আমার প্রথম লেখা এই আর্টিকেলটি হতে চলেছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তাই মনযোগ দিয়ে পড়লেই অনেককিছুই জানতে পারবেন।আজ মূলত লিখব করোনা থেকে বাঁচার উপায় এছাড়াও কোন আক্রান্ত ব্যক্তিও এই আর্টিকেল অনুসরণ করতে পারেন,কারণ অনেক বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের সমন্বয় ঘটাব আমার এই আর্টিকেলে।
প্রথমত, বলতে চাই করোনা ভাইরাসের জিণগত পরিবর্তন নিয়ে।ভাইরাসটি তার জিণগত পরিবর্তন ঘটাতে যথেষ্ট সক্ষম হচ্ছে।এখন ভাইরাসটির নতুন জিণ দ্বারা আক্রান্ত হলে ব্যক্তির কোনোরকমই উপসর্গ দেখা যাবে না,মনে হবে একদম সুস্থ মানুষ অথচ তিনি ভাইরাস বহন করছেন আর দুর্ভাগ্যবশত এইক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির দ্বারা ভাইরাসটির আরও ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা সৃষ্টি হচ্ছে।তাই এখন আপনার অন্য কোন উপসর্গ ছাড়াও শুধু খানিক জ্বর আসল আর সেরেও গেল,তবুও নমুনা পরীক্ষা করলে রেজাল্ট হয়তো আসতে পারে পজিটিভ।তাই এখন থেকেই সাবধান হয়ে যাওয়া উচিত।আপনার যদি জ্বর জ্বর লাগে তাহলে পরিবারের অন্য সবার থেকে অতিদ্রুত আলাদা হয়ে যান।সবচেয়ে বড় কথা আপনি হয়তো নিজেও জানেন না যে আপনি ভাইরাসটি ক্যারি করছেন,অথচ আপনি একদম সুস্থ। যাইহোক,যদি হালকা জ্বর জ্বর অনুভব করেন তাহলে নিচের টিপস গুলো মেনে চলুন আশা করি করোনা ভাইরাস আপরার ভিতরে প্রবেশ করলেও যেন ক্ষতি করতে না পারে।মূলত এই করোনা মৌসম উপলক্ষে নিচের নিয়মগুলো সবাই সাময়িকভাবে দৈনিক জীবনে যুক্ত করার চেষ্টা করুন।
১)অবশ্যই ৭-৮ গ্লাস জল খান।তবে নিশ্চিত থাকতে হবে পানি যেন কুসুম গরম হয়।আপাতত কয়েকমাস নরমাল ঠান্ডা তাপমাত্রার জল খাবেন না।
২)১টা করে জিংক (৭-৮ মিগ্রা) ট্যাবলেট খেতে পারেন।এতে করে এতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয় কমতে পারে,এছাড়া D-Cap ও চাইলে খেতে পারেন (যদি আপনার কাছে মনে হয় যে আপনি প্রায় আক্রান্ত)।
৩)প্রতিদিন অন্তত একটি করে সিভিট খান।আর কুসুম গরম জলের সাথে লেবু মিশিয়ে খান(চিনি না দেয়াই ভালো)
৪) একটি ম্যাজিকাল মিশ্রণের কথা বলব করোনায় যেটির প্রভাব বেশ ভালো।ম্যাজিকাল মিশ্রণটি তৈরির জন্য জলের সাথে তুলসি পাতা,লবঙ্গ,এলাচ, দারুচিনি, গোলমরিচ,তেজপাতা মিশিয়ে এটিকে গরম করুন করুন।আর মিশ্রণ টি একদিনে তিন বার করে খাবেন।কাঁচা হলুদ যদি পান একটু করে খারেন,এতে বেশ উপকার।
৫)আদা চা তো মাস্ট।
৬)কালোজিরার ভর্তা খাবেন।যেটি আপনার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।
৭)কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন ভাত,রুটি আলু বেশী মাত্রায় খাবেন না।
৮)ডিম,দুধ,মাছ,মাংস,সবুজ শাক্ -সবজি,গাজর,ফল খাবেন ফলে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বাড়বে।
৯)শ্বাসতন্ত্রের ব্যায়াম করাটা অনেক জরুরী।শ্বাসতন্ত্রের ব্যায়ামের জন্য আপনাকে মাঝে ধীরে ধীরে, Relax ভাবে গভীর শ্বাস গ্রহণ ও আস্তে আস্তে ত্যাগ করতে হবে।এরফলে শ্বাসকষ্ট হওয়ার ঝুঁকিটা কমবে।
১০)ঠান্ডা,জ্বর আসলে একটা ফেনাডিন খেতে পারেন খুব কাজে দেয়।(তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে আরও ভালো হয়)
১১)এইসময় খুব বেশী ভাজাপোড়া, হাবিজাবি খাবেন না,কারণ পেট খারাপ,পাতলা-পায়খানা করোনার লক্ষণের মধ্যেও পড়ে। তাই পেট খারাপ হতে দিবেন না
১২)পারলে কিছুটা ব্যায়াম করুন আর পরিচ্ছন্ন থাকুন তবে বেশী হাত না ধোয়াই বেটার কারণ ঠান্ডা লাগলে ঝামেলা।তাই স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।পারলে হালকা গরম জলে গোসল/স্নান সেরে ফেলুন।
১৩)গরম জলের সাথে লবণ মিশিয়ে গারগল করবেন,পারলে গরম পানির ফাপ নিবেন এতে খুব উপকার।
১৪)গরম জলের সাথে নিমপাতা সেদ্ধ করে খেতে পারেন এতে যথেষ্ট উপকার হবে।
- ১৫)বস্তুতে থাকা জীবাণু থেকেও মানুষ কোভিড-১৯ রোগে (করোনাভাইরাস) আক্রান্ত হতে পারে।
কিন্তু চাইলে খুব সহজেই জীবাণু থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে বাজারে সহজলভ্য ব্লিচিং পাউডার খুবই কার্যকর হতে পারে। নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্লিচিং পাউডারের সঙ্গে প্রয়োজনমতো পানি মিশিয়ে এই জীবাণুনাশক তৈরি করা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ব্লিচিং পাউডারটি বাজারে গুঁড়া হিসেবে পাওয়া যায়। এটি দিয়ে দুই ধরনের জীবাণুনাশক হয়—একটি বেশি ঘনত্বের ও অন্যটি কম ঘনত্বের। বেশি ঘনত্বের জীবাণুনাশক দিয়ে অধিক সংক্রামক বর্জ্য, হাসপাতালের বর্জ্য ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির দেহ জীবাণুমুক্ত করা যায়।আর কম ঘণত্বের দিয়ে মূলত ফ্লোর টাইলস, বা ঘরোয়া জিনিসপত্রের উপর স্প্রে করা যাবে।
বেশি ঘনত্বের জীবাণুনাশক তৈরির প্রক্রিয়াঃ
বেশি ঘনত্বের জীবাণুনাশকের অনুপাত হবে ১: ১০। এ জন্য দুই লিটার পানির সঙ্গে এক টেবিল চামচ ব্লিচিং পাউডার যোগ করতে হবে। এরপর পানির সঙ্গে মেশার জন্য আধঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।
কম ঘনত্বের জীবাণুনাশক তৈরির প্রক্রিয়াঃ
এমন জীবাণুনাশকের অনুপাত হবে ১: ১০০। এ ক্ষেত্রে ২০ লিটার পানির সঙ্গে এক টেবিল চামচ ব্লিচিং পাউডার যোগ করতে হবে। পানিতে ব্লিচিং পাউডার যাতে ভালোভাবে মিশতে পারে, সে জন্য আধঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। মেশার পর বোতলে এই জীবাণুনাশক সংরক্ষণ করা যাবে।।তবে খেয়াল রাখবেন এটি যেন ত্বকে না লাগে।
উপরে যে একক্ষণ ধরে বকবক করলাম, এগুলো এই করোনা মৌসমে সেফ থাকার জন্য।তাই চেষ্টা করুন এগুলো পালন করার জন্য।ফলে সর্বোচ্চ ভাবে নিজেকে সেইফ রাখতে পারবেন।আবারও বলছি অনেক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের সম্বনয় এই নিয়মগুলি।তাই পালন করলে আপনারি লাভ।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন,ধন্যবাদ।
#Stay home #StaywithGRAthor