পাখি পোষা অনেকেরই অন্যতম শখ। আজকাল প্রায় সবার বাড়িতে পাখি পোষতে দেখা যায়। কবুতর, টিয়া, ময়না এদের মধ্যে অন্যতম। কবুতরসহ অন্যান্য পোষা পাখিকে সুস্থ্য রাখার কিছু টিপস শেয়ার করছি।
১। কবুতরের বাসস্থান খোপ ও খোপের আশপাশ ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে। কারন, কবুতরের সুস্থ্যতায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কোন বিকল্প নাই।
২। পানি পান করার জন্য সব সময় পরিষ্কার পাত্রে পরিষ্কার খাবার পানি দিবেন। পরিষ্কার পানি পানে কবুতর বেশি সুস্থ্য থাকে।
৩। বাজার থেকে কেনা খাবার ভালোভাবে ঝেড়ে রোধে ও সঠিক তাপমাত্রায় শুকিয়ে খেতে দিবেন। তাহলে কবুতরের খাবারে বদ হজম হওয়ার সম্ভাবনা কম।
প্রাকৃতিক কিছু জিনিস দিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়ঃ
১। মাসে কমপক্ষে তিন থেকে চার দিন এক লিটার পরিষ্কার পানিতে সামান্য ভিট লবন মিশিয়ে দিবেন। এতে কবুতরের পেটে গ্যাস জমা হবেনা। সেই সাথে কবুতরের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ লবনের ঘাটতি কমে যাবে।
২। কবুতরের শরীরের এন্টিবডি বাড়াতে তিন থেকে চার কোয়া রসুন ভালোভাবে ভেটে পরিষ্কার পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াবেন। মাসে তিন থেকে চার দিন খাওয়াবেন। টানা তিন চার দিন না খাইয়ে সপ্তাহে এক দিন করে খাওয়ালে ভালো কাজ হবে।
৩। এক লিটার পরিষ্কার পানিতে একটি লেবুর চার ভাগের এক ভাগ রস ভালো ভাবে মিশিয়ে দিন। মাসে ৩ থেকে ৪ দিতে পারেন। এতে করে কবুতরের স্বাস্থ্যে অনেক উপকার পাবেন।
৪। মশলা জাতীয় পন্য দারুচিনি গুড়া করে তিন থেকে পাঁচ গ্রাম পরিমান আগের দিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন দিতে খাওয়াবেন। মাসে তিন থেকে চার দিন দিবেন। এটা এন্টি অক্সিডেন্টের কাজ করবে। এই পানীয় কবুতরকে কেংকার রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে।
৫।।কাঁচা হলুদ ভেটে বা ব্লেন্ড করে এক লিটার পরিষ্কার পানির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে মাসে অন্তত তিন-চারদিন দিন দিতে পারেন। এতে শরীরে এন্টি বায়োটিকের ভালো কাজ করবে।
৬।। অতিরিক্ত গরমের সময় ভেটেনারি স্যালাইন গুলে খেতে দিবেন। ভেটেনারি পাওয়া না গেলে মানুষেরটাও দিতে পারেন। সপ্তাহে এক দিনের এতে বেশি দিবেন না। ভেটেনারি বেশি ভালো। কারন গ্লুকোজ থাকে।
৭। অ্যাপল সিডার ভিনেগার এক লিটার পানিতে দুই থেকে তিন মিলি মিশিয়ে মাসে তিন চার দিন খাওয়াবেন।
৮। ভিটামিন-বি জাতীয় ওষুধ প্রতি মাসেই দিবেন তাহলে টাল রোগ হবেনা।
*** আরও বিস্তারিত জানতে প্রাণী চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে পারেন।