অসাধারণ সাধারণত্ব জয় করে হয়। সৃজনশীল এ পৃথিবীর সব কিছুই সুন্দর তবুও অপূর্ব সুন্দর বলতে একটি কথা অাছে। অপূর্ব সুন্দর ও অসাধারণ ভাবে সবার অাত্মপ্রকাশ ঘটে না! সবার মুখে ফুল চন্দন পড়ে না। যে মুখে ফুল চন্দন পড়াতে চায় তাঁকে সর্বজনীনতা জয় করেই ফুল চন্দনের অভিলাষী হতে হয়। সম্ভ্রান্ত বংশে জন্ম নেওয়া আর অসাধারণ বলে পদ্মাবতী হওয়ার তফাতটা অাকাশ পাতালের সীমা ছাড়া। কেননা সাধারণত সাধারণ এর মধ্য থেকে অসাধারণ সৌভাগ্যের অধিকারী অার জন্মগত ভাবে যে ফুল চন্দন নিয়ে পদ্মাবতী হয়েছে উভয়ই যেন সৃষ্টিকর্তাকে স্পর্শ করেেছে কিবা তাঁর বিশেষ করুণা প্রাপ্ত হয়েছে।
বিশেষত, অসাধারণ মানুষগুলো শুধু এই পৃথিবীতেই অসাধারণ তাই নয় বরং পরশমণির মতো পরবর্তী পৃথিবীতেও অসাধারণ! অবশ্য সেও ছিলো একদিন সাধারণ। সাধারণ এবং অসাধারণ সবাই মানুষ কিন্তু পার্থক্য এটাই যে, জীবন যুদ্ধের ময়দানে কেউ লড়াইটা ছেড়ে দেয়, কেউ বা লড়াইটা ছেড়ে দেয় না। জীবন এর জন্য কোশেশ সাধনা মূলত যুদ্ধ ক্ষেত্র’র মতো। যুদ্ধের ময়দানে যেমন আত্মবিশ্বাস বা মনোবল হারালে যুদ্ধের আগেই পলায়ন করে বা হেরে যায়!
আর কেউ আত্মবিশ্বাস ও মনোবল না হারিয়ে যুদ্ধের সর্বশেষ দেখতে টিকে থেকে, এবং সে হয় শহীদ, নয়তো সে বীর বিক্রম গাজী! অনুরূপ ভাবে জীবন যুদ্ধ ক্ষেত্রও! সৌভাগ্যের পরশমণি যে হয়, কি’বা সাধারণের মাঝে যে অসাধারণ সে হয় কোশেশ করে টিকে থাকে। প্রকৃত প্রস্তাবে বাস্তবতা একটাই যে বেলা হয়, “আজকে অসাধারণ ,সেও সাধারণ ছিল একদিন, পার্থক্য এটাই সে লড়াইটা ছেড়ে দেয় নি।” পৃথিবীতে যারাই মেঘ দেখে তার গর্জন কর্ষণের ভয়ে অাশাহত হয়ে পথ থেকে পিছু হটেনি তাঁরাই মূলত সাধারণের মাঝে অসাধারণ।
“স্বপ্ন ছলে ঘেরা”
মুহা. কবির হোসেন
রাত পোহালে ফুটে কলি
অযত্ন ও অনাহারে।
সাত সকালে ছুটে চলি
রত্নগুলো ঘরে ।
যত ভালো করি সবে
মলিন বদন করে,
কতো কালো সরিয়ে তবে
সুদিন আনব ঘরে।
কত কালো হেরি রবো
গহিন অন্ধকার,
শত আলোর ফেরী ভব
দুর্দিন সব বেকার।
ছন্দময় এ জীবন ও মন
স্বপ্ন ছলে ঘেরা,
রত্ন বিলিয়ে ও সুখের কিরণ
দেখ আসলে তেড়া।
হত আশা লুটে বলি
স্বপ্ন ছিলো বড়ো,
প্রাতে যত ফুটে কলি
স্বপ্ন ছিলো তারও ।
শিক্ষক বাহক
মুহা. কবির হোসেন
পড় তোমার প্রভুর নামে
যিনি তোমার রব ,
কলম দিয়ে শিক্ষা দিলেন
মানুষ নামের আশরফ ।
পড়া হলো শিকার সাদৃশ্য
কলম যাহার ধারক!
লেখা তাহার বন্দি খাঁচা
শিক্ষক তাহার বাহক।
পিতা মাতার পরে শিক্ষক
মহান জন্মদাতা !
তাহার উপরে ভরসা করে
এই বিশ্ব সভ্যতা।
চরম সত্য পরম তত্ত্ব
অভয় আত্ম সহয় ,
শিক্ষক জ্ঞানে দেয় রাঙিয়ে
এই বিশ্ব ভূবনময়।
স্বপ্ন আশা সুখের তৃষা
মিটায় তিনি পিপাসা ,
আপসহীন তার মুখের ভাষা
শাসন ভালোবাসা ।
আশা যত না জানা ভবিষ্যত
বিদ্যা বইয়ের পাতায় ,
শিক্ষা গুরু না হয়ে তফাত
গড়ে আমায় তথায়।
প্রভুর দয়া শ্রেষ্ঠ পরম ,
শিক্ষক স্বর্গের দূত!
মহান পেশায় তাহার জনম ,
নিছক জ্ঞানের অদ্ভুত ।
বিশ্বাস ভক্তি চরম মুক্তি
পৌছান সকাসে স্রষ্টার
নির্যাস শক্তিতে হয়ে আসক্তি
সফেন তারে সত্তার।