আজকে Health related একটা টপিক নিয়ে আর্টিকেলটি লিখব।এটি কমন একটি চর্মরোগ অর্থাৎ একজিমা।একজিমা সম্পর্কে হয়তো অনেকেই কিছুটা জানেন আবার অনেকেই জানোন না।যাই হোক আজকে একজিমার কারণ,এর থেকে কিভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন এইসব নিয়ে আলোচনা করব।তো চলুন শুরু করা যাক আজকের টপিক।
একজিমা কী?
একজিমা এমন একটি অবস্থা যেখানে ত্বকের দাগ ফোলা, চুলকানি, লাল, ফাটা এবং রুক্ষ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে ফোস্কা দেখা দিতে পারে।
বিভিন্ন কারণে এই ত্বকীয় সমস্যাটি হতে পারে,যেমন
-দেহের ইমিউনিটি কমে গেলে
-হরমোনজনিত সমস্যা হলে
-অনেক সময় ধরে নিয়মিত রোদে থাকলে
-যেসব খাবারগুলোতে এলার্জি আছে সেই খাবারগুলো বেশী পরিমাণে খেলে
-যারা অতিরিক্ত কসমেটিকস ব্যবহার করছেন,সেগুলোর দ্বারাও এই একজিমা হতে পারে
-সানস্ক্রিন ব্যবহারেও একজিমা দেখা দেয়,অর্থাৎ পার্শপ্রতিক্রিয়া হিসেবে একজিমা হতে পারে
-ধূমপান করলে
-জেনেটিক্স কারণে,অর্থাৎ আপনার পরিবারের বা বাবা মার এই একজিমাজনিত সমস্যা থাকলে আপনার এটি হওয়ার কিছু সম্ভাবনা থাকে
-অবাক করা বিষয় হলো,অনেক সময় পরিবেশও এই রোগটির জন্য দায়ী
এর লক্ষণ কী?
-এর কারণে ফুসকুড়ি হয়।ত্বকের ফুসকুড়িগুলি সাধারণত কনুই বা হাঁটুর পিচনে বা ঘাড়ের স্থানে প্রদর্শিত হয়। ফুসকুড়ি শরীরের বেশিরভাগ অংশ জুড়েই দেখা যায়। তবে ফুসকুড়ি বিশেষ করে ঘাড়, মুখ এবং চোখের চারপাশে উপস্থিত হতে পারে। ফুসকুড়ির জন্য ত্বক খুব শুষ্ক বা Dry হয়ে যায়। এই ফুসকুড়ির জন্য স্থায়ী চুলকানি হতে পারে। আর এই ফুসকুড়ি থেকেই ত্বকে Rash হয়।অর্থাৎ খুবই অসহ্যনীয় একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।তবে একটা জিনিস জেনে রাখা দরকার, অনেকেই মনে করেন যে একজিমা ছোঁয়াচে রোগ,কিন্তু আসলে তা নয়।তাই আশে পাশে করো একজিমা হলেও আপনার চিন্তা করতে হবে না।
একজিমা রোগ হলে সাধারণত ডাক্টাররাই মলম,মেডিসিন কন্ডিশনের উপর ভিত্তি করে প্রেসক্রাইভ করেন।আবার কিছু ঘরেয়া নিয়মও পালন করতে পারেন যেমন
-অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে সেটার সাথে ভিটামিন অয়েল, বাদাম তেল মিশিয়ে প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।
-শসার রস দিয়ে, যেস্থানে সেখানে একজিমা হয়েছে সেখানে একটি প্রলেপ দিতে পারেন এতে উপকার হবে।
এছাড়াও একজিমা হতে দূরে থাকতে কিছু নিয়ম পালন করা জরুরীঃ
-প্রতিদিন কুসুম গরম পানিতে স্নান করুন
-স্নান করা শেষ হলে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন
-রাতে ঘুমানো আগে আপনার ত্বকে নারিকেল তেল দিয়ে মালিশ করতে পারেন এতে আপনার ত্বক ঠিকঠাক থাকবে।
-সুতি এবং নরম কাপড় পরুন, মোটা ও মোটা ফাইবার এবং আঁটসাঁট পোশাক এড়িয়ে চলুন
-কখনোই নোংরা, বা পচা-বাশি খাবার যেমন ডিম এগুলো খাবেন না
-আপনার নখ বড় হতে দেবেন না। দরকার হলে বাজারে প্লাস্টিকের অনেক নখ পাওয়া যায়,সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
-রোদ, ধুলোবালিতে কম যান
-ভিটামিন যক্ত ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং অবশ্যই দৈনিক ৭-৮ লিটার পানি খান এতে স্কিন প্রবলেমে হওয়ার সম্ভবনা কমে যায়।
আশা করি এ নিয়ম গুলো মেনে চললে একজিমা হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন।তাই নিয়মগুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
–