আসসালামুআলাইকুম, বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি খুবই জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আর সেটি হচ্ছে, কিভাবে আপনি একটি ল্যাপটপ, ডেক্সটপ অথবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল খুলে প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করবেন। বিশ্বাস হচ্ছে না! বিশ্বাস না করারই কথা। তবে আপনি যদি আমার এই পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনার মনে ইউটিউব ইনকাম নিয়ে আর কোনো অবিশ্বাস থাকবে না, বলে আমার মনে হয়। আজকে আমি আপনাদের ইউটিউব থেকে টাকা ইনকামের কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস শিখিয়ে দিব।
ইউটিউব কি?
ইউটিউব হল একটি ভিডিও শেয়ারিং সাইট, যার মাধ্যমে যেকোন ইউজার নিজের ভিডিও আপলোড করতে পারে একইসাথে অন্যদের আপলোড করা ভিডিওগুলোও দেখতে পারে। এই সাইটটি ২০০৫ সালে প্রথম মুক্ত ওয়েবসাইট হিসেবে যাত্রা করে।ইউটিউবের শ্লোগান হল “ব্রডকাস্ট ইওরসেল্ফ”। এটি বলতে বুঝিয়েছে যে, ইউটিউব সার্ভিস ডিজাইন করা হয়েছে
সাধারণ মানুষদের জন্য যারা নিজেদের তৈরি ভিডিওগুলো প্রকাশে আগ্রহী। অনেক কোম্পানী এবং প্রতিষ্ঠান তাদের প্রচার প্রচারণা ও ব্যবসার কাজে ইউটিউব ব্যবহার করে, যদিও ইউটিউবের ব্যবহারকারীদের মাধ্যে অপেশাদারদের সংখ্যাই বেশী। ইউটিউবের সুবিধা হল এতে আপলোড করার সাথে সাথে এসব ভিডিও অন্য ওয়েবসাইটেও আপলোড করা যায়, তবে হোস্ট করা হয় ইউটিউবের সার্ভার ব্যবহার করে।
ইউটিউবে পুরো বিশ্ব থেকে ভিডিও আপলোড করা হয়। এজন্য প্রায় সবধরণের যেমনঃ হোমমেড ভিডিও, পেশাদার-অপেশাদার, মজার ভিডিও এতে পাওয়া যায়। বর্তমান বিশ্বে ইউটিউব এর কারণে আজ যেকোন মানুষ কোন সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনার সচিত্র বর্ননা যেমন পাচ্ছে, তেমনি বিভিন্ন বিষয়ে সহায়ক শিক্ষণীয় টিউটোরিয়াল কিংবা ঐতিহাসিক বিষয়েও বর্ননার মাধ্যমে জানতে পারছে। সর্বোপরি ইউটিউব অনেকটা সংবাদপত্র, টিভি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা একইসাথে পালন করছে।
বাংলাদেশ থেকে কি আয় করা সম্ভবঃ
এ বিষয়টি নিয়ে লেখার আগে আমি অনেক বাংলা সাইট রিসার্চ করে দেখেছি। বিভিন্ন জন তাদের সাইটে বিভিন্ন চাতুরীর কথা লিখেছেন যে, কিভাবে বাংলাদেশ হতে ইউটিউব এর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে হয়। আসলে ইউটিউব এর মাধ্যমে এখনো বাংলাদেশ থেকে টাকা উপার্জন করা সম্ভব নয়। কারণ বাংলাদেশে এখনো ইউটিউব মনিটাইজেশন সাপোর্ট দিচ্ছে না। সে জন্য যে যতই চাতুরীর কথা বলুক না কেন সাধারণ কোন চ্যানেল দিয়ে ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করা অাদৌ সম্ভব নয়। তবে আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেল টিকে ভালমানের একটি চ্যানেল হিসেবে ইউটিউব এর কাছে প্রমান করতে পারেন তাহলে ইউটিউব আপনাকে তাদের নিজে থেকে মনিটাইজেশন এর জন্য অফার করবে। কেবল তখনই আপনি বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব এর মাধ্যমে অনলাইন হতে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে আপনি যে সব দেশ মনিটাইজেশন সাপর্ট করে সে দেশের লোকেশন সেট করে খুব সহজেই আপনার চ্যানেল কে মনিটাইজেশন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া, আমেরিকা বেষ্ট কান্ট্রি। আর এইটা আপনি চ্যানেল সেটিং থেকে খুব সহজেই করতে পারেন।
কি করে টাকা উপার্জন করবেন?
বর্তমানে অনেকেই জানে যে ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করা যায় কিন্তু সকলে সেই পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত নয়। কি করে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট বানাবে বা কি করে টাকা আয় করবে বা সেই টাকা কি করে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আসবে সেটা নিয়ে অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন। আমি এখানে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি।
বিগত প্রায় এক দেড় বছর ধরে আমি নিয়মিত ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করছি। তার পরিমাণ আমি উল্লেখ করব না কারণ ইউটিউবের সাথে যখন আমরা অ্যাগ্রিমেন্ট করি তখন সেখানে একটা পয়েন্টে আমাদের সাইন করতে হয় যে আমরা আমাদের আয়ের পরিমাণ কোনো পাবলিক ফোরামে উল্লেখ করব না। তবে একটা ধারণা দিতে পারি যে মোটামুটি ভাবে একটা মাঝারি চাকরীজীবির স্যালারি-র সমান। আপনি গুগলে সার্চ করে ইউটিউবের আয়ের পরিমাণ সম্পর্কে আরো তথ্য পেতে পারেন।
প্রথম প্রশ্ন : কি করে ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট খুলব?
উত্তর : খুব সহজ, একটা জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরী করুন। নিজের সঠিক নাম, বয়স এবং ফোন নম্বর দিয়ে। এই অ্যাকাউন্ট দিয়ে ইউটিউবে লগ ইন করুন। সেখানে ‘ক্রিয়েট চ্যানেল’ পাবেন। তার মাধ্যমে নিজের চ্যানেল তৈরী করুন। একটা ভালো প্রোফাইল পিকচার এবং কভার ফটো অ্যাড করুন। এবং আপনার নিজের ক্যামেরায় তৈরী যে কোনো ফুটেজ আপলোড করুন। ব্যস, আপনার ৫০ শতাংশ কাজ রেডি।
দ্বিতীয় প্রশ্ন : আমি ভিডিও আপলোড করেছি কিন্তু টাকা আসছে না।
উত্তর : টাকা উপার্জন করতে হলে আপনাকে আপনার চ্যানেলটি ‘মনিটাইজড’ করতে হবে। ইউটিউবের “ভিডিও ম্যানেজার”-এ ক্লিক করুন, বা-দিকে একটা লিস্ট আসবে সেখানে চ্যানেল-এ ক্লিক করুন, সেখানে আপনি “মনিটাইজেশন” পাবেন। এখান থেকে আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্টটি অ্যাকটিভ করতে হবে। (অ্যাকটিভ করার উপায়টি লিখে সঠিক বোঝানো সম্ভব নয়, নিজে থেকে চেষ্টা করুন এবং স্টেপগুলি ফলো করুন)।
তৃতীয় প্রশ্ন : আমি কি যেকোনো ভিডিও আপলোড করতে পারি?
উত্তর : আপনি আপলোড করতে পারবেন সব ভিডিও কিন্তু সব ভিডিও থেকে পয়সা উপার্জন করতে পারবেন না। আপনি অন্য কোনো সিনেমা বা টিভির থেকে নেওয়া ভিডিও বা অডিও , এমনকি আপনার ভিডিওর মধ্যেও যদি অন্য কারো ভিডিও বা অডিও থাকে তাহলে সেটাও মনিটাইজড হবে না, ইচ্ছে করলে ইউটিউব আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে ব্লক করে দিতে পারে এবং আর আপনি কখনই আপনার নিজের নামে ভবিষ্যতে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না।
চতুর্থ প্রশ্ন : পাড়ার ফাংশানে একজন গায়ক গান গেয়েছে আমি তার ভিডিও নিয়েছি, সেটা কি আমি আপলোড করতে পারি?
উত্তর : এক্ষেত্রে ভিডিওটি আপনার নিজের কিন্তু যেহেতু অডিওটি অন্য কারো তাই আপনি সেটি থেকে উপার্জন করতে পারবেন না। জেনে রাখুন, অন্য কারো গান আপনি নিজে গেয়েছেন সেটাও কিন্তু ইউটিউব গ্রহণ করবে না।
পঞ্চম প্রশ্ন : কি ধরণের ভিডিও থেকে অর্থ উপার্জন সম্ভব?
উত্তর : এর কোনো সঠিক উত্তর নেই। রিসার্চ বলছে ইউটিউবে সব থেকে বেশী দেখা হয় সেক্স ভিডিও কিন্তু সেটা খুব রিস্কি। ইউটিউবের নজরে এলে বা কেউ যদি আপনার ভিডিও রিপোর্ট করে দেয় তাহলে আপনার চ্যানেল ব্লক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদিও ইউটিউবে প্রচুর সেক্স ভিডিও দেখা যায় এবং সেগুলো বহাল তবিয়তে চলে। এক্ষেত্রে কিছু কোম্পানী-র ক্ষেত্রে ইউটিউব মাঝে মাঝে দেখেও না দেখার ভান করে। আপনার ভিডিওর সাথে ইউটিউব কি করবে সেটা একমাত্র ইউটিউবই বলতে পারবে। বেশী অর্থের লোভে অতিরিক্ত সেক্স ভিডিও আপলোড না করাই ভালো।
ষষ্ঠ প্রশ্ন : কত টাকা উপার্জন সম্ভব?
উত্তর : এরও কোনো সঠিক উত্তর নেই। ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের মূল উৎস হচ্ছে ভিউ। যে ভিডিও যত বেশী ভিউ হবে সে ভিডিও তত বেশী অর্থ উপার্জন করবে। তবে মোটামুটি ভাবে প্রতি হাজার মনিটাইজড ভিউতে ১ থেকে ৫ ডলার অবধি আয় সম্ভব।
সপ্তম প্রশ্ন : মনিটাইজড ভিউ কি ?
উত্তর : ধরা যাক আপনার ভিডিওতে যে এ্যাড আসে, সেটা ১ মিনিট-এর মাথায়। এবার আপনার ভিডিওটি ৫০০০ ভিউ হয়েছে কিন্তু এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার জন হয়ত আপনার ভিডিও ১ মিনিটের কম দেখেছে। তাহলে ৫ হাজার ভিউ স্বত্তেও আপনার মনিটাইজ ভিউ হবে মাত্র ২ হাজার। মনিটাইজ ভিউ কত হয়েছে সেটা একমাত্র যার অ্যাকাউন্ট সেই দেখতে পারবে ‘অ্যানালাইটিকস’-এ ক্লিক করে।
অষ্টম প্রশ্ন : কবে থেকে টাকা আয় সম্ভব?
উত্তর : আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাপ্লিকেশান অ্যাপ্রুভড হতে দুই থেকে তিন দিন লাগে। একবার অ্যাপ্রুভড হয়ে গেলেই আপনার আয় শুরু।
নবম প্রশ্ন : টাকা কবে থেকে পাব?
উত্তর : আপনার ইনকাম লেভেল যতদিন না ১০০ ডলার হচ্ছে ততদিন আপনি টাকা পাবেন না। ১০০ ডলার হলে আপনার বাড়িতে গুগল থেকে একটি চিঠি আসবে তাতে একটি কোড নম্বর থাকবে সেই কোড নম্বর দিয়ে আপনাকে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস দিতে হবে অর্থাৎ ব্যাঙ্ক নেম, অ্যাকাউন্ট হোল্ডার নেম, সুইফট কোড ইত্যাদি। আপনার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট-এ আপনার নাম এবং ঠিকানা আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টের নামের সাথে মিল থাকতে হবে, নইলে এই টাকা আপনি পাবেন না। তাই অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যেই নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে এবং সেখানে যে অ্যাড্রেস দেওয়া আছে সেটাই ব্যবহার করবেন।
দশম প্রশ্ন : কত তাড়াতাড়ি টাকা আসবে?
উত্তর : ইউটিউব মূলত একটা মাধ্যম যেখানে মানুষ নিজেদের ভিডিও শেয়ার করে। এই সাইটের প্রাথমিক লক্ষ টাকা উপার্জন নয়। তাই টাকা উপার্জন করব ভেবে যদি আপনি ইউটিউব চ্যানেল খোলেন তাহলে আপনি নিরাশ হবেন। ইউটিউব থেকে টাকা পেতে আপনাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। হতে পারে আপনার প্রথম টাকা পেতে পেতে এক বছর বা তার-ও বেশি লেগে গেল কিন্তু একবার টাকা আসা শুরু করলে এবং আপনার ভিডিও প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ হাজার ভিউ দিতে পারলে বিশ্বাস করুন আপনাকে আর কোনো চাকরী করতে হবে না।
শেষ প্রশ্ন : সকলেই কি টাকা আয় করতে পারে?
উত্তর : আঠারো বছরের যে কেউ তার নিজের মৌলিক ভিডিও দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারে। কিন্তু কার ভিডিও কত জনপ্রিয় হবে সেটা নির্ভর করছে কিছুটা আপনার দক্ষতা এবং আপনার ভাগ্যের উপর। প্রচুর মানুষ যারা নিজের পোষা বিড়ালের ছবি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা আয় করছে আবার অনেকে আছে যারা পয়সা খরচ করে নিজেরা নানা রকম ভিডিও বানিয়েও এক ডলার আয় করতে পারছে না। তাই সঠিক ভাবে যদি আপনি আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্টটি পরিচালনা করতে পারেন তাহলে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা অসম্ভব নয়।
৮ টি ক্রিয়েটিভ উপায়ঃ
- ১ / আপনার ওয়েবসাইট এর ট্রাফিক বাড়াতেঃ মনে করেন আপনার একটি ওয়েব সাইট আছে, এখন সেই ওয়েব সাইট এর জন্য ট্রাফিক দরকার এর জন্য আপনি ইউটিউব ব্যাবহার করতে পারেন, আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে টার্গেট করে ভিডিও বানাতে পারেন ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আপনি কি কি সার্ভিস দিতে চান সেটার উপর একটা ভিডিও তৈরি করেন এই ভিডিও আপনি পাওয়ার পয়েন্ট, উইন্ডোজ মুভি মেকার, এছাড়াও মোবাইলে কাইনমাষ্টার অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে খুব সহজে ভিডিও তৈরি করতে পারেন এতে করে আপনার যখন আপনি ভিডিও আপলোড করবেন তখন ভিডিও এর ডেসক্রিপশন এ আপনার ওয়েব সাইটের লিংক দিয়ে দিবেন তাতে করে আপনার ওয়েব সাইটের ট্রাফিক বাড়বে সেখান থেকে একটা ইনকাম আসবে আবার আপলোড করা ভিডিও থেকেও ইনকাম আসবে
২ /ইউটিউবে নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয় করুন : ইউটিউবের মাধ্যমে এখন আপনি নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন আপনার ইবুক, মিউজিক, মোবাইল সফটওয়্যার, আপনার প্রোডাক্ট ভিডিও তৈরি “VideoMakerFX” ব্যবহার করবেন এবং ইউটিউবে আপলোড করার সময় আপনার পন্য টি কিনার লিংক দিয়ে দিবেন ভিডিও ডেসক্রিপশন-এ।৩। এ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হয়ে প্রোডাক্ট সেল করে আয় করুন : এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল কিছু কমিশন এর মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট সেল করে আয় করা, হাজার হাজার কোম্পানি এ্যাফিলিয়েট মার্কেটার দের সাথে চুক্তি করে তাদের কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করে দেয়ার জন্য এবং তাদের কোম্পানির প্রচার এর জন্য যেমনঃ Amazon and eBay, ClickBank, and ShareASale.com, BDShop.com ইত্যাদি। ইউটিউব থেকে এ্যফিলিয়েট মার্কেটার হয়ে আয় করতে চাইলে আপনি তাদের প্রোডাক্ট এর রিভিও ভিডিও তৈরি করে এবং কিভাবে এটা ব্যাবহার করা যায় তার উপর টিউটোরিয়াল তৈরি করবেন যখন আপনি ইউটিউবে তাদের ভিডিও আপলোড করবেন তখন আপনার এ্যফিলিয়েট লিংক ভিডিও ডেসক্রিপশন এ দিয়ে দিবেন এখন পন্য টি যতবার সেল হবে আপনি তার উপরে একটা কমিশন পাবেন
৪ / হয়ে যান ইউটিউব পার্সোনালিটি : ইউটিউব এ স্টার যারা আছে তারা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করতেছে BlueXephos তার ই উদাহরন এই চ্যানেল টিতে বিলিয়ন ভিউ হয়েছে আরও হবে সে প্রতি ১০০০ ভিউতে প্রায় ৬ থেকে ৭ ডলার ইনকাম করে নিচ্ছে এখন আপনি তৌহিদ আফ্রিদি, সালমান মুক্তাদি বা শামিম এর মত আপনার বন্ধু বান্ধব নিয়ে বাংলা ফানি ভিডিও, শিক্ষা মূলক ভিডিও, তেরি করে ও ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারেন
৫ / টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করে ইনকাম করুন : ইউটিউবে টিউটোরিয়াল ভিডিও এর অনেক চাহিদা রয়েছে, মনে করেন আপনি ফটোশপ, এবং বিভিন্ন ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন এর কাজ জানেন এখন এগুলোর উপর টিউটোরিয়াল তৈরি করে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারেন আর টিউটোরিয়াল ভিডিও ইউটিউবে ভিউ হয় অনেক।
৬/ ইউটিউবে আপনার বাচ্চার অথবা আপনার পোষা বিড়াল এর ভিডিও দিয়ে ইনকাম করুন : আপনি ইউটিউবে পপুলার অথবা স্টার হতে হলে বড় সিঙ্গার, বড় গায়ক হতে হবে এমন কোন কথা নেই আপনি আপনার বাচ্চার, বিড়াল এর, ফানি ভিডিও গুলো স্মার্টফোন এর মাধ্যমে ভিডিও করে ইউটিউবে আপলোড করে দিন, দেখবেন কি পরিমান ভিউ হয়, আর ইউটিউবে আপনি baby funny video, animal video লিখে সার্চ দিয়ে দেখবেন সেই ভিডিও গুলোতে কি পরিমান ভিউ।
৭/ গেমস খেলে এবং সেটা স্কিন রেকর্ড করে ইউটিউবে আপলোড করে ইনকাম করুন : আপনি যদি গেম পাগলা হয়ে থাকেন তাহলে সেটা ইউটিউবে আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন, বর্তমানে পাবজি, ফ্রি-ফায়ার, কল অফ ডিউটি, ফিফা গেম এর অনেক চাহিদা রয়েছে এই গুলা খেলে স্কিন রেকর্ড করে হাল্কা এডিটিং করে ইউটিউবে আপলোড করুন এবং ইনকাম করুন।
৮/ নতুন নতুন মোবাইল এর আনবক্সিং ভিডিও এবং সেটার রিভিউ দিয়ে ইনকাম করুন : আপনার যদি মোটামোটি ভালো বাজেট থাকে তাহলে নতুন নতুন ফোন কিনে সেটার রিভিও দিতে পারেন, মোবাইল ফোন এর অানবক্সিং এবং রিভিউ ভিডিও এর ইউটিউবে অনেক চাহিদা রয়েছে, সব চাইতে বেশি ইনকাম করতে পারবেন যদি রিভিউ দেয়ার সময় ইংরেজী তে কথা বলে দিতে পারেন, ইংরেজি বলাটা উপরোক্ত সব গুলো আয়ের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারলে আপনার ইনকাম আরও বহুগুন বেড়ে যাবে।
কিভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলবেনঃ
১. প্রথমেই আপনার একটি Gmail Account লাগবে। আপনার সঠিক ইনফর্মেশন দিয়ে একটি Gmail Account তৈরি করে নিন।
২. ইউটিউব.কম গেলে আপনার জিমেইল এর নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে। এখন প্রথম কাজ শেষ। এখন পরের কাজ-
Advance:
1. Click On Your Avatar>Creator Studio>Channel>Advanced এ যান। আপনার Country বাংলাদেশ থেকে ইউনাইটেড স্টেটস এ পরিবর্তন করুন।
2. Channel>Status and Features এ আপনার চ্যানেল ভেরিফাই করুন।
3. Enable Monetization. স্টেপসগুলো অবলম্বন করে Enable করে নিন।
4. ১৫ মিনিটের দীর্ঘ ভিডিও আপলোড করার জন্য Longer Videos Enable করে নিতে পারেন।
5. Channel>Monetization>How will be i get paid এ ক্লিক করুন। স্টেপসগুলো অবলম্বন করুন এবং আপনার সঠিক বেক্তিগত ইনফর্মেশন দিয়ে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিন।
এখন আপনার নিজের ভিডিও বানান এবং তা মনিটাইজড করে ইউটিউব থেকে ইনকাম করুন।
আয় করার আর কিছু তত্ত্বঃ
YouTube Channel তৈরীঃ প্রথমেই আপনাকে Gmail ID এর মাধ্যমে একটি YouTube Channel তৈরী করে নিতে হবে। YouTube.Com এ গিয়ে Gmail ID এর মাধ্যমে Signup করলেই আপনার YouTube Channel তৈরী হয়ে যাবে।
YouTube Partner হওয়াঃ তারপর বামপাশের অপশন হতে My Channel এ ক্লিক করলে আপনার YouTube Channel টি দেখতে পাবেন। আপনার Channel টির নামের উপরে Video Manager নামে আরেকটি অপশন দেখতে পাবেন সেটিতে ক্লিক করুন। এখন বামপাশের Channel অপশনে ক্লিক করার পর ডানে অনেক অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে আপনার নামের পাশে থাকা Partner হতে মোবাইল নাম্বার দিয়ে Partner Verified করতে হবে। Partner Verified না করলে আপনার ভিডিও গুলিকে Monetized করতে পারবেন না।
ভিডিও আপলোড করাঃ এখন আপনার ভিডিওটি আপলোড করুন। আপলোড হওয়ার পর ভিডিওটির নিচের দিকে Monetized অপশন দেখতে পাবেন। এখানে Monetize with ads অপশনে ঠিক চিহ্ন দিয়ে দিলেই আপনার ভিডিওটিতে এখন থেকে Google বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখাবে। তবে সাবধান কোন প্রকার কপি করা ভিডিও আপলোড করবেন না। তাহলে ইউটিউব যে কোন সময় আপনার Monetized অপশন Disable করে দেবে।
AdSense এ Apply করাঃ এখন আপনাকে আপনার YouTube Channel এর মাধ্যমে Google AdSense এর জন্য আবেদন করতে হবে। এই AdSense এর মাধ্যমে আপনি টাকা উত্তোলন করবেন। এখন আবার বামপাশের Channel অপশন হতে Monetization অপশনে ক্লিক করে ডানপাশে Enable Monetization বাটন হতে Monetization একটিভ করে নিতে হবে। তারপর নিচের দিকে How Will Paid নামে আরেকটি অপশন পাবেন। সেখানে associate an AdSense account এ ক্লিক করে Next ক্লিক করে আপনার Gmail ID এর মাধ্যমে লগইন করে যাবতীয় তথ্য দিলেই আপনার AdSense Request চলে যাবে। এখন ২-৩ দিনের মধ্যে আপনার AdSense Approve এর মেইল আপনার ইনবক্সে চলে আসবে।
ভিডিও আপলোড এর পর করনীয়ঃ
একটি ভিডিও সার্চ-ইঞ্জিনের মাঝে অপটিমাইজেশন মানে এই নয় যে আপনি ভিডিও বানালেন আর শুধু সেগুলোকে আপলোড করে বসে থাকলেন ।
আপনার ভিডিও সঠিক ভাবে অপটিমাইজ করতে হলে আপলোডের পরেও অনেক কাজ আপনাকে করতে হবে যেমন ধরুন,
ভিডিওর মাঝে টিকা (Annotation) ব্যবহার করা ।
অ্যানোটেশন বা টিকা তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনার কি-ওয়ার্ড এর ব্যবহার করুন ।
ক্যাপশন (Caption) ব্যবহার করার চেষ্টা করুন সকল ভিডিওর মাঝে।
ক্যাপশন ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও ক্যাপশনের মাঝে কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন । অটো ক্যাপশন ফাইল ডিজেবল করে দিন ।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পূর্ণ একটি প্রচেষ্টা এবং কৌশলগত ব্যাপার আর তাই আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি অথবা ভিডিও গুলো অপটিমাইজ করার ক্ষেত্রেও আপনাকে ধৈর্য সহকারে কাজ করে যেতে হবে ।