২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিলাম। আমি সাইন্স এর ছাত্রী।এসএসসি পরীক্ষারর শেষ দিন উচ্চতর গণিত পরীক্ষা ছিল। শেষ পরীক্ষা ছিল তাই স্যাররা এত কড়া গার্ড দেয়নি। আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালভাবে উচ্চতর গণিত পরীক্ষাটা দিলাম। স্বভাবতই শেষ পরীক্ষা আর পরীক্ষাটাও অনেক ভাল দিয়েছি তাই মনটা অনেক ভাল ছিল সেদিন। পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে বান্ধুবীদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানটাও করলাম। পরীক্ষার হল থেকে বের হলেও যে কলেজে সিট পড়েছিল সেখান থেকে বের হইনি তখনও। করণ পরীক্ষা শেষ বান্ধুবীদের সাথে অনেকদিন দেখা হবেনা তাই গল্পকরাও যেন শেষ হচ্ছিল না। হঠাৎ করে বাইরে অনেক গ্যাঞ্জাম শুনতে পেলাম। শুনলাম পরীক্ষার শেষে নাকি কিছু ছেলে মারামারি করেছে তাই বাইরে অনেক বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। তাই আমি আর আমার কয়েকজন বান্ধুবীর সেই পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের হতে দেরি হল। অনেকে আবার গ্যাঞ্জামের আগেই চলে গেছে। আমি যার সাথে প্রতিদিন পরীক্ষারর শেষে বাসায় গেতাম সেও অনেক আগে চলে গেছে। তো আমাদের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের হতে দেরি হল। বের হয়ে সাদিয়াকে ( আমি প্রতিদিন যার সাথে বাসায় যাই) অনেক খুজলাম। শুনলাম ও নাকি অনেক আগেই চলে গেছে। তো একাই পথচলা শুরু করলাম। রাস্তার মাঝে হঠাৎ একটা দোকানের সামনে এসে কিছু খেতে ইচ্ছা করল। তখন ভাবছি যে আমার কাছে তো টাকা নেই কিভাবে খাব। তবুও ব্যাগে হাত দিলাম কোনো এক্সট্রা টাকা পাই কিনা। কিন্তু আযব ব্যাপার ব্যাগে হাত দিয়ে দেখি ব্যাগে এক টাকাও নেই। তখন মনে পড়ল আজকে তো মার কাছ থেকে অটোভাড়াটা রাখতে ভুলেই গেছি। এখন কি করি? তখন ভাবলাম জোরে হাঁটা দেই তাহলে হয়ত সাদিয়াকে ধরতে পারব এবং আন্টির ( সাদিয়ার মা) কাছ থেকে ১০ টাকা নিতে পারব এবং সেটা দিয়ে অটোভাড়া দিব। তো তাই করলাম। অনেক তাড়াতাড়ি কিছুদূর হাঁটার পর দেখলাম কিছু সামনে সাদিয়াকে দেখা যাচ্ছে। তখন মনটা পুলকিত হয়ে উঠল। অনেকটা দৌড় দিয়ে সাদিয়াদের ধরলাম। তারপর আন্টিকে বললাম যে আমি আজকে মার কাছ থেকে অটোভাড়া রাখতে ভুলে গেছি আমার ১০ টাকা লাগবে। আন্টিকে বললাম তাও ভাল রাস্তার মাঝে আমার কিছু খেতে ইচ্ছা হয়েছিল নাহলে তো জানতেই পারতামনা যে আমার কাছে টাকা নেই। আন্টি তখন বলল যে কিছু খাবা? কিনে দিব? আমি বললাম না না আমার ১০ টাকা হলেও চলবে। তখন আন্টির কাছ থেকে ১০ টাকা নিয়ে পথচলা শুরু করলাম অটোর উদ্দেশ্যে আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম জীবনে কোনোদিন রাস্তায়য় কিছু খেতে ইচ্ছে করেনা আর আজকে হঠাৎ করে খেতে ইচ্ছা করল। সাথে সাথে এটাও ভাবলাম যে এটা আল্লাহরই অশেষ রহমত। কারণ আজকে যদি কিছু খেতে না ইচ্ছা করত তাহলে আমি জানতেই পারতামনা যে আমার কাছে কোনো টাকা নেই। আর সেভাবেই যদি অটোতে উঠে বাড়িতে যেতাম তাহলে বাড়ির সামনে নেমে ভাড়া দেওয়ার সময় দেখতাম আমার কাছে টাকা নেই। তখন অটোওয়ালার সামনে আমাকে কি লজ্জাজনক পরিস্থিতিতেই না পরতে হত। এটা ভাবতে লাগলাম আর আল্লাহর রহমতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে লাগলাম মনে মনে। আর আমার মনে হতে লাগল আল্লাহর প্রতি অনুগত থাকলে আল্লাহ এভাবেই তার বান্দাদেরকে সকল বিপদ- আপদ থেকে রক্ষা করেন।কপকপজপ
ইসমে আজম পড়ার সময়, কখন পাঠ করবেন
ইসমে আজম পড়ার সময় ইজমে আজম হলো সেই দোয়া যে দোয়া আল্লাহ'র গুণবাচক নাম গুলো দিয়ে করা হয়। এই গুণবাচক...