সুন্দর এই পৃথিবীতে সবাই সুখী হতে চায়। আমাদের এই পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যারা মনে করে টাকাই সব সুখের মূল। আবার অনেকে মনে করে, মনের সুখ হলো বড় সুখ। এই মনের অন্তস্থলের সুখকে টাকা দিয়ে কখনোই কেনা যায় না। সত্যি কি তাই?
আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের এবং জাতের মানুষ বসবাস করে। বিভিন্ন মানুষের চাওয়া বিভিন্ন রকম।এর মধ্যে অন্যতম মানুষ হচ্ছে তারা যারা কিনা সুখ পাওয়ার জন্য অসম্ভব কল্পনার পেছনে ও ঘুরে থাকেন। তবুও অনেকে সেই সুখ টাকে নিজের অন্তরে বাসা বাঁধতে অক্ষম।
সবাই শুধু সুখ চায়।কিন্তু এই সুখটাকে নিজের করে পেতে কখনো কি আমরা এটা চিন্তা করে দেখেছি যে কিভাবে এই সুখটাকে আমরা আমাদের নিজের কাছে পেতে পারি! সুখটাকে আমার সারা জীবনের বন্ধু বানাতে পারে। সত্যি কথা বলতে এরকম ভাবে চিন্তা করার সময় আমাদের কয়জনের বা হয়।
চাকরিজীবী তার চাকরিতে ব্যস্ত, টাকাওয়ালা কিভাবে টাকা আয় করবে সেটায় সে মশগুল। তাহলে বলুনতো সেই সুখটাকে কারা খুজবে?
চারিদিকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলেই আমরা দেখতে পারবো যে যারা দিন এনে দিন খায় তারাই সবচাইতে সুখী মানুষ। টাকার উপর শুয়ে থাকা মানুষগুলোর চাইতে গরীব খেটে খাওয়া মানুষের সুখ দ্বিগুণ।
একজন গরীব রিক্সাওয়ালা যখন সারাদিন উপার্জন করে ঘরে এসে খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়ে, তখন তার মনে হয় পেছনের সব কষ্ট ফেলে দিয়ে সুখের ছায়ায় স্থানান্তর হয়েছে। আরাম আয়েশের ঘুম যেন এইমাত্র সুখ এনে দিচ্ছে। তাকে নিঃসন্দেহে প্রশ্ন করলে সেও নিঃসন্দেহে উত্তর দিবে আমি পৃথিবীর সব চাইতে সুখী মানুষ।
টাকা ওয়ালার টাকার চিন্তা আর গরিবের পেটের খিদে মেটানোর চিন্তা।
টাকাওয়ালা সারাদিন টাকা কামানোর চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর পর যখন বাড়িতে এসে বিশ্রাম নেয় তখন যেন তার মস্তিষ্কে রয়ে যায় কিভাবে কাল সে আরো বেশি করে উপার্জন করতে পারবে। সেই চিন্তায় তার রাতের ঘুম হারাম।
তাহলে একজন টাকাওয়ালা অন্যজন রিক্সাওয়ালার মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করলে এটাই বুঝা যায় যে যার যত বেশি টাকা সে তত বেশি উপার্জনলোভী। তার চাওয়ার কোন শেষ নেই।আর যে ব্যক্তি রিক্সা চালিয়ে দিন এনে দিন খায় সে ব্যক্তি সারাদিন উপার্জন করার পর এক ঘুমের মধ্যে সব সুখ মিলিয়ে নেয়।