বর্তমানে বিশেষ করে মুসলিম নারীদের মধ্যে হিজাব ঠিক রেখে পর্দা ঠিকঠাক রেখে পর্দা করার সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। নারীরা এখন পর্দা ঠিক রেখে অফিসে যাওয়াসহ ঘরের বাইরে অনেক কাজকর্ম করে থাকেন। এমতাবস্থায় তারা বেশিরভাগ সময় হিজাব পড়ে থাকেন।সঠিকভাবে চুল ও হিজাবের মানের যত্ন না নিয়ে বেশি সময় ধরে হিজাব পরে থাকা নারীদের চুলে বিভিন্ন ধরনের ছোটখাট সমস্যা দেখা দেয়।
এমনিতেই গরমে চুল ও মাথা ঘেমে চুলের গোড়া চিটচিটে হয়ে থাকে। এতে মাথায় খুশকি হয়, চুল রুক্ষ হয়ে যায় ও চুল পড়ে যাওয়াসহ অনেক সমস্যায় নারীরা ভোগেন। এই সমস্যা আরও বেশি হিজাব পরিহিত নারীদের। তাই গরমের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে হিজাবের ভেতরের চুল রক্ষা করতে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়।
গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত বেশি সময় হিজাব পরার কারণে মাথার ত্বক ঘেমে যায়। ঘামার ফলে চুলের গোড়ায় তৈরি হয় ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস। যার ফলে মাথার ত্বক হয় চিটচিটে এবং সেই ত্বকে চুলকানি হয়। এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে জরুরি কাজটি হলো চুল নিয়মিত পরিস্কার রাখা। এজন্য বিশেষ করে শীতের চেয়ে গরমের দিনে বাইরে কাজ করলে প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু দিয়ে করতে হয়। তুলনামূলক কম ক্ষতিকর কেমিক্যাল দ্বারা তৈরি শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাথার ত্বক ও চুলে শ্যাম্পু করার আগে হালকা গরম তেল ম্যাসাজ করে নেওয়া উচিত।
গোসলের পর চুল ভালোভাবে না শুকিয়ে হিজাব বেঁধে ফেলেন। এর ফলে মাথায় খুশকি হয়। চুল ভালোভাবে না শুকিয়ে হিজাব পরা অনুচিত। বাতাসে শুকানো উত্তম। চুল শুকাতে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করাই ভালো।
খুব শক্ত করে চুল বেধে হিজাব না পড়া ভালো। বাধলে এতে চুল গোড়া থেকে উঠে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়। রাবার ব্যান্ড চুলের জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে। অতিরিক্ত ববি পিন/ ক্লিপ চুলের ক্ষতির আরেকটি কারন। এসবের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের জন্য নরম সুতি কাপড়ের স্কার্ফ ব্যবহার করা ভালো।
চুলকে আরও ঠিক রাখতে অন্তত প্রতি সপ্তাহে পাকা কলা, ডিম ও টক দইয়ের মিশ্রন লাগানো উচিত। এতে চুল নরম, সিল্কি ও গোড়া শক্ত হয়।
খুসকি দূর করতে মেহেদি, পেঁপে ও লেবুর রসের মিশ্রণ খুব ভালো কাজ করে। কলা, মধু, লেবুর রস ও দুধের মিশ্রণ রুক্ষ চুলকে আরও বেশি সতেজ রাখতে সাহায্য করে। পেঁপে, ডিম, মধু, পাকা কলা, চায়ের লিকার চুলের কন্ডিশনারের বিকল্প হিসেবে ভালো কাজে দেয়।