করোনা পরিস্থিতির কারণে আরেক ধাপ বাড়লো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি। ধাপে ধাপে ছুটি বাড়ছেই। গত বছরের ১৭ই মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা- প্রতিষ্ঠান। অনলাইনে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমন অবস্থায় আবারও ছুটি বাড়ানো হয়েছে। আর এবারে ১৪ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। \
এরপর কবে আদৌ ক্লাস খোলা হবে সেই সম্পর্কিত কোনো নির্দেশনা এখনো পর্যন্ত আসেনি। এদিকে এই জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকেই শোনা যাচ্ছিলো যে, ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখ হতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। এই বিষয়ে আইনি নোটিশও জারি করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে সেই নির্দেশনা বাতিল করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতেই বলা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক ইতিমধ্যেই দেশে চলে এসেছে। তাই পরিস্থিতির ইতবাচকতা বিচারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো যেমন- সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট সেকশনে ভাগ হয়ে ক্লাসে অংশ নেবে। স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পরে সেই সব নির্দেশনা বাতিল করে ছুটি বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে স্বায়ত্বশাসিত কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের তাদের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নিচ্ছে। তবে আবাসিক হলগুলো এখনো খুলে দেয়া হয়নি। আর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান অনলাইনেই ক্লাস- পরীক্ষা পরিচালনা করছে। প্রায় একবছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের মনসিক স্বাস্থ্যের উপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কি খুলবে না সেটা নিয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে অনেক ধরণের খবর এসেছে। এর মধ্যেই বেশ কিছু গুজবও ছড়িয়েছে। তবে সেই সব দ্বিধা- দ্বন্দের অবসান হলো। তবে এরপর ঠিক কবে স্কুল- কলেজ খুলবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
কর্তৃপক্ষ বলছে- স্কুল- কলেজ খুলে দেবার মতো পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। এছাড়া গত দুই – তিনদিন ধরে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে গেছে। তাই এখন এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার এবং আদালত। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা আগে বিবেচনায় রাখা হচ্ছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে বছরের শুরুতেই এই বছরের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় বলা হয়েছিলো জুলাই এবং আগস্টে। তবে ক্লাস শুরু করা না গেলে বোর্ড পরীক্ষা পেছনো হবে কিনা সেই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখনো কোনো ঘোষণা আসেনি।
তবে সিলেবাস সংক্ষেপনের কাজ চলছে বলে বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়। আর গত বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল পূর্বের অষ্টম শ্রেণী এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরি করা হচ্ছে। রিট জারি করা হয়েছে এবং আদালত পরীক্ষা ছাড়াই ফলাফল প্রকাশের অনুমতি দিয়েছে। খুব শীঘ্রই সেই ফল প্রকাশ করা হবে।