১.প্রতিদিন অন্তত চারবার গরম পানি পান করতে হবে।
২.গরম ভাপ নিতে হবে।
৩.লেবু খেতে হবে।
৪.আদা,লং,গোলমরিচ জাল করে খেতে হবে।
৫.প্রচুর ঘুমাতে হবে।
৬.মনের জোর বাড়াতে হবে।
৭.প্রতিদিন একটি করে ডিম সিদ্ধ করে খেতে হবে।
৮.হতাশ হওয়া যাবে না।
৯. আল্লাহর উপর নির্ভর করতে হবে।
১০.গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করতে হবে।
বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
১১.সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
১২. বয়স্ক ও শিশুদের সাবধানে রাখতে হবে।
১৩.অপ্রয়োজনে বাইরে যাওয়া যাবে না।
১৪.পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
১৫.বার বার হাত ধুতে হবে।
১৬.হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
১৭.কমলা,লেবু ইত্যাদি খেতে হবে।
১৮.ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে।
১৯.বাজার অনলাইনে অর্ডার করতেহবে । ২০.একাকী বোধ করলে পরিবারেরসদস্যদের সঙ্গে গল্পগুজব করতে হবে।
২১.সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবার সাথে যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে।
২২.আল্লাহর ইবাদত করতে হবে।
২৩.অবসরে গল্পের বই পড়তে পারেন।
“করোনা” ভাইরাসটি সর্ব প্রথম চীনে দেখা যায়। এই ভাইরাসটি খুব শক্তিশালী বলে মনে করেন গবেষকরা। কারণ এই ভাইরাসটির বাইরে প্রোটিন স্পাইক থাকে। যার জন্য ভাইরাসটি সহজে ধ্বংস হয়ে যায় না। আমাদেরকে তাই অনেক সচেতন হতে হবে। বর্তমান সরকার এই ভাইরাসটি ঠেকাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। তাই সরকার বিভিন্ন এলাকাকে বিভিন্ন জোনে ভাগ করেছে। এগুলো হলো :লাল জোন, হলুদ জোন ও সবুজ জোন। এলাকাভিত্তিক লকডাউন দেওয়া হচ্ছে। সরকারের এই পদ্ধতিটি প্রশংসার দাবি রাখে। কোনো দেশের সরকারের পক্ষেই একা কোনো কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়। তাই আমাদের উচিত সরকারকে সাধ্যমত সাহায্য করা। সরকার যে নিয়ম কানুন আরোপ করে তা মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। এই ভাইরাসটি এতটাই মারাত্মক যে কোন দেশ এখনও পর্যন্ত এর ভ্যাকসিন বের করতে সক্ষম হয়নি। তাই আমাদেরকে খুব সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় মুখ ও নাক ঢেকে রাখতে হবে। আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। দেহের ওজনের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ অতিরিক্ত শারীরিক ওজন করোনার ঝুঁকি বাড়ায়।তাই খাদ্য তালিকার দিকে নজর দিতে হবে। আমিষ জাতীয় খাবার খেতে হবে। ফ্যাট জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। বর্তমানে অনেক মানুষ উপসর্গ ছাড়াই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। ফলে আশেপাশের মানুষের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সাধারণ হাঁচি কাশি হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে নিষেধ করেছিল। এ কারণে অনেকে অবস্থা গুরুতর হওয়া সত্ত্বেও ডাক্তারের কাছে যাননি। ফলে তাদের মৃত্যু হয়ে পড়েছে অবধারিত। আমাদেরকে তাই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিজেদের স্বার্থেই গ্রহণ করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আতংক নয় বরং সচেতন হতে হবে। যারা শ্বাসকষ্টের রোগী তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই রোগীদের করোনা আপডেট পড়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ জরিপে দেখা যায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের চেয়ে হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি।করোনা আতংক বর্তমানে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তাই এই ব্যাপারে আমাদের যথেষ্ট সাবধান থাকতে হবে। যাদের বাড়িতে ডাক্তার আছে তাদের একটু বেশি সচেতন থাকতে হবে। কারণ তারা প্রত্যেকেই প্রতিদিন অনেক করোনা রোগীর চিকিৎসা করে থাকেন। তাই তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
উপরের নিয়ম মেনে চলতে হবে।আল্লাহ পাকের উপর নির্ভর করতে হবে। আমরা সবাই দোয়া করি যেন আল্লাহ পাক আমাদের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনেন ও আমাদের সবাইকে এই ভয়াবহ মহামারী থেকে হেফাজত করেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।