বর্তমানে মোবাইল কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের অনুমতি ছাড়াই গ্রাহকদের কল রেকর্ড করার মতো অপরাধ করেই যাচ্ছে।গ্রাহকদের অজান্তেই এইসব অপরাধ কর্ম সংঘটিত করছে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো।তবে মোবাইল কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের লিখিত অনুমতি ছাড়া এবং গ্রাহকদের অবহিত করা ব্যতিত এই সকল অপরাধ বন্ধ করার কথা জানিয়েছে হাইকোর্ট এর বিশেষ বেঞ্চ।তিন বিচারপতি নিয়ে গঠিত এই বিশেষ বেঞ্চ উক্ত বিষয়ের উপর গুরুত্বরোপ করেছে।
রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে আজকাল অডিও এবং ভিডিও কল ভাস হওয়া আজকাল একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।তবে বাংলাদেশের সংবিধানে ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষার কথা বলা হয়েছে। তাই মোবাইল কোম্পানিগুলো নিজেদের ব্যক্তিগত মুনাফা লাভের আশায় গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যাদি ফাঁস করে দিয়েছে।মোবাইল কোম্পানিগুলো এই কথা মোটেও ভুলে গেলে চলবেনা যে গ্রাহকদের নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করা তাদের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য।
শিশু সৈকত হত্যা মামলায় হাইকোর্ট গত বছর রায় দেন। সেই রায় এর ৪৯ পৃষ্ঠার
পূর্ণ কপি হাইকোর্ট এর ওয়েবসাইট এ প্রকাশ করা হয়।রায়ে বলা হয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো তাদের কোন কাজে গ্রাহকদের ফোন কল রেকর্ড করতে পারবে না।তবে তাদের বিশেষ তদন্ত কাজের প্রয়োজনে গ্রাহকগণ থেকে তারা অনুমতির জন্য আবেদন করতে পারে। আদালত কতৃক এই সকল অপরাধ বন্ধ করার জন্য বিটিআরসির কাছে আবেদন পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।
একটি বিশেষ মামলায় সাক্ষ্য হিসেবে কল রেকর্ড সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহন করা হয়েছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে এই নিয়ে বিশেষ বেঞ্চ গঠিত হয়। শিশু সৈকত হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স হিসেবে কল রেকর্ড ব্যবহার করা হয়েছিলো।কিন্তু পরবর্তীতে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় যে কল রেকর্ড মামলার কাজে উপযুক্ত প্রমাণ হতে পারে না বলে জানানো হয়। তাই মামালায় কল রেকর্ড ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আরও তথ্য হালনাগাদ করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন।
(সূএঃপ্রথমআলো)