আবেগ কি?
এর সংজ্ঞা অনেকে অনেক রকম দিয়ে থাকলেও,ব্যক্তির আবস্থা সম্পর্কে না জানলে সংজায়িত করা মুসকিল। কারণ আবেগ জিনিসটার কোনো মাত্রা থাকে না।এই আবেগের সঠিক পথ দেখায় ‘বিবেক’।কারণ,আবেগ তো কিছু সময়ের জন্য থাকে আর বিবেক আপনার সারাটা জীবন আপনাকে শিখিয়ে যাবে বাস্তবতার সংজ্ঞা।
কোনো কিছুর প্রতি আর্কস্মিক ভাবে ভালো লাগায় হলো আবেগ।আবেগের স্থায়ীত্ব খুব কম সময় থাকে।আবেগ সময়ের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তন হয়।একটি মানুষের আবেগ যেকোনো সময় আবেগে প্রভাবিত হতে পারে।তাই আবেগের কখনো সময় লাগে না প্রভাবিত হতে।
যার জীবন আছে তারই আবেগ আছে।
সাধারণত যারা ক্লাস ৯-১০ পড়ে আর কলেজে পড়ে তাদের আবেগটা খুব বেশি হয়ে থাকে।যারা কলেজে পড়ে, তাদের হঠাৎ করেই বিপরীত লিঙ্গের প্রতি খুব তাড়াতাড়ি আর্কষিত হয়ে যায়।সেটাকে তাদের ভালো লাগতে শুরু করে।আস্তে আস্তে সেই মানুষটার প্রতি অন্য রকম ভালো লাগতে শুরু করে।যার ফলে ছেলেটি,মেয়েটির সকল ভালো লাগার কাজ করে,আস্তে আস্তে মেয়েটিও সেই ছেলেটির প্রেমে পড়ে যায়।তার কিছু দিন পড়েই তাদের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হয়।তার পর তারা একে অন্যের কাছ থেকে দূরে চলে আসে।কারণ সেটা তাদের ভালোবাসা ছিল না,তাদের ছিল আবেগ।আর আবেগের প্রেম বেশি দিন টিকে না।তাই বেশি আবেগ, ভালো না।বাস্তবতা আবেগ থেকে দূরে রাখতে সহয়তা করে।তাই বাস্তবতা সবারই শিখা উচিত।
আবেগের জন্য ই একটা অপরিচিত ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি ভালোবাসা গড়ে ওঠে।আর সেই বস্তুর বা ব্যক্তির ভালোবাসা বা শেষ পর্যন্ত যেতে যেতে আবেগ শেষ হয়ে যায়।তখন আর আবেগ থাকে না।কারণ আবেগ ক্ষণস্থায়ী। হঠাৎ করেই বিবেক এসে তখন মনে দুলা দেয়।
কোথাও বা কোনো মনোরম পরিবেশে ঘুরতে যাওয়া হলো আবেগ আর সেখানে সারাজীবনের জন্য ই থাকাটা হলো বাস্তবতা।আবেগটা কিছু সময়ের জন্য আসলেও জীবনের খুব বড় অংশ। যার থেকেই ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে থাকে।আর কেউ কেউ সেই ভালোবাসায় ব্যর্থ হয়ে, অনেক বড় কবি,সাহিত্যক আর অনেক কিছুই হয়ে যায়।তাই আমরা ঐ জিনিসের প্রতি আবেগ বাড়ায়,যা আমাদের জীবনের জন্য খুব বেশি প্রয়োজনীয়।কারণ, আবেগ থেকেই ভালোবাসার সৃষ্টি হয়।তাই প্রয়োজনের আবেগ টাও আমাদের জীবনে খুব প্রয়োজনীয়।
আমরা অনেক সময় আবেগ প্রভাবিত হয়ে,এমন কিছু পরিবারে কাছে আবদার করে বসি,যা পরিবারের কাছে খুব বোঝা হয়ে যায়।তাই পরিবারের কাছে বোঝা হয় এমন কিছু আবদার করা ঠিক না।
তাই আবেগকে এতো অবহেলা না করে,প্রয়োজনের সাথে মিল রেখে। আবেগকে ভালো দিকে প্রভাবিত করাই হলো আবেগের সঠিক ব্যবহার।তাই প্রয়োজন অনুযায়ী সব কিছুই সর্বত্তোম ভাবে ব্যবহার করা উচিত।
কারণ,অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না।
একজন আদর্শ শিক্ষকের গুণাবলী
একজন আদর্শ শিক্ষকের গুণাবলী যিনি আমাদের শিক্ষা দেন তিনি শিক্ষক । পৃথিবীতে সবচাইতে সম্মান ও মর্যাদার পেশা হলাে শিক্ষকতা ।...