একজন শিক্ষার্থী আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক। দেশকে নেতৃত্ব দিতে হলে সেই শিক্ষার্থীকে ছাত্র জীবন থেকেই তিলে তিলে গড়ে তুলতে হবে নিজেকে।অনেক শিক্ষার্থীই ছাত্র জীবন থেকেই তার ভবিষ্যৎ নিয়ে তেমনি বেশি চিন্তা ভাবনা করেন না।হেসে খেলে কাটিয়ে দেয় তার শিক্ষাজীবন। যার ফলশ্রুতিতে তার নিজের ভবিষ্যৎ জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে সবচেয়ে বেশি। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার ভবিষ্যৎ জীবনের পরিকল্পনা করতে হবে ছাত্রজীবন থেকেই।
ছাত্র অবস্থায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নিজেকে সবার থেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করতে হবে।নিজেকে একজন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে আজ এখন থেকেই। ছাত্র অবস্থায় থেকে নিজেকে বিভিন্ন কর্মকান্ডের সঙ্গে সংযুক্ত রাখতে হবে। নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর উপর কাজ করতে হবে। কারণ আজকাল শুধুমাত্র ফলাফলের উপরই ভালো চাকরি পাওয়া নির্ভর করে না।চাকরি পাবা তাই অনেকটাই নির্ভরশীল ভালো স্কিলের উপর। যার স্কিল যত ভালো তার ভালো চাকরি পাবার সম্ভাবনা ঠিক ততটাই বেশি। ছাত্র অবস্থায় থেকে কিছু কিছু স্কিল রপ্ত করে নিজেকে গড়ে তুলুন ভবিষ্যৎ জীবনের কান্ডারি হিসেবে।
১.সফটওয়্যারে দক্ষতাঃ
আপনি যদি ছাত্র অবস্থায় থেকে বিভিন্ন সফটওয়্যার যেমন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল, মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট ইত্যাদি ওয়েবসাইটে দক্ষতা অর্জন করে থাকলে তাহলে আপনার কর্মজীবন হয়ে উঠবে মসৃণ।
২.এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভেটিসঃ
ছাত্র অবস্থাতে নিজেকে শুধুমাত্র পড়াশোনার মায়াজালে আবদ্ধ রাখবেন না।বরং পড়াশোনার বাইরে বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটিস নিজেকে যুক্ত রাখুন।যা একসময় ভবিষ্যতে আপনার স্কিল হিসেবে কাজ করবে।
৩.নেটওয়ার্ক তৈরিঃ
ছাত্র অবস্থায় থেকেই সকলের সাথে ভালো যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন।যা আপনার ভবিষ্যৎ জীবনের নেটওয়ার্ক বিল্ডআপ করতে দক্ষ ভূমিকা পালন করবে।
৪.নিজের লক্ষ্য সেট করুনঃ
নিজের একটি লক্ষ্য সেট করুন। সেই লক্ষ্যকে পাওয়ার জন্য সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কিভাবে দূর করবেন ছাত্র অবস্থা থেকেই তার একটি তালিকা তৈরি করুন।
৫.উন্নতমানের সিভিঃ
নিজেকে উপস্থাপন করতে একটি উন্নতমানের সিভির বিকল্প নেই। তাই একটি সিভি তৈরি করুন ছাত্র অবস্থা থেকেই। যা পরবর্তীতে সময়ের সাথে সাথে আপডেটেড করুন।
৬.পরামর্শ মেনে চলুনঃ
নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে বড়দের পরামর্শ মেনে চলুন।কারণ তারা আপনাকে সাহায্য করবে কিভাবে আপনি আপনার লক্ষ্যকে জয় করতে পারবেন।
৭.ডিজিটাল ওরিয়েন্টশনঃ
বর্তমানে মানুষ তার সোশ্যাল মিডিয়াতে সব থেক্ব বেশি একটিভ। তাই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্ট এমনভাব্ব তৈরি করুন যাতে আপনার প্রোফাইল দেখেই মানুষের সম্যক ধারণা তৈরি হবে।
আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থী নিজেদের ভবিষ্যতে উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গঠনে সমর্থ হবে।