আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় ব্যক্ত করি সবসময়।
চলে এসেছে এসাইনমেন্ট সিরিজের। সকল ক্লাসের এসাইনমেন্ট পেতে চোখ রাখুন গ্রাথরে। এসাইন্টমেন্ট সিরিজের ধারাবাহিকতায় আজ নিয়ে এসেছে সপ্তম শ্রেণীর হিন্দু ও নৈতিক শিক্ষা এসাইমেন্ট। আশা করি আপনাদের উপকার হবে।
প্রশ্ন:ঈশ্বর এক অদ্বিতীয় ও নিরাকার। তবে সব সাকার রূপ এক ঈশ্বরের ভিন্ন ভিন্ন। প্রকাশ। যুক্তি বিশ্লেষণ পূর্বক ব্যাখ্যা কর।
উত্তর;”ঈশ্বর এক ,অদ্বিতীয় ও নিরাকার। তবে সব সাকার রূপ একই ঈশ্বরের বিভিন্ন প্রকাশ “- নিচে উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ করা হলো :
ঈশ্বর অর্থ প্রভু। তিনি সর্বশক্তিমান ও শ্ৰেষ্ঠ। তিনি সব কিছুর নিয়ন্তা। জীব জগতের উপর তিনি তিনি প্রভুত্ব করেন বলে তাকে ঈশ্বর বলা হয়। তিনিই সকল শক্তি ও গুনের আধার। তার আদি নেই তাই তিনি অনাদি। তার অন্ত নেই তাই তিনি অনন্ত। তার বিনাশ নেই তাই তিনি অবিনশ্বর। তাই নিজেকে নিজেই সৃষ্টি করেছেন ,তাই তাকে সযন্ত বলা হয়। ঈশ্বরকে পরমশর নামেও ঢাকা হয়। তিনি জগতের পালনকর্তা ,সৃষ্টিকর্তা ও ধ্বংসকর্তা। তাই জীবের মধ্যে আত্নরূপে অবস্থান করেন। ঈশ্বরের অনন্ত গুন্ ,অনন্ত রুপ ,অনন্ত ভাব এবং বিচিত্র তার লীলাখেলা। জ্ঞানীর কাছে তিনি ব্রক্ষ ,যোগীর কাছে তিনি পরমাত্মা ,ভক্তের কাছে তিনি ভগবান। হিন্দুধর্মের বিশেষ একটি বৈশিষ্ট হলো ঈশ্বর্তত্ব। এই বৈশিষ্ট দ্বারা বুঝানো হয়েছে ঈশ্বর নিরাকার। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তবে তিনি প্রয়োজনে সাকার রূপ ধারণ করতে পারেন। সাকার রূপ ধরে তিনি পৃথিবীতে অবতীর্ণ হউন। তবে তাকে অবতার বলা হয়। যখনি ধর্মের গ্নানি উপস্থিত হয় তথ্য অন্যায় অবিচারে বিপর্যস্ত হয় মানবজীবন এবং অভভুথান ঘটে তখন। ঈশ্বর কোন না কোন রূপ ধারণ করে করতে পারেন।
বিভিন্ন দেব দেবী ঈশ্বরের ক্ষমতা প্রকাশের রূপ মাত্র। এই এক ঈশ্বরকে আমরা বিভিন্ন নাম আখ্যায়িত করে থাকি। নিরাকার। অর্থাৎ দেব দেবীর ঈশ্বরের এক বিশেষ গুন্ বা শক্তির সাকার রূপ।
ধন্যবাদ সবাইকে। সামনে নতুন কোনো টপিক নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন