ওজন কমানোর উপায়!

অতিরিক্ত ওজন আমাদের জীবনে বিপরীত প্রভাব ফেলে। আমাদের মনযোগ নষ্ট করে ক্ষতিসাধন করে। আমাদের কে দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়। আর এই দুশ্চিনার কারণে আমাদের ওজন আরো বৃদ্ধি পায়। আজকে আলোচনা করব কীভাবে আপনি ওজন কমিয়ে ফিট থাকতে পারবেন এবং সুন্দর জীবন পরিচালনা করতে পারবেন। ওজন কমানো প্রথম শর্ত হলো দুশ্চিনা করা যাবে না। কারণ এক গবেষণায় দেখা গেছে যে দুশ্চিন্তায় পরা মানুষরা অন্যদের থেকে বেশি খাবার খায় শুধুমাত্র তাদের দুশ্চিনা করার কারণে। তাহলে বুঝতেই পারছেন আপনি যদি ওজন কমানো জন্য দুশ্চিনা করেন তাহলে লাভ হবে না বরং আর ক্ষতি হবে। আপনার ওজন আরো বাড়বে। তাই দুশ্চিনা করা যাবে না। সবসময় হাসিখুশি থাকতে হবে। তাহলে ওজন কমানো সম্ভব।

আপনি নিশ্চয়ই এটা বিশ্বাস করেন যে, কোন কিছু নির্মুল করতে হলে তার উৎস বন্ধ করে দিতে হয় তাহলে তা আপনাআপনিই নির্মুল হয়ে যায়। যেমন আপনি একটা পুকুরের পানি শুকিয়ে ফেলতে চান, তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম পুকুরের পানির উৎস বন্ধ করতে হবে তারপর পানি সেচতে হবে। তাহলে পুকুরটা শুকিয়ে যাবে এবং আপনি আপনার চাওয়া পূরণ করতে পারবেন। ঠিক তেমনই আপনি যদি আপনার শরীরে ক্যালরি প্রবেশের পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে পারেন তাহলে আপনি অতিশীঘ্রই ওজন কমাতে পারবেন।

আমরা সবাই জানি যে শরীরে যত বেশি ক্যালরি জমা হবে তত ওজন বাড়বে। অর্থাৎ চর্বি বাড়বে।এজন্য আপনি চাইলে একটি ডায়েট চার্ট বানাতে পারেন, আপনি দিনে কত ক্যালরি খাবেন। গুগুলে সার্চ করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোন খাবারে কত ক্যালরি রয়েছে। আপনি যদি এভাবে ক্যালরি হিসেব করে খাবার খান তাহলে অনেক তাড়াতাড়ি ই আপনি এর ফল পাবেন।

আপনি প্রতিদিন সকালে একটি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এতে ক্যালরি কম। কিন্তু ডিমের সাদা অংশ আপনাকে বার বার খাওয়া থেকে বিরত রাখবে। দুপুরবেলায় আপনি সামান্য পরিমাণ ই খাবার খাবেন আর রাতে শুধুমাত্র ফল-মূল আর পানি খাবেন। এভাবে এক মাস করলে খুব ভালো একটি ফল পাবেন। আর মাথায় রাখবেন, খাবারের ৫ মিনিট আগে এবং খাবারের ১০ মিনিট পর পানি পান করবেন। এতে খাবার ঠিকমত পরিপাক হয় এবং ওজন বাড়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না।

শরীরে শুধু কম ক্যালরি প্রবেশ করালেই তাড়াতাড়ি ফল পাওয়া যাবে না। শরীর থেকে ক্যালরি বেরও করতে হবে। তাড়াতাড়ি ফল পেতে হলে আপনাকে দৈনিক ২০-৩০ মিনিটের মত শারীরিক কসরত করতে হবে। এমন সব কসরত করতে হবে যাতে করে আপনার ঘাম ঝড়ে। আপনি চাইলে প্রত্যেক দিন সকালে এবং বিকেলে।দৌড়াতে পারেন বা সাইকেলিং করতে পারেন।

দুশ্চিনা ছাড়া যদি এসব করতে পারেন তাহলে অতিশীঘ্রই আপনি ওজন কমিয়ে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন।

Related Posts