মুরগির ঘরে যাচ্ছিল। আর আসতে আসতে তাঁর পা মাটিতে ফেলে একটুকুও শব্দ না করে যেমনি মুরগির দরজার সামনে আসছে তখনি তাঁর পা দুটোই গর্তে পরে বিষাক্ত কাটা তালুতে ঢুকে গেলো আর চালাক শিয়াল পায়ের ব্যথায় চিৎকার করতে লাগলো।
তখনই চালাক মুরগির মালিক সেখানে উপস্থিত হয়ে গেলো। আর শিয়ালকে বলল, কি কেওন লাগে আমার পালিত মুরগিকে খাওয়ার পরিনিতি কেমন বুঝলি হতোচ্ছারা শিয়াল। এবার মরতে কেমন লাগে বুঝ ভালোভাবে।
তারপর চালাক শিয়াল মুরগির মালিককে বলল, দয়া করে আমাকে বাচাও আমি আর কারো ক্ষতি করবো না।
মুরগির মালিক ছিল খুবই দয়ালু একজন ব্যক্তি। চালাক শিয়ালের কান্না দেখে তাকে সাথে সাথে পাশের গ্রামের পশু হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল।
কিন্তু বিষাক্ত বিষ শিয়ালের শরীরে পুরোপুরি ছরিয়ে গিয়েছিল। ফলে হাসপাতালে পোছার আগেই চালাক শিয়াল মারা গেলো।
তো এই গল্প থেকে কি বুঝলে? অতি চালাকের গলায় দরি, তাই না!
ধন্যবাদ সকলকে।