Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

সায়েন্স ফিকশন থেকে বাস্তবে পদার্পণ করল উড়ন্ত গাড়ি

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। বর্তমান সময়ে আমরা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির এই যুগান্তকারী পরিবর্তনের সময়ের মধ্য দিয়ে পার হচ্ছি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ থেকে সহজতর করার জন্য আমরা আমাদের প্রত্যেকটি কাজে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার বাস্তবায়ন করছি।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই অভাবনীয় অবদান কোন ভাবেই সম্ভব হতো না যদি না আমরা আমাদের চিন্তা শক্তি কে আরও বিকশিত না করতাম। আমাদের কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছে। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতি অনেক কল্পনা যায় একসময় মানবজাতির কাছে স্বপ্নের মতো ছিল তা এখন বাস্তবে রূপান্তর করা সম্ভব হয়েছে। বিজ্ঞানের প্রয়োগের একটি অন্যতম শাখা হলো যানবাহন।

যানবাহনের মূল উদ্দেশ্য হলো আমাদের সবাইকে একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে অপর একটি নির্দিষ্ট স্থানে কম থেকে কম সময়ে নিরাপদে পৌছিয়ে দেওয়া। বাস, ট্রাক, লঞ্চ, বিমান, ট্রেন, মোটরগাড়ি, মোটরসাইকেল ইত্যাদি আমাদের নিত্যদিনে ব্যবহার করা কিছু যানবাহন যার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। কিন্তু বর্তমানের এই প্রতিযোগিতার যুগে আমরা সবাই পুরনোকে আরো নতুনভাবে উন্নত করার চেষ্টায় নিয়োজিত। আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বদৌলতে এই সেক্টরে একই নতুন যানবাহনের আগমন ঘটেছে যা হলো এয়ার কার বা উড়ন্ত গাড়ি।

এয়ার কার:

হ্যাঁ, ঠিক তাই। এটা আপনাদের কাছে কাল্পনিক মনে হলেও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বদৌলতে বর্তমানে তা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয় এটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করার জন্য স্বীকৃতি ও পেয়েছে। আমরা অনেকেই বিভিন্ন সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্র দেখে থাকি যার মধ্যে উড়ন্ত গাড়ির কনসেপ্ট প্রায়ই লক্ষ করা যায়। কল্পনাতে সীমাবদ্ধ থাকা এই প্রযুক্তি বর্তমানে মানুষ নিয়ে নিয়েছে তাদের হাতের মুঠোয়। গাড়িটির নির্মাতা স্টেফান ক্লেইন।

তিনি ক্লেইন ভিশনের নির্মাতা। তিনি তার বিগত বিশ বছর এই গাড়িটি নির্মাণের পেছনে ব্যয় করেছেন। গাড়িটি একটি হাইব্রিড প্রযুক্তির গাড়ি যা একাধারে গাড়ি এবং উড়োজাহাজের মত কাজ করবে। গাড়িটির ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে একটি বি এম ডাব্লিউ ইন্জিন। একটি গাড়ি হতে একটি উড়োজাহাজ এ রূপান্তরিত হতে এটি সময় নেয় মাত্র পনেরো সেকেন্ড। গাড়িটি সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার/ঘন্টা বেগে নিয়ে চলতে সক্ষম।

ভূমি থেকে এটি সর্বোচ্চ ২৫০০ মিটার উপর দিয়ে উঠতে সক্ষম। প্রায় ৭০ ঘন্টা পড়ার পর এবং ২০০ টেক অফ এবং ল্যান্ডিং সমাপ্ত করার মধ্য দিয়ে গাড়িটি তার এয়ার ওয়রদিনেস সার্টিফিকেট পেতে সক্ষম হয়। এই অনুমোদন দেওয়া হয় স্লোভাক ট্রান্সপোর্ট অথরিটির পক্ষ হতে। গাড়িটির টেক অফ নেওয়ার জন্য কোন প্রকার রানওয়ের প্রয়োজন নেই। শুধু প্রয়োজন ৩০০ মিটার রাস্তার। আশা করা যায় সম্প্রতি অনুমোদন পাওয়া এই গাড়িটি মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হবে এবং মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেতে পারবে একটি সহনীয় মূল্যের ভিত্তিতে।

Related Posts

49 Comments

Leave a Reply