আমরা খাবার খায় পেট ভরানোর জন্য কিন্তু এ কেমন খাবার যে ক্ষুধাভাব আরো বাড়িয়ে দেবে! অনেকেই হয়তো একটু অবাকই হয়েছেন। কেউ কেউ আবার প্রথম এই কথাটি শুনলেন যে খাবার নাকি ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়। মূল বিষয়টি হলো কিছু খাবার ফাঁপা ও অস্বাস্থ্যকর ক্যালোরি দ্বারা সাময়িকভাবে ক্ষুধাভাব কমিয়ে দেয়। এতে করে অল্প সময়ের জন্য ক্ষুধাভাব চলে গেলেও পরবর্তীতে তা আরও আবারো বেড়ে যায়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জানবো যা ক্ষুধাভাবকে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে দায়ী।
চিপস
অনেক সময় আমাদের হাতের কাছে অন্য খাবার না থাকায় এক প্যাকেট পটেটো চিপস খেয়ে যদি মনে করেন যে পেট ভরে যাবে, তবে তা খুবই ভুল ভাবনা। পটেট চিপস খাওয়ার পর কিছুক্ষণের জন্য ক্ষুধাভাব না থাকলেও, পরবর্তীতে অনেক বেশি ক্ষুধাভাব দেখা দেয়। তার সাথে পানির তেষ্টাও বেড়ে যায় আগের চাইতে অনেক বেশি।
জুস
চিনিবিহিন ফলের জ্যুস পান করেই অনেকেই দিনের শুরু হয়ে থাকে। আমরা জানি যে ফলের জ্যুস স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী পানীয়। হ্যাঁ অবশ্যই তাই। কিন্তু ফলের জ্যুস পানে খুব অল্প সময়ের মাঝেই পুনরায় আপনার ক্ষুধাভাব দেখা দেবে। তাই ফলের জ্যুসের পরিবর্তে আস্ত ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা এক্ষেত্রে ভালো ফল দিবে। কারণ ফল থেকে প্রয়োজনীয় আঁশ পাওয়া যাবে, যা জ্যুসে থাকে না।
সাদা ভাত
এই লিস্টে সাদা ভাতের নাম দেখে অনেকে হয়তোবা অবাক হচ্ছেন! সাদা ভাতের উপকারিতার চাইতে ক্ষতি যেমন বেশি, তেমনিভাবে এই ভাত সাময়িকভাবে ক্ষুধাভাবকে প্রশমিত করে তোলে। কিন্তু আপনি যদি দীর্ঘসময়ের জন্য পেট ভরা রাখতে চান তাহলে আপনাকে বেছে নিতে হবে ব্রাউন রাইস কিংবা লাল চালের ভাত। এই দুই ধরণের চালে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ থাকে। যা ক্ষুধাভাব ঘনঘন দেখা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে সহায়তা করে।
সাদা পাউরুটি
সাদা চালের ভাতের মতই সাদা ও রিফাইন্ড ময়দায় তৈরি করা পাউরুটি সাময়িকভাবে আমাদের ক্ষুধাভাবকে দূরে রাখতে কাজ করে থাকে। কিন্তু কিছু সময় পরেই পুনরায় ক্ষুধাভাব ফিরে আসে। নাশতায় পাউরুটি রাখতে চাইলে ব্রাউন ব্রেড খেতে পারেন।
ইনস্ট্যান্ট নুডুলস
ঝটপট রান্না করা যায় এমন খাবার তৈরির প্রতি ঝোঁক সবারই কম বেশি থাকে। এর মাঝে প্রথমেই থাকবে ইনস্ট্যান্ট তৈরি করা যায় এমন নুডলস। কিন্তু এতে থাকা মনোসোডিয়াম গ্লুমেট তথা টেস্টিং সল্ট বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যাসহ হরমনাল ইমব্যালেন্স তৈরির জন্য বিশেষভাবে দায়ী। এছাড়া টেস্টিং সল্ট মস্তিষ্ককে ক্ষতিকর ক্যালোরি দ্বারা সিগন্যাল প্রদান করে, এতে করে অল্প খাবারেই আমাদের পেট ভরপেট মনে হয়।
সুগার-ফ্রি খাবার
আপাতদৃষ্টিতে সুগার-ফ্রি খাবারগুলো স্বাস্থ্যসম্মত মনে হলেও এই খাবারগুলোতে ব্যবহার করা আর্টিফিশিয়াল সুইটনার চিনির মতই ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে এবং এমন ধরণের খাবার গ্রহণে সহজেই মনে হয় যে আমাদের ক্ষুধাভাব চলে গিয়েছে। কিন্তু আসলে কিছুক্ষণ পর পুনরায় ক্ষুধাভাব দেখা দেয়।