১৯৭১ সাল।পাক হানাদার বাহীনিরা গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিচ্ছে।নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে।আকাশে কালো মেঘ। চারিদিকে আধার ঘনিয়ে আসছে। মানুষ বাচার জন্য যে সেখানে পারে লুকাচ্ছে। কেউ আত্নীয়-স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছে,যেসব জায়গা গুলোতে তখন পাক বাহীনি ধ্বংশযঙ্গ চালায় নি।সেই সময়টা ছিল খুব খারাপ সময়।দেশে যুদ্ধ লেগেছে।
বর্ষার দিন ছিল। এক ধনী ব্যক্তি তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি বড় নৌকা করে নদী পথে চলাচল করবেন, যেসব জায়গায় নিরাপদ।বড় নৌকা ছিল তাই আরে ১৫-২০ জন লোক তাদের সাথে তাদের নৌকায় উঠল।যেই ঘাট থেকে নৌকা ছাড়বে প্রায় পাক বাহীনি চলেই আসতো।তাই তারা তারাতাড়ি নৌকার ইঞ্জিন চালু করে যাএা শুরু করে।মানুষজন তাড়াতাড়ি করে মূল্যবান জিনিস পএ টাকা-পয়সা, সোনা দানা নিয়ে নৌকায় উঠেছিল।বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয় নৌকা চলতেই থাকে।একটু রাত বেশি হলেই নৌকা থামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।আবার হয়ত কাল সকালে যাএা শুরু হবে।নৌকার সব সময় গন্তব্য ছিল যেসব এলাকা মুক্তিবাহিনীর দখলে সে সব এলাকা।পাক বাহীনি নদী পথেও নৌকা বোর্ড নিয়ে চলাচল করে।তাদের নৌকাটি কয়েকবার পাক বাহীনির সামনে পড়ার মত অবস্থা হয়।তখন যাএী রা নৌকার নিচে বড় জায়গা যাকে সেখানে লুকায়।পাকবাহীনি যাতে বুজতে না পারে মানুষ আসে। উপরে শুধু চলক আর তার সহকারী যাকে।নৌকার মানুষরা নদী পথে যেতে দেখে মানুষ মেরে নদীতে ফেলে দিয়েছে,গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে।ঘরবাড়ি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেসে।মুক্তিবাহীনি বেরিয়ে পড়লে সেই নৌকার সাথে পথে দেখা হয়।নৌকার যাএীদের মধ্যে অনেকে মুক্তি বাহীনিতে যোগদেয়। সেই সময় মুক্তিবাহীনি তাদোর নৌকার মাধ্যমে গেরিলা পদ্ধতিতে অ্যার্টাক এর সিদ্ধানৃত নেয়।তারা অবশ্য সেই অপারেশনে সফল হয়। এর পরে একটি খন্ডযুদ্ধ হয় সেখানে অনেক শহীদ হয়। খন্ড যুদ্ধের পর তাদের নৌকা আবার ছাড়ে। পরে তারা মুক্ত অঞ্চলের সন্ধান পায়।সেখানে মুক্তিবাহীনি লাল-সবুজ পতাকা তুলে উল্লাস করছিলো।