আসসালামু আলাইকুম, হ্যালো ভাইয়ারা কেমন আছেন?এখন হয়তো আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না কারণ এখন আপনাকে উত্তর দেওয়ার মত সময় আপনাকে দেওয়া হয়নি, আর এর একটি মাত্র কারণ সেটা হচ্ছে আপনি হয়তো কোনো না কোনো চাকরি করছেন! হ্যাঁ ভাই কথাটা কি সত্যি বললাম। আসলে চাকরি নামক জিনিসটি একটি প্যারা। আমার দেশে এখন এমন একটি বেকার সমস্যা একটু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে নিজেকে বেকার বললে আর কেউ আশ্চর্য হয় না। কারণ আশেপাশে সবাই বেকার। লেখাপড়া করে বেকার কেউ লেখাপড়া না করে বেকার। সবাই বেকার।
একসময় হয়তো এই বেকারত্ব টা আমাদের দেশে থাকবে না। কারণ আমরা যখন স্কুল-কলেজ কলেজে পড়ি, তখন থেকেই বাবা মারা আমাদের মাথার ভিতর একটি জিনিস ঢুকিয়ে দেন। সেটি হচ্ছে বাবা ভালো করে মন দিয়ে লেখাপড়া করো,পড়া শেষ করে তোমাকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে, যাক ভালো চাকরি করতে হবে, সংসারের হাল ধরতে হবে, মনসব নানান ধরনের মোটিভেশনাল মূলক কথা আমাদের খুব ছোটবেলাতেই শিখিয়ে দেওয়া হয়।সেজন্য লেখাপড়া শেষ করে এবার অর্ধ লেখাপড়া করে আমাদের একটি চাহিদা এবং একটি টার্গেট হয়ে পড়ে সেটি হচ্ছে কোন এক প্রকার চাকরি। কিন্তু কেউ ভাবেনা যে আপনি যে চাকরি চাচ্ছেন সে চাকরিতে আপনার ভালো লাগবে কিনা, এখানে আপনার জব স্যাটিসফেকশন আছে কিনা।
জীবন মানেই কি চাকরি! ভাবতে খুব অবাক লাগে কিছু কিছু মানুষ আছে এখনও তাদের কাছে একটি চিন্তা যেভাবেই হোক একটি চাকরি নিতে হবে। এখন আপনি ভাবুন বাংলাদেশে কতগুলো সেক্টর আছে যেখানে লক্ষ লক্ষ তরুণের জন্য চাকরি রয়েছে। ঘুরেফিরে সেই খুঁজে পাচ্ছেন না। আসলে অবস্থাটা এরকমই খুঁজে পাবেন না। কেউ কেউ চাকরি করছেন তারা হয়তো কারো না কোন রেফারেন্স চাকরিটা পেয়েছেন।স্বীকার করে না হয়তো ভাবে কথাটা স্বীকার করলে নিজের ওয়েট থাকবে না। তবে ভাই সত্যি কথা বলতে কি? আমার দেশে এরকম লোক বেশি যাদের চাকরি করতে ভালো লাগেনা। কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনা এবং অবস্থার উপর নির্ভর করে আমরা ধৈর্য ধরতে পারিনা। কারণ আসলে জীবন্ত টাকা ছাড়া চলেনা।
কথাটা সত্যি টাকা ছাড়া জীবন চলেনা। তাহলে পৃথিবীর সব ভিক্ষুকেরা মরে যেত। কি কথাটা ঠিক বললাম তো। যারা ভিক্ষে করে তাদের চাইতে নিম্নবিত্তের তো কেউ নেই।তাহলে তারা তো পৃথিবী থেকে কবেই ভ্যানিশ হয়ে যেত। দেখুন আসলে কি তারা ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে। না তারা সবাই কোনো না কোনোভাবে বেঁচে আছে।সকালবেলা যখন তারা ভিক্ষা করতে বেরোয় তখন তাদের মনের ভিতর অনেক আশা থাকে। টার্গেট থাকে যে আমাকে এই পর্যন্ত উপার্জন করে নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু আমাদের জীবনে টার্গেট কি? চাকরি চাকরি চাকরি! এইতো আর সেজন্যই আমরা কেউ ব্যবসায়ী হতে পারি না। আপনি খেয়াল করে দেখুন তো আপনার পাশে পাশে, অথবা আপনার এলাকায় অথবা আপনার শহরে যারা মোটামুটি ভালো চলে বা যাদের খুব ভালো অবস্থা তারা কি চাকরি করে? একদমই না বন্ধুরা।
আপনি খেয়াল করে দেখবেন শহরে যাদের বাড়ি গাড়ি আছে তাদের কোন না কোন বিজনেস আছে। হতে পারে সেটা ছোট হতে পারে সেটা। সবাই তো ছোট থেকেই বড় হয় তাই না। তাহলে আপনি বলেন যে আপনি কেন চাকরি খুঁজেন। এখন হয়তো আপনি বলবেন যে তাদের টাকা আছে আমার তো টাকা নেই? এটা হচ্ছে একটা কমন প্রশ্ন। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। বাংলাদেশে এমন লোক আছে যারা জিরো থেকে হিরো হয়েছেন। আপনি নিজের বুকে হাত রেখে বলেন তো আপনি এরকম লোক কি দেখেননি। যাদের কিছুই ছিল না এখন অনেক কিছু হয়েছে।আমি কিন্তু অনেক লোক দেখেছি যারা জীবনে এক পর্যায়ে তাদের জীবন যখন থমকে গিয়েছিল সেখান থেকে তারা কামব্যাক করেছে।
এখন তারা তাদের ভালো অবস্থা। কেউবা ঠিকাদারি ব্যবসা করতেছে,, কেউবা হয়ে গেছে ডিলার, কেউবা হয়ে গেছে কোটি কোটি টাকার মালিক। নিজের দেখার কথা এগুলা গল্প নয় সত্যি। হান্ডেট পার্সেন্ট সত্যি। আপনি কি আপনি কি বড়লোক হতে চান।চাকরি করলে আপনি কয়েকটি টাকার মুখ দেখতে পারবেন কিন্তু একথা 100 পারসেন গ্যারান্টি আপনি বড়লোক হতে পারবেন না। এখন ভেবে দেখুন আপনি কোনটি চান আপনি কি কিছু টাকা চান। নাকি বড়লোক হতে চান। আসলে কি আমাদের ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকেও ব্যবসার প্রতি তাগড়া দেওয়া আছে তাগাদা দেওয়া আছে। আমাদের নবী নিজে ব্যবসা করতেন, বলে গেছেন ব্যবসাতে 70 পার্সেন্ট বরকত রয়েছে।
অন্য কোন পেশাতে নেই।তাহলে ভেবে দেখুন যেখানে নবী গ্যারান্টি দিয়ে গেছে সেখানে আমার-আপনার গ্যারান্টি দেওয়ার কী কোন প্রয়োজন আছে। আপনার অল্প পুঁজি আপনি ছোট বিজনেস করেন। বেকারত্বের খাতাটা থেকে নামটা তো আপাতত ঘুচে যাবে।আমি অনেক দেখেছি ছোট ছোট ব্যবসা করে কিন্তু তারা মোটামুটি ভালো টাকা ইনকাম করে।যে টাকা ইনকাম করে আমি নয় মাস চাকরি করেও ওই টাকা ইনকাম করতে পারিনা।আপনি যে কাজগুলো কি ছোট ছোট কাজে বলে মনে করছেন আপনি হয়তো জানেনই না যে এই কাজগুলো আপনাকে নিয়ে যাবে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। একটি গল্প মনে পড়ে গেলঠিক গল্প নয় একদম সত্যি আমার একদম নিয়ারেস্ট বন্ধুর কথা,,,, একসাথে চাকরি করতাম আমরা। ও আমার দু বছর আগে চাকরি বাদ দিয়ে চলে আসলো গ্রামে। যখন চাকরি বাদ দিয়ে গ্রামে চলে আসলো তখন অনেক লোকে পাগল বলতে শুরু করল।
কথায় আছে এগিয়ে যাবার জন্য মানুষের কথাগুলো দুই কান দিয়ে না ঢোকানোই ভালো। ও ঠিক তাই করেছিল। কারো কথা না শুনে শুরু করে দিয়েছিল একটি গরুর খামার। আমিও প্রথম প্রথম শুনে ভাবছিলাম লেখাপড়া করে গুরু পালবি। ও আমাকে একটি কথাই বলেছিল, আগে মানুষ গরু পালত কৃষি কাজ করে। আর এখন আমরা পশু লালন পালন করব প্রযুক্তি কে সাথে নিয়ে। তাহলে ভেবে দেখ যে পশু পালনের জন্য প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকাটা দরকার কিনা। আমি সেদিন তার কথাটা বুঝিনি। তিন বছর পরের কথা। গ্রামে গিয়েছিলাম বেড়াতে।দেখি বাইক নিয়ে আমার সেই বন্ধু আমার সামনে দাঁড়িয়ে। আমি জিজ্ঞেস করলাম নতুন বাইক নাকি। ও বললো হ্যা নতুন কিনেছি। তো বাইকের যে অবস্থা দেখলাম তাতে সচরাচর এটি মার্কেটে আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা দাম হবে। তখন আমি ভাবতে শুরু করলাম আমি চাকরি করে কি করছি? বিশ্বাস করে সেদিন থেকে চাকরি বাদ দিয়ে দিছি। কিছুই যদি করতে না পারেন প্রয়োজন হলে কিছু পশু পাখি লালন পালন করেন।
বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সেগুলো করেন দেখবেন সেখানে আপনার সাকসেস অলরেডি চলে আসবে। ধৈর্য হারাবেন না। প্রথম প্রথম একটু কষ্ট হবে তারপর আপনি একটা সময় এগিয়ে যাবেন। নিজেই বুঝতে পারবেন যে আপনি কি করতে যাচ্ছেন।চাকরি করে যে সুখ যে শান্তি আরাম আয়েশ করতে না পারতেন আপনি বিজনেস এর মধ্যে সে স্বাধীনতা পেয়ে যাবেন। হান্ডেট পার্সেন্ট পেয়ে যাবেন।কারণ এখানে ঝড় নেই এখানে বৃষ্টি নেই এখানে ধরাবাঁধা সকাল আটটার সময় আপনাকে অফিসে যেতে হবে না। জীবনকে উপভোগ করতে পারবেন নিজের মত করে। এই জন্য আমার মনে হয় বাংলাদেশের যে যে সমস্ত শিক্ষিত তরুণরা আছে তাদের বিজনেস এগিয়ে আসা উচিত। চাকরি কারা করবে চাকরি চান লেখাপড়া নাই সে চাকরি করবে।
আপনি শিক্ষিত লোক, কেন চাকরি করবেন আপনি দশ জন মানুষের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করে দিবেন।
দেশের বেকারত্বের চাহিদা পূরণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অগ্রযাত্রার ভূমিকার অগ্রনায়ক হবেন। তাহলে চিন্তা করুন আসলে আমরা চিন্তা ধারায় বেকার । করার মত অনেক কিছু আমার এই দেশে আছে।অন্যান্য দেশের থেকে অনেক সুযোগ সংবলিত অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমার দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। শুধু সে গুলোকে ব্যবহার করতে জানতে হবে। এই জন্য প্রয়োজন আপনাদের মত শিক্ষিত তরুণ। আপনারাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। যারা বলে এই তুই লেখাপড়া করে এটা করবি ওটা করবি তাদেরকে দেখিয়ে দিন বছর দুয়েক পরে।
একসময় দেখবেন তারও আপনার কাছে আসে বুদ্ধি-পরামর্শ নিবে। আপনি সফল হবেন 100% সফল হবেন। আপনার সামান্যতম জ্ঞান বুদ্ধি থাকে।এটা এটা কোন মেটার না এখন অনেক সংস্থা আছে যারা আপনার উপর ইনভেস্টমেন্ট করতে চায়। ছোট কিছু শর্ত জীবনে মেনে নিতেই হবে। রিক্স নিবেন না আপনি বড়লোক হবেন সেটা কি হবে। রিক্স নেন জীবনে একবার হলেও রিক্স নেন। নো রিক্স নো গেন বলে একটি কথা আছে আমরা বইয়ে পড়েছি, কথাটি সত্য। বেকার বসে না থেকে বিজনেস করুন। আর আমার এই লেখাটি শেয়ার করুন ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন। খারাপ লাগলে ভাই খারাপ মন্তব্য কইরেন না কারণ আমি আপনার ভালো চাই।আজাদ ওটুকুই অন্য কোনদিন কোন বিজনেস আইডিয়া দিব ইনশাল্লাহ।