আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সামনে বলতে যাচ্ছি সোডিয়াম যুক্ত খাবার কি কি । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
সোডিয়াম যুক্ত খাবার কি কি
সোডিয়াম খাবারের একটি অপরিহার্য উপাদান। কোন খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে আবার কোন খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে। আমরা সবাই কম বেশি খাবার লবণ খেয়ে থাকি। প্রতিদিনের রান্নায় আমাদের খাবার লবণ ছাড়া চলেই না।
খাবার লবণের অন্যতম একটি উপাদান হলো সোডিয়াম। অতিরিক্ত পরিমাণ সোডিয়াম গ্রহণ করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই খাবারে পরিমিত পরিমাণে সোডিয়াম গ্রহণ করা উচিত। একজন সুস্থ মানুষের দেহে প্রতিদিন 300 মিলিগ্রাম সোডিয়াম গ্রহণ করা প্রয়োজন।
দেহে প্রয়োজনের চেয়ে সোডিয়াম জমা হলে তার ঘামের মাধ্যমে দেহ থেকে বের হয়ে যায়।তাই নিয়মিত ব্যায়াম করা দরকার কারণ ব্যায়াম করলে শরীর ঘামে এবং ঘামের মাধ্যমে দেহ থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বের হয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।
খাবারে সোডিয়াম এর অন্যতম উৎস হলো ডাবের পানি।
এছাড়াও সোডিয়ামযুক্ত অনন্য খাবারের মধ্যে রয়েছে -মিষ্টি আলু, বিভিন্ন প্রকার ডাল যেমন মসুর, মুগ, ছোলা, খেসারি,ফুলকপি, বাঁধাকপি,গাজর, পালং শাক, টমেটো, কাঁচা আম, আনারস,কাঁঠালের বিচি ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম রয়েছে। বিভিন্ন প্রকার সামুদ্রিক মাছ যেমন চিংড়ি, টুনা, মাগুর, ইলিশ, এবং মাছের ডিমে প্রচুর সোডিয়াম পাওয়া যায়। হাঁসের ডিম, গরুর মাংস, দুধ, শুটকি মাছ প্রভৃতিতেও সোডিয়াম পাওয়া যায়।
ফাস্টফুড এবং বাহিরের খাবার-দাবারে প্রচুর পরিমাণে লবণ ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ ফাস্টফুডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম তাই আমাদের ফাস্টফুড খেতে সাবধানতা অবলম্বন করে খেতে হবে।
পাঁচটি সোডিয়াম খাবার এবং খাবারগুলা কিভাবে খেতে হবে তা দেওয়া হল-
আলু- সোডিয়াম যুক্ত একটি নিত্যদিনের খাবার হল আলু। আমরা বিভিন্ন উপায়ে আলু প্রসেস করে খেয়ে থাকি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আলুতে বিদ্যমান সোডিয়াম বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আলু হৃদরাগের ঝুঁকি কমায়। সোডিয়াম ছাড়াও আলুতে রয়েছে ফসফরাস যা অস্টিওপেরোসিস রোগ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই আলুকে বিভিন্ন উপায়ে প্রসেস করে
যেমন আলু ভর্তা, আলু দিয়ে রান্না করা তরকারি এবং আলুর তৈরি চিপস খাওয়া যেতে পারে।
ডাল- প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় আমরা কমবেশি ডাল খেতে পছন্দ করি। ডালের তৈরি রেসিপির মধ্যে রয়েছে ডাল রান্না, ডাল ভর্তা, ডালের বড়া ইত্যাদি।আমরা সবাই কমবেশি খিচুড়িতেও ডাল ব্যবহার করে থাকি। নিয়মিত ডাল খাওয়ার অভ্যাস করে দেহে সোডিয়াম এর ঘাটতি পূরণ করা যায়।
সামুদ্রিক মাছ – সোডিয়াম এর অন্যতম একটি প্রধান উৎস হল সামুদ্রিক মাছ। সমুদ্রের পানিতে প্রচুর পরিমাণে লবণ বা সোডিয়াম থাকে, এবং সেই পানিতে যেসব মাছ থাকে সেসব মাছেও প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম পাওয়া যায়।আমরা সামুদ্রিক মাছ রান্না করে, ভেজে বা মাছের বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করে খেয়ে থাকি।
শুটকি মাছ– শুটকি মাছ বাঙালির খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। শুটকি ভর্তা, শুটকি দিয়ে রান্না তরকারি অত্যন্ত মুখরোচক হয়ে থাকে এবং শুঁটকিতে বিদ্যমান সোডিয়াম আমাদের দেহের উপকার সাধন করে।
হাস– হাঁসের ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম ফসফেট এবং ক্যালসিয়াম। তাই গিটে ব্যাথা রোগের জন্য হাঁসের ডিম খুবই প্রয়োজনীয় একটি খাবার।
দেহের ক্ষয় পূরণ, উন্নতি সাধন এবং বৃদ্ধির জন্য অন্য সব উপাদান এর মত সোডিয়াম ও অত্যন্ত উপকারী। তাই আমাদের নিয়মিত খাদ্যতালিকায় সোডিয়াম জাতীয় খাবার রাখা উচিত।
তো আজকের জন্য এতটুকুই (সোডিয়াম যুক্ত খাবার কি কি)। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।