প্রতিটা ভালোবাসার গল্পের ভিতরে থাকে ভালোলাগা, ভালোবাসা, দুষ্টুমি, খুনসুটি, হাসি-কান্না! > ছেলেটা ছিল শান্ত- সভ্য একটু নরম সে এতটাই লেখাপড়া মগ্ন থাকতো যে তার কোন দিকে মন থাকত না সে সারাদিন পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকত। একটা ভার্সিটিতে পড়তো কিন্তু একদিন সে হঠাৎ পড়ার টেবিলে বই নিয়ে পড়ছিল।
এমন সময় রাত ১০ টায় তার ফোনে আসলো টং করে একটা মেসেজ তখন সে মেসেজটা পড়ে দেখলো মেসেজের লেখা আছে Hi তখন সে ভাবল এই মেসেজটা আমাকে কে করবে । এমন কেউ নাই যে মেসেজ করবে কোন মেয়ের সাথে কথা বলে না তাহলে এই ম্যাসেজটা কে করলো।
সে কোন রিপ্লাই দিলো না পরের দিন ঠিকই একই সময়ে আবার সেই ম্যাসেজটা আসলো Hi সেই পূর্বের নাম্বার থেকে তখন সে ফোনটা নিয়ে তাকে একটা রিপ্লাই দিলো Hello তখন সে অপর পাশ থেকে মেসেজ আসলো আপনার নাম কি? ছেলেটা তখন বলল আমার নামটা কেন বলব আপনাকে।
আপনি কে সেটা আগে বলুন তারপর ওপার থেকে বলল আমার নাম ( জ্যোতি জাহান) তখন ছেলেটা ভাবলো এই নামে সে তো কাউকে চেনে না। মেয়েটা বল্লো আমার ভাল কোন ফ্রেন্ড নাই এখন থেকে তুমি আমার বেস্ট বন্ধু। তোমার নাম কি বললো মেয়েটা। ছেলটা বললো তার নাম (সাগর হাসান সাহেদ)!
পরের দিন থেকে মেয়েটা তাকে ঠিক একই সময়ে রাতে মেসেজ করত ছেলেটা এই বিরক্ত হতে হতে ছেলেটা একদিন তার মেসেজে ঠিকঠাক সবগুলো রিপ্লে দিতে থাকলো। এক সময় ছেলেটা তার পড়াশোনার মনোযোগ আর রাখতে পারল না। মেয়েটার সাথেই প্রতিদিন একই সময়ে রাতে মেসেজ করতে থাকলো।
মেসেজ করতে করতে একদিন সে জানতে পারল সেই মেয়েটা ও সে একই ভার্সিটিতেই অন্য ডিপার্টমেন্টে পড়ে। কিন্তু ভাগ্য তাদের কখনো দেখা হয়নি ছেলেটা বলল তোমার সাথে আমি দেখা করবো মেয়েটা বলল তোমার সাথে আমি দেখা করব তবে কিছুদিন পর। এভাবে তারা মেসেজ করতে করতে একে অন্যের প্রতি ভালোবাসায় প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেল। ছেলেটা প্রতিদিন মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করত কিন্তু এখন সে পড়াশোনা আর করেনা মনোযোগ দিয়ে প্রেম রোগে ভুগছে ও এসএমএস করতে থাকে।
কিন্তু একদিন মেয়েটা বলল আমি না তোমাকে দেখবো তুমি না আমার কালকে দেখতে আসবা। তখন ছেলেটা বলল-আমি না আজকে একটু ব্যস্ত আছি কাল সকালে তোমার সাথে দেখা করব। মেয়েটা তখন বলল ঠিক আছে জানু আমরা কালকে দেখা করবো। আগামি কাল তারা একে অন্যকে দেখবে দুজনার মনে একটা ঝড় চলছিল প্রেমের বাতাসে। অন্যদিনের মতো রাতে ১০টায় একই সময়ে মেয়েটার এসএমএস-এর জন্য অপেক্ষা করেছিল ছেলেটা কিন্তু কোন এসএমএস আসলো না।
ছেলেটা কোন এসএমএস করল না। পরে ১১ সময়ে রাতে ছেলেটা পড়ার টেবিলে বসে মেয়েটার এসএমএস-এর জন্য অপেক্ষা করল এসএমএস আসলো না। এভাবে রাত ১ ট ২ টা কোন এসএমএস করল না মেয়েটা। কিন্তু ছেলেটা এসএমএস করল রাত ২ টা পর পরে তবে কোন সাড়াশব্দ পায় না। এটা বলে রাখা ভাল তাদের সাথে কখনো ফোনে কথা হয়নি শুধুমাত্র এসএমএসে কথা হতো।
রাত ৪ টার পর তাকে একবার কল দিলো প্রথমবার তখন মেয়েটার নাম্বারটা বন্ধ ছিল। তারপর আবার কোন সাড়াশব্দ নেই এসএমএস নাই। মেয়েটা সকালে এলো না দেখা করতে এসএমএস দিলোনা। ছেলেটা মনে হচ্ছিল মেয়েটা ধোকা দিয়েছে মনের ভিতরে কিন্তু মেয়েটার জন্য কাদছিল। মেয়েটা তাহলে আমাকে ভালোবেসে ছিলোনা মেয়েটা সত্যি তাহলে আমাকে ধোঁকা দিল। পরের দিন ছেলেটা এক বন্ধুর থেকে জানতে পারলো ভার্সিটির এক মেধাবী ছাত্রী গতকাল সন্ধ্যার সময় রোড অ্যাকসিডেন্টে মারা গেছে ছেলেটা ছুটে গিয়ে তাকে দেখলো।
তখন ছেলেটা আশেপাশে কয়েকজন কে জিজ্ঞাসা করল যে এই মেয়েটা যে ফোন ব্যবহার করত সেই ফোনটা কোথায়। তখন একজন ইস্টুডেন্ট বলল তার ফোনটা প্রিন্সিপালের কাছে আছে। তখন ছেলেটা দৌড়িয়ে প্রিন্সিপালের কাছ থেকে ফোন নিয়ে দেখল তার নম্বর টা (মিষ্টার বর) নামে মেয়েটার ফোনে সেভ করা আছে। আর ইনবক্সে সেই রোমান্টিক ভালবাসার এসএমএস যেটা প্রতি রাতে মেয়েটা লিখতো।।♪♥♥♥