করােনা ভাইরাস আতঙ্ক নয় ! সুরক্ষার জন্য সচেতনতা জরুরী !

করােনা ভাইরাস আতঙ্ক নয় !

সুরক্ষার জন্য সচেতনতা জরুরী !

করােনা ভাইরাস :

জ্বর – কাশি হলেই আতঙ্কিত হবেন না , অনেকে মনে করেন এই বুঝি করােনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলাে । আসলে অন্যান্য ভাইরাসজনিত । জ্বরের মতােই করােনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে , একই রকম উপসর্গ দেখা দেয় । করােনা ভাইরাস মূলতঃ ফুসফুসে আক্রমন করে , জ্বরের সাথে শুকনা কাশি দিয়ে শুরু হয় এবং এক সপ্তাহের মধ্যে শ্বাসকষ্ট অনুভব হয় । এসব লক্ষণ দেখা দিলে রােগিকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়ােজন হয় । এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির রােগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে , করােনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের শতকরা ৮১ ভাগের শরীরে হালকা লক্ষণ দেখা দেয় , যা অন্যান্য ভাইরাল জুরের মতন চিকিৎসা দিলে ভাল হয়ে যায় । শতকরা ১৪ ভাগের শরীরে মাঝারি লক্ষণ এবং ৫ শতাংশ মানুষ গুরুতর অসুস্থ্য হয় । যারা বয়স্ক , যাদের কিডনীজনিত রােগ , হৃদরােগ , ফুসফুসজনিত রােগ , ডায়াবেটিক এবং উচ্চ রক্তচাপ আছে । তারাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত হয় এবং ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি ।

করােনা ভাইরাস প্রতিরােধে করণীয় :

ভাইরাস প্রতিরােধে ব্যক্তিগত সচেতনতার কোন বিকল্প নেই । তাই কভিট – ১৯ বা করােনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে সাবান । দিয়ে বারবার হাত পরিস্কার করতে হবে , হাঁচি – কাশি দেওয়ার সময় রুমাল বা টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে ফেলতে হবে এবং হাঁচি কাশি দেওয়ার পরপরই হাত ধুয়ে ফেলতে হবে । নাক , মুখ ও চোখে হাতের স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে । হাঁচি – কাশি বা জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে । আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিচর্যাকরীর মুখে বিশেষ মাস্ক পড়তে হবে । কখনােই নাক মুখ না ঢেকে হাঁচি – কাশি দেবেন না ।

প্রতিরােধে সুনির্দিষ্টভাবে যা করতে হবে :

নিয়মিত জীবণুনাশক , সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নিন ।

কাশি বা হাঁচি দিচ্ছেন এমন ব্যক্তি থেকে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন ।

হাত না ধুয়ে চোখ , নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন ।

হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু বা হাতের কনুই । দিয়ে নাক ও মুখ ঢেকে রাখুন ।

যেখানে সেখানে থুথু নিক্ষেপ করবেন না । অসুস্থ ব্যক্তি বা প্রাণীর সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত

থাকুন ।
কাপড় একবার ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন । বাড়ি ও কর্মক্ষেত্র নিয়মিত পরিষ্কার করুন ।

বাইরে ব্যবহৃত জুতা ঘরের ভিতরে ব্যবহার করবেন না । খালি পায়ে হাঁটবেন না ।

কারাে সঙ্গে হাত মেলানাে বা আলিঙ্গন করা থেকে বিরত থাকুন । | জ্বর , কাশি ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হােন এবং অন্যের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকুন ।

স্বাস্থ্যসেবায় নিয়ােজিত চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ অনুসরণ করুন । অসুস্থ বােধ করলে বাড়িতে অবস্থান করুন ।

জনাকীর্ণ স্থানে সতর্ক থাকুন , মাস্ক ব্যবহার করুন । শিশু , বৃদ্ধ ও ক্রণিক রােগীদের অধিকতর সতর্ক থাকতে বলুন ।

নিজেকে ও অন্যকে নিরাপদ রাখতে বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন । রান্না করার আগে ভালাে করে শাক – সবজি , মাছ , মাংস ধুয়ে নিন । যেকোনাে খাবার ভালাে করে সেদ্ধ করে রান্না করুন ।

Related Posts

13 Comments

মন্তব্য করুন