আসসালামু আলাইকুম,
সবাই ভালো আছেন আশা করি। বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে জম্পেশ আড্ডা জমানোর অন্যতম মাধ্যম অনলাইন প্লাটফর্ম। এই মাধ্যমকে আমরা বুঝে না বুঝে, প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে যাচ্ছে তাই ব্যবহার করে যাচ্ছি।এতে নিছক আমাদের অলস সময় কাটছে ঠিকই কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা।
আজকের আলোচ্য বিষয় ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বিনোদনমূলক টাইম পাশ করার উপায় সমূহ।
১। আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশে নাবালক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রায় সবাই কম বেশি ফেসবুক ব্যবহার করি। সেই সাথে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারও বাদ যায়না। ঘরের বাইরে না যেয়েও আমরা ম্যাসেঞ্জার ব্যবহার করে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধব সবার সাথে ভার্চুয়াল আড্ডা দিয়ে সময় কাটাতে পারি।
২। ম্যাসেঞ্জার ব্যবহার করেই আমরা ঘরে বসে সেলিং প্রোডাক্ট অর্থাৎ প্রোডাক্ট মার্কেটিং করে আর্থিকভাবে লাভ হতে পারি। এতে একদিকে যেমন আমাদের নতুন নতুন পরিচিতজন গড়ে উঠবে তেমনি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া যাবে।
৩। আমাদের নিজেদের দ্বারা গঠিত সামাজিক, রাস্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সকল সদস্যের সাথে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ তৈরির মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নিজেদের কাজকে এগিয়ে নিতে পারি।
৪। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে অনেক গ্রুপ রয়েছে যেখানে বিভিন্ন জনের সাথে প্রতিযোগিতামূলকভাবে গেমস আয়োজন করতে পারি এবং খেলার মাধ্যমে বিনোদন পেতে পারি।
৫। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও এ সংক্রান্ত পারস্পারিক আলোচনা করার জন্য ম্যাসেঞ্জারে গ্রুপ খুলতে পারে এবং একজন আরেক জনের সাথে আলোচনা করে তাদের সৃজনশীলতাকে আরও বৃদ্ধি করতে পারে। সেখানে একজন শিক্ষকের তত্বাবধান থাকলে অধিক ভালো হয়।
৬। সচেতনতামূলক বিভিন্ন আমরা আমাদের পরিচিত জনদের মধ্যে শেয়ার করার মাধ্যমে তাদেরকে সচেতন করতে পারি।
৭। দূরে বসবাসরত নিজেদের পরিচিত জনদের সাথে ভিডিও কল বা ভিডিও চ্যাটিংয়ের সাথেও যুক্ত হতে পারি।
৮। আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞাপনের লিংক বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে ব্যবসার প্রচার ও প্রসার ঘটাতে পারি।
৯। সকল প্রকার ভালো কাজ ও ভালো টাইম পাশের জনপ্রিয় অনলাইন মাধ্যম হতে পারে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার।
১০। সর্বোপরি অলস সময়টাকে কাজে লাগিয়ে আমরা নিজের দেশের ও দশের কল্যান করতে পারি।
সবাই ভালে থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ