আসসালামুআলাইকুম আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন।যার যার অবস্থান থেকে সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন এই আসা করি।
গুরুত্ব নামক শব্দটি কিন্তু প্রত্যেকের জীবনে একটু অন্যরকম।আমরা সকলেই চাই যে আমাদেরকে সবাই অনেক গুরুত্ব দিক।সবাই আমাদের ভালোবাসুক।সবার মনের মত হয়ে উঠতে কিন্তু আমাদের কিছু ভুলের কারণে আপনার কারোর প্রিয় মানুষ হয়ে উঠতে পারি না।আবার সবার অপছন্দের এবং হাসার কারণ হয়ে যায়।
আজকের আর্টিকেলটা আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপুর্ণ।কারণ আজকে আমি আপনাদের এমন ৪টি বিষয় সম্পর্কে বলবো যেগুলো মেনে চললে সবাই আপনাকে গুরুত্ব দেবে পাশাপাশি আপনি সবার প্রিয় মানুষ হয়ে উঠবেন। হতে পারে সেটা আপনার স্কুলে কিংবা কলেজে ,হতে পারে অফিসে ,কিংবা বন্ধুদের ক্ষেত্রে, সবজায়গায় আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন যদি এই বিষয়গুলো মাথায় রাখেন আর মেনে চলেন।
১.কথা বলার ধরন: কথা বলার ধরনের জন্য কিন্তু আমাদের অনেক কিছু নির্ভর করে।কারণ আপনি কার সাথে কিভাবে কথা বলছেন সেটার উপর নির্ভর করে যে আপনি কতটা স্মার্ট।সেটা হোক আপনার বাবা মার সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে কিংবা বাহিরের কোনো বন্ধুবান্ধব অথবা স্যার।
তাই সবসময় সুন্দর একটি ভাব নিয়ে কথা বলতে হবে।বুঝে নিতে হবে যে আমি যাকে কিছু বলতে চাচ্ছি সে কি আমার কথাটি শুনার জন্য প্রস্তুত, সে কি সে কথাটি শুনার অবস্থায় রয়েছে।
এগুলা মাথায় রেখে কারো সাথে কথা বলতে হবে এক্ষেত্রে যখন আপনি তার অবস্থা অনুযায়ী কথা বলবেন তখন সে আপনাকে অনেক গুরুত্ব দেবে, আপনাকে সে অনেকটা পছন্দ করবে।
২. নিজের থেকে অন্যের কথায় গুরত্ব দেওয়া: আমাদের প্রত্যেকের একটি না একটি সার্কেল রয়েছে।যেখানে আমাদের হয়তো বন্ধুবান্ধব রয়েছে,কিংবা রয়েছে অফিসের স্যার,অন্যান্য কর্মীরা।
সেখানে আপনি যদি চান যে আমি কারো কাছে গুরুত্বপূর্ণ হবেন,তাহলে অবশ্যই নিজের কথা না বলে তার কথা মন দিয়ে শুনুন।তার প্রশংসা করুন,তাকে সবসময় উৎসাহিত করুন।
দেখুন যদি আপনি তার ইচ্ছা অনুযায়ী, তার কথা অনুযায়ী তাকে অনুপ্রেরণা দেন তাহলে সে আপনাকে ও অনেক গুরুত্ব দেবে।কারণ সে ভেবে নেবে যে আপনি তার ব্যাপারে জানতে চান, তাকে উৎসাহিত করেন, তার কথা গুলো মন দিয়ে শুনেন।
আসলে এটির কারণ হচ্ছে যে আমরা শুনার চেয়ে বলতে বেশি ভালোবাসি।যার কারণে ধৈর্য ধরে আমরা কোনো বন্ধুর কথা শুনার চেয়ে বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আর তাই আপনি যদি একইভাবে নিজের চেয়ে অন্যের কথাকে বেশি প্রাধান্য দেন তাহলে অবশ্যই আপনি তার কাছে অনেক গুরুত্ব পাবেন।
৩.অকারণে রেগে না যাওয়া: অনেক ক্ষেত্রে বলেছি যে অকারণে রাগ কিন্তু একদমই ভালো নয়।এখন আপনার সার্কেলের মধ্যে কারো কোনো সমস্যা হলো,সে আপনার কাছে এলো সাহায্যের জন্য কিন্তু এক্ষেত্রে আপনি যদি তার সাথে রেগে যান তাহলে বাকিরাও আপনাকে অপছন্দের চোখে দেখে।
তাই আপনি যদি তাকে সুন্দর ভাবে কাজটির জন্য সাহায্য করেন সবার চোখে আপনি অনেক ভালো মনের একজন মানুষ হতে পারবেন।
৪.সবসময় হাসি খুশি থাকবেন: ৩ নং বিষয়ে যেটি বললাম, সবসময় অন্যকে সাহায্য করার চেষ্টা করুন। রেগে কারো সাথে কথা বলবেন না।
সবার সাথে হাসিখুশি হয়ে থাকুন দেখবেন সবাই বলবে যে আপনি অনেকটা মিচিউর।সবাই আপনাকে অন্য এক দৃষ্টিতে দেখবে।
তাই এই বিষয়গুলো যদি মেনে চলতে পারেন বিশ্বাস করুন সবাই কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন আপনি, আর সবাই যদি আপনাকে সম্মান এবং গুরত্ব দেই তাহলে আপনার সব সমস্যায়ও তারা আপনাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে।