আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা।আশা করি ভালো আছেন।আমাদের এই পৃথিবীর বায়ুমন্ডল ক্রমশ দূষিত হয়ে চলেছে।যার ফলে বেড়ে যাচ্ছে শ্বাসকষ্ট সহ ফুসফুস জনিত রোগ।এখন অনেকেরই শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে।অনেক চিকিৎসা করেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়না।অনেক টাকা পয়সা খরচ করেও যখন ভালো ফলাফল পাওয়া যায়না আমি তখন হাজির হলাম প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া কিছু চিকিৎসা নিয়ে।
১/মধুঃআমরা জানি মধু এমন একটি খাদ্য উপাদান যার মধ্যে অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ কারী ক্ষমতা আছে।শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের চিকিৎসায় মধু বহুকাল ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে।গবেষণায় জানা গেছে যে দিনে ৩ বার ১ গ্লাস গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করলে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের বিপরীতে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
২/পেয়াজঃএতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এন্টি ইনফ্লোমেটোরি উপাদান যা শ্বাসকষ্টের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে।এক্ষেত্রে শুধুমাত্র কাচা পেয়াজই শ্বাসকষ্ট রুখতে পারে।অন্য কোন ভাবে খেলে সেক্ষেত্রে কাজে আসেনা।
৩/রসুনঃরসুন মূলত ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।এক্ষেত্রে হাফ কাপ দুধে পরিমাণ মতো রসুন দিয়ে তা গরম করে খেয়ে নিলে তা শ্বাসকষ্ট কমতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
৪/কফিঃনিয়মিত কফি পান করলে শ্বাসনালী অধিক পরিমাণে খুলে যায়।ফলে শ্বাসকষ্ট থাকলেও শ্বাস প্রশ্বাস কাজ করে ভালো ভাবেই।তাই শ্বাসকষ্টের প্রতিকারে প্রতিদিন এক কাপ কফি খাওয়া যেতেই পারে।
৫/সরিষার তেলঃসরিষার তেল শরীরের রেসপিরেটারি প্যাসেজ খুলে দেয়।ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট কম হয়।এই চিকিৎসা টি গ্রাম বাংলায় বহুল ভাবে প্রচলিত।শ্বাসকষ্ট হলেই একটু তেল গরম করে বুকে,পিঠে ও গলায় মালিশ করতে থাকুন।আশা করি ধীরে ধীরে শ্বাসকষ্ট কমে যাবে।
৬/ডুমুরঃঃডুমুরের মধ্যে এমন এক ধরনের উপাদান বিদ্যমান যা ফুসফুসের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।স্বাভাবিক ভাবেই ফুসফুস ঠিকভাবে কাজ করলে শ্বাস প্রশ্বাস ও স্বাভাবিক হবে।এক্ষেত্রে রাতে দুই থেকে তিনটি ডুমুর পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন এবং পরের দিন সকালে খালি পেটে ডুমুর ও পানি একসাথে পান করবেন।আশা করি ভালো প্রতিদান পাবেন।
এই গেলো শ্বাসকষ্টের প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া কিছু চিকিৎসা।শ্বাসকষ্ট মূলত শ্বাসনালী,ফুসফুস ও হৃদপিন্ড জনিত রোগ।এ রোগ প্রতিকারের জন্য এই ৩ টির সঠিক যত্ম করতে হবে।নিয়মিত ফুসফুসের ব্যায়াম করতে হবে।ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা পরিত্যাগ করতে হবে।নিয়মিত ইনহেলার ব্যাবহার করাও যেতে পারে।তবুও যদি ভালো কোন ফলাফল না পান তাহলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।শ্বাসকষ্ট বংশগত ভাবেও হতে পারে।হৃদপিন্ডে ছিদ্র বা সমস্যা থাকার কারণেও হতে পারে।যদি হৃদপিন্ডের সমস্যা জনিত কারণে হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সব করতে হবে।ধন্যবাদ।