Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

এক ভুয়া ডাক্তারের পরিণতি

এক গ্রামে বাস করতো এক ফেল মারা ছাত্র। টেনেটুনে সে ৪র্থ বারের বার এসএসসি পাশ করেছে। এরপর দীর্ঘ ১৫ বছর তার কোনো পাত্তাই ছিল না। সকলে মনে করেছিল, সে হয়তো বেঁচেই নেই। তার পরিবারও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিল। পরে দীর্ঘ ১৫ বছর পার হয়ে যাওয়াতে তাকে প্রায় সবাই কমবেশী ভুলে গিয়েছিল।

সে গ্রাম থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। গ্রামের সবাই তাকে নিয়ে মজা করতো। এই দুঃখে সে তার নিজের পরিবার ছেড়ে, গ্রাম ছেড়ে অজানার পথে পাড়ি জমায়। সে পালিয়ে ঢাকা শহরে গিয়ে একটা হোটেলের ওয়েটার এর চাকরি পায়। সেখানে কাজ করতে করতে প্রায় ৩ বছর অতিবাহিত হয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে সে এক হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় এর চাকরি পায়।

এখানে সে দীর্ঘ ১০ বছর কাজ করে। বিভিন্ন ডাক্তারের সাথে তার পরিচয় হয়। তারা কি ঔষধ দেয় তাও তার মুখস্ত হয়ে যায়। এভাবে সে অনেকটা ডাক্তারির কাজগুলো শিখে যায়। কিন্তু, ডাক্তারি শিখা, আর ডাক্তার হওয়া এক বিষয় না, এটা সে বুঝতে পারে নি।

একদিন এক দালালের চক্করে পরে সে ডাক্তারি শিখতে ওই দালালের সাথে যায়। দালাল তাকে এক মাস আউল-বাউল শিখায়ে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে একটা জাল ডাক্তারি সার্টিফিকেট দেয়। আর সে সেটা পেয়েই মহা-খুশি হয়। সে আরও দেড় বছর বিভিন্ন ক্লিনিকে ওয়ার্ডবয় এর কাজ করে। এরপর একদিন তার গ্রামে ফিরে আসে। গ্রামে এসেই সে একটা ডাক্তারি চেম্বার খুলে বসে। গ্রামের সবাই তাকে দেখে তো অবাক। যে ছেলে মেট্রিকে ৩ বার ফেল মারে, সে কিনা ডাক্তারি পাশ করে গ্রামে ফিরেছে। কেউই বিশ্বাস করতে চায় না।

ফলে কোনো রোগীও তার কাছে আসে না। কিন্তু ১ মাস পর, এক মূমুর্শ রোগী তার চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠলে গ্রামের সবাই তাকে বিশ্বাস করতে শুরু করে।
ফলে তার চেম্বারে রোগীর আনা-গোনা লেগে গেলো। তার সঠিক চিকিৎসায় প্রায় সবাই সুস্থ হয়ে উঠত। সে ডাক্তার না হলেও, ডাক্তারদের সাথে থাকতে থাকতে সে কোন রোগের কি ট্রিটমেন্ট দিতে হয়, সব জেনে গেছে। এবং সে অনুযায়ী সে রোগীদের ট্রিটমেন্ট করতে থাকে।

একবার ওই গ্রামের এক ব্যাক্তির চিকিৎসায় সে ফেল মেরে বসে। কারণ, সে তো আর পরিপূর্ণ ডাক্তার নয়। ডাক্তারি শিখা আর ডাক্তার হয়ে যাওয়ার মধ্যে যে অনেক ফারাক, সেটা তাকে কে বুঝাবে? তার অল্প জ্ঞানের চিকিৎসার কারণে ওই ব্যাক্তির রোগ আর বেড়ে যায়। একসময় রোগী মরে যায়।

ওই ব্যাক্তির পরিবার তখন পুলিশের কাছে গিয়ে ডাক্তারের উপর কেস করে।
পুলিশ এসে তার ডাক্তারি সার্টিফিকেট দেখতে চাইলে সে সরল মনে তা বের করে দেয়। পুলিশ দেখেই বুখতে পারে যে, এটা কোনো ডাক্তারি সার্টিফিকেট না। এটা তো একটা জাল সার্টিফিকেট।

ফলে মার্ডার কেসের আসামি হয়ে যায় ছেলেটি। আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।


দেখি কার চোখের পাওয়ার বেশি – ছবিগুলোর উত্তর

ছবি নাম্বার #৩ : ১৯ টি কুকুর

ছবি নাম্বার #২ :  ৯ টি বিড়াল

ছবি নাম্বার #১ :  ১৬ টি হাঁস

দেখি কার চোখের পাওয়ার বেশি (পোস্টের লিংক)

Related Posts

6 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No