আত্মউন্নয়ন শব্দটির অর্থ হলো নিজেই নিজের উন্নয়ন সাধন করা। অনেক সময় এমন হয় আমরা একটি কাজ করে ভাবতে থাকি এই কাজটি আরো ভালোভাবে করতে পারতাম বা করা উচিত ছিলো। তখনই আমাদের মনে হয় নিজের আরও বেশি উন্নয়ন দরকার। এই কথাটি বলা যতই সহজ তা করা ততটা সহজসাধ্য নয়।
আত্মউন্নয়নের প্রধান ধাপ হলো নিজের লক্ষ্য র্নিধারণ এবং সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিশ্রম করা। আমরা সবাই জানি লক্ষ্য র্নিধারন করা মানেই সফলতার পথ অনেকাংশ দৃশ্যমান করে তোলা। আর এটিই একজন মানুষকে আত্মবিশ্বাসী হতে সহায়তা করা।
অতীতকে বিদায় জানাতে শিখতে হবে:
জীবন কোনো সহজ বিষ আত্মউন্নয়ন শব্দটির অর্থ হলো নিজেই নিজের উন্নয়ন সাধন করা। অনেক সময় এমন হয় আমরা একটি কাজ করে ভাবতে থাকি এই কাজটি আরো ভালোভাবে করতে পারতাম বা করা উচিত ছিলো। তখনই আমাদের মনে হয় নিজের আরও বেশি উন্নয়ন দরকার। এই কথাটি বলা যতই সহজ তা করা ততটা সহজসাধ্য নয়।
আত্মউন্নয়নের প্রধান ধাপ হলো নিজের লক্ষ্য র্নিধারণ এবং সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিশ্রম করা। আমরা সবাই জানি লক্ষ্য র্নিধারন করা মানেই সফলতার পথ অনেকাংশ দৃশ্যমান করে তোলা। আর এটিই একজন মানুষকে আত্মবিশ্বাসী হতে সহায়তা করা।
নিজেকে আরও বেশি উপযুক্ত ভাবে গড়ে তোলা :
শৃঙ্খলা সাফল্যের চাবিকাঠি। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সুশৃঙ্খলভাবে নিজেকে আবিষ্কার করতে এবং যোগ্য হিসেবে সকলের সামনে তুলে ধরতে হবে। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপই যে আমাদের মনের মতো হবে তা কিন্তু নয় শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে আমাদের সবকিছুকে মনের মতো করে সাজিয়ে গুছিয়ে নিতে হবে। এতে করে আমরা নিজেকে উপযুক্ত ভাবে সকলের সামনে তুলে ধরতে পারব।
“সফল মানুষের সাথে অসফল মানুষের পাথর্ক্য শক্তি কিংবা জ্ঞান নয়। পাথর্ক্যটা হলো সত্যিকারের সফল হওয়ার ইচ্ছা”।
~ ভিন্স লম্বারডি
জীবনে চলার পফে অনেক বাধা বিপর্যয় আসবে তাই বলে এই সকল বিষয়বস্তুকে আঁকরে ধরে বসে থেকে কেউ কখনো সফল হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে সফলতার হাতছানি পেয়েছেন পৃথিবীর বুকে এমন হাজারো মানুষ। তাই অতীতের চিন্তায় মগ্ন না থেকে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যৎ চিন্তায় মগ্ন থাকাই শ্রেয়।
“অতীত যতো বড় কালই হোক, নিজের সমন্ধে বর্তমান কালের একটা র্স্পধা থাকা উচিত। মনে থাকা উচিত তার মধ্যে জয় করার শক্তি আছে”।
~রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলেন :
আত্মবিশ্বাস হলো নিজের সম্পর্কে নিজের চিন্তা ধারণা। এটি একজন মানুষের যোগ্যতা ও সামর্থ্যের বহিঃপ্রকাশ। কখনো নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাবেন না। আজকের এই আত্মবিশ্বাসই আগামীর সফলতা।
“আত্মবিশ্বাস হলো মানুষের মধ্যকার দুর্দান্ত উদ্যোগ যা মানুষকে সফলতার রাস্তা দেখিয়ে সেদিকে নিয়ে যায়”
~ স্যাময়েল জনসন
বেশি বেশি বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন :
“বই বিশ্বাসের অঙ্গ, বই মানব সমাজকে টিকাইয়া রাখিবার জন্য জ্ঞান দান করে। অতএব বই হইতেছে সভ্যতার রক্ষাকবচ”
~ ভিক্টর হুগো
আত্মউন্নয়নের জন্য বইয়ের কোন বিকল্প নেই। বই মানুষের জ্ঞানের পরিধিকে বৃদ্ধি করে। বই মানুষের বুদ্ধির বিকাশ ঘটনায় এবং ইতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গি জাগ্রত করতে সাহায্য করে। বিশ্বের বড় বড় সফল উদ্যোক্তা ও সফল ব্যক্তিরা সর্বদা বই পড়ায় অভ্যস্ত।
শরীরী ভাষার উন্নয়ন:
শরীরী ভাষার মাধ্যমে একজন মানুষকে প্রাথমিক ভাবে বিবেচনা করা হয়। এই ভাষাই বলে দেয় আপনি নিজেকে নিয়ে কতটুকু উদ্যোমী ও নিজের উপর কতটুকু র্নিভরশীল। আপনার কথাবার্তায় ও চলাফেরায় নিয়ে আসেন উৎকর্ষতা। তাহলে দেখবেন সেল্ফ – ব্যান্ডিং প্রয়োজন নেই অন্যরাই আপনার ব্যান্ডিং করে দিবে।
নিজের চিন্তাভাবনাকে অগ্রাধিকার দিন :
জীবনটা যেহেতু আপনার তাই আপনার জীবনের সকল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। নিজের ভালো মন্দ নিজেকে বুঝতে হবে। প্রয়োজনে অন্যের পরামর্শ নিতে পারেন তবে সিধান্ত হবে শুধু আপনার।
“চিন্তা ছাড়া শিক্ষা মূল্যহীন
আর শিক্ষা ছাড়া চিন্তা ভয়ংকর “।
~ কনফুসিয়াস
তাই নিজের চিন্তাভাবনাকে অগ্রাধিকার দিবেন।
সময়ের মূল্য দিতে শিখুন :
“সময় দ্রুত চলে যায়, এর সদ্ব্যবহার যারা করতে পারে তারাই সফল ও সার্থক বলে পরিচিত হয়”।
~ বেকেন বাওয়ার
জীবনের সকল উন্নয়নতো হয় এই সময়কে কেন্দ্র করেই। তাই সময়ের সদ্ব্যবহার করা জানা না থাকলে উন্নতির পরিবর্তে অবনতির দিকে ধাবিত হতে হবে। তাই সময়ের মূল্য দিয়ে সফলতার পথে পারি দিতে হবে তবেই সফলতা হাতছানি দিবে।
লামিয়া আহমেদ