লিখতে হয়তো সবাই পারে কিন্তু ভালো লেখক হওয়া সকলের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। একজন লেখক শুধু লিখা প্রকাশ করে না বরং তার লেখায় ফুটে ওঠে অক্ষরের মায়াজাল যে জালে পাঠকেরা আটকে থাকতে চায় বছরের পর বছর। একজন গুণী লেখক তার শব্দভাণ্ডারের কল্পনা রাজ্য তৈরী করে।
একজন লেখক বেঁচে থাকে তার পাঠকের মাঝেই। লিখালিখি একধরণের সৃষ্টি। প্রতিটি শব্দ ,বাক্য ,লাইনের মিলন মেলায় পরিণত করে একজন লেখকের রচনা। একজন প্রকৃত লেখক কেউ এমনি এমনি হয়ে উঠে না। তার জন্য দরকার অনেক সাধনা ,অনেক পরিশ্রম। একজন লেখক হবার গুণাবলী সমূহ সংক্ষিপ্ত আকারে নিচে প্রকাশ করা হলো :
১.লিখালিখি শুরু করুন উচ্চাকাঙ্খা নিয়ে : লিখালিখি শুরু করতে হবে কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে। কারণ উদ্দেশ্যহীন গন্তব্যে কখনো সফলতায় আহরণ করা যায়না। তাই একজন লেখক হতে হলে আপনার কিছু উদ্দেশ্য থাকতে হবে।
২.বাক্যচয়ন সংক্ষিপ্ত করুন : একজন প্রকৃত লেখক হতে হলে আপনার বাক্যচয়ন এর দিকে দৃষ্টিপাত করতে হবে। প্রতিটি বাক্য হতে হবে সংক্ষিপ্ত ও মাধুর্যপূর্ণ।
৩.সংক্ষিপ্ত এবং দীর্ঘ বাক্যের সংমিশ্রণ : সংক্ষিপ্ত বাক্যের পাশাপাশি দীর্ঘ বাক্যের যুগল বন্দি লেখায় ফুটিয়ে তুলবে মাধুর্য।
৪.ব্যবহার করতে হবে সঠিক শব্দটি : প্রকৃত শব্দটি ফুটিয়ে তুলতে হবে আপনার লেখায়। যে সকল শব্দ বাড়াবে আপনার লেখার সৌন্দর্য।
৫.নিজের লিখাটি শেষ করবার আগে পড়ুন : যখন লিখাটি শেষ হবে অবশ্যই নিজে একবার পরে নিবেন। মানুষ মাত্রই ভুল। ভুলক্রটি থাকবেই। কিন্তু যেই লিখা আপনার কাছেই পড়তে আকর্ষণীয় হবে না। তা আপনার পাঠকের কাছে উপস্থাপন করা বৃথা চেষ্টার সামিল।
৬.উপসংহার এ আনুন মাধুর্য : মনে রাখবেন আপনার লিখার উপসংহার তা হবে প্রতিটি পাঠকের কাছে একটা বার্তা যা আপনি পুরা লিখাটির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন। তাই আপনার লিখার পরিসমাপ্তি সুন্দর করে উপস্থাপন করে তুলতে চেষ্টা করুন।