সামরিক শক্তির দিক দিয়ে এশিয়ার সাড়া বিশ্বের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মহাদেশ। এশিয়ায় যেমন রয়েছে ভারত ও চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র তেমন বহু ছোট ছোট দেশ।
এ তালিকায় তুলে ধরা হলো এশিয়ার সেরা ১০ সামরিক শক্তির নাম।
নাম্বার ১০/ ভিয়েতনাম – ভিয়েতনামের সেনাবাহিনী ঐতিহাসিক ভাবে লড়াকু এবং বহু যুদ্ধে জয়লাভ করেছে । ভিয়েতনামে যুগে যুগে হামলা করেছে চীন, মঙ্গোলিয়া , ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র পরে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে সব দেশকেই পরাজিত করেছে তারা। বর্তমানে সোশালিষ্ট রিপাবলিক অব ভিয়েতনামের সেনাবাহিনী এশিয়ার ১০ম হিসেবে পরিচিত।
নাম্বার ৯/ ইন্দোনেশিয়া – ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর সক্রিয় সদস্য সংখ্যা প্রায় চার লাখ। ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনীর ব্যয়ও প্রচুর। দেশটি জিডিপির প্রায় চার শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করে।
নাম্বার ৮/ তাইওয়ান- চীনের অন্তর্গত হলেও তাইওয়ানের রয়েছে পৃথক সেনাবাহিনী। তাইওয়ানের সেনাবাহিনীর আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন মারণাস্ত্রগূলো যে কোন দেশের সেনাবাহিনীর জন্য ঈর্ষার বিষয়।
নাম্বার ৭/ পাকিস্তান- পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এশিয়ার মধ্যে অন্যতম। এদেশটিতে পরমাণু বোমাসহ আরও বহুধরনের আধুনিক সমরাস্ত্রও রয়েছে। সেনাসদস্যের দিক দিয়ে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এশিয়ার মধ্যে সপ্তম বৃহত্তম।
নাম্বার ৬/ ইসরায়েল- জিডিপির অনুপাতে সামরিক বাহিনীর অর্থ খরচ হিসাবে ধরলে ইসরায়েল উন্নত বিশ্বের মধ্যে বিশ্বের সর্বোচ্চ ব্যয় করে প্রতিরক্ষায়। ইসরায়েলের রয়েছে শক্তিশালী সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী। অনেকেরই ধারণা ইসরায়েল পারমাণবিক বোমা বানিয়েছে। তবে তা কখনো প্রকাশ করা হয়নি।
নাম্বার ৫/ জাপান- দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর থেকে জাপানি সেনাবাহিনীকে সীমিত করা হয়েছে। তার পরেও জাপান বর্তমানে সামরিক শক্তিতে বেশ অগ্রগামী। জাপানের সামরিক বাজেট বিশ্বের অষ্টম। এখন শুধু আত্নরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাপানের সেনারা কাজ করতে পারে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর দীর্ঘদিন বিরতি শেষে ইরাকে যৌথ বাহিনীতে অংশগ্রহণ করে জাপানের সেনারা।
নাম্বার ৪/ দক্ষিণ কোরিয়া – সামরিক বাহিনীর জন্য ব্যয়কৃত অর্থের তালিকায় বিশ্বের ১০ম দেশ দক্ষিণ কোরিয়া । এ দেশটি তাদের মোট জাতীয় উৎপাদনের ২ দশমিক ৮ শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করে । এ দেশটির সক্রিয় সামরিক বাহিনীর সদস্য বিশ্বের ষষ্ঠ ।
নাম্বার ৩/ তুরস্ক – তরুস্কের সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৪ লাখ ৯৫ হাজার। এ দেশটির সেনাসদস্য নেটো দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। তরস্কের সামরিক বাহিনীর শুধু পদাতিক সেনাই নয়, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্য সংখ্যাও প্রচুর। ন্যাটোর সদস্য হিসেবে তুরস্ক অন্যান্য দেশগুলো থেকেও আরও কিছু সুবিধা পায়।
নাম্বার ২/ ভারত – ভারতও চীনের মতো স্বীকৃত পারমাণবিক শক্তিধর দেশ । ভারতের সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বিশ্বের তৃতীয় । এ দেশটি সামরিক বাহিনীর জন্য ব্যয় করা অর্থের দিক দিয়ে বিশ্বের নবম । জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে প্রায় এক লাখ ভারতীয় সেনাসদস্য কাজ করছে।
নাম্বার ১/ চীন – সব মিলিয়ে চীনের সামরিক বাহিনী এশিয়ার শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে।
শেষ করার আগে বাংলাদেশের কথা বলে নেই । বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এশিয়ায় অবস্থান জানা না গেলেও দক্ষিণ এশিয়ার সমরিক শক্তির দিক দিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে । দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের আগে সমরিক শক্তির দিক দিয়ে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমার । বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুধু দেশে নয়, সাড়া বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে । জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী । এছাড়া দেশের উন্নয়ন কাজে বিভিন্ন প্রকল্প বাসস্তবায়নেও সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
Ok
Oh
Nice
Nice post.
https://workupjob.com/?a=3098645
gd