৭ দিনের কোন ট্রিপে গেলে ১ মাস আগে থেকেই আমরা তাঁর প্রেনিং করতে শুরুকরে দিই । এবার ধরুন যদি আপনাকে ৩০ বছরের কোন ট্রিপে যেতে হবে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে কটতা প্লেনিং করা উচিৎ । ২৫ বছর বয়স থেকে ৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত আপনাকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা একটা কাজ করতে হবে । মানে আপনার জীবনের ৪ ভাগের ১ ভাগ সময় যাবে সেই কাজটা করতে । এবার যদি কাজটা এরকম হয় যে ৫ মিনিট সেই কাজটা করার পরেই আপনার সুইসাইট করতে ইচ্ছা করে তাহলে এর থেকে আরও খারাপ আপনার জীবনে কি হতে পারে । যখন আমরা ক্যারিয়ার পছন্দ করার কথা ভাবি তখন আমরা মাত্র দুটো জিনিসকে গুরুত্ব দেই নাম্বার ১ / মাসে কত টাকা ইনকাম করা যাবে আর নাম্বার ২/ লোকে শুনে কি বলবে । যেখানে আসলে গুরুত্ব পাওয়ার কথা যে জিনিসটার সেটা হল যে, ভাই কাজটার প্রতি আসলে আগ্রহ আছে কি না । আর এটাকেই ক্যারিয়ার পছন্দ করার সময় আমরা একদাম খেয়ালই করি না । তো আমরা এরকমটা কেন ভাবি ? আসলে যখনি আমরা আমাদের ক্যারিয়ারে আমাদের আগ্রহের কথা ভাবি তখনি আমাদের মাথায় প্রথমে এটা আসে যে মাসে আমরা কত টাকা আয় করতে পারবো, আর যদি আমি ফেল হয়ে যায় তখন কি হবে । এই দুটো ভয়ই আমাদের আগে এগনোর পথে বাধা হয়ে দাড়ায় । আর যদি আমরা আগ্রহ বাদ দিয়ে শুধু মাত্র টাকা কামানোর জন্য কাজ শুরু করে দিই তাহলে তখন আবার ভীতরে ফাস্টপ্রেশন বারতে থাকে যার প্রতিকৃয়া পরতে শুরু করে সম্পর্কে, কর্মস্থালের সব রাগ বাড়িতে এসে বেরোতে শুরু হয়, শরিল দিন দিন খারাপ হতে লাগে, জীবনে বাচার মত আর কিছুই বেঁচে থাকে না । তো দুকিকেই সমস্যা তাহলে এখন কী করণীয় ?
তো এখানে আমাদের তিনটা জিনিসকে খুজে বের করতে হবে নাম্বার ১/ নিজের আগ্রহটাকে খুঁজে বের করা। নাম্বার ২/ ফেল হওয়ার সম্ভবনাটাকে ছোট করে নেওয়া এবং নাম্বার ৩/ একটা ভালো আয় প্রতি মাসে নিশ্চিত করা ।
তো সবার আগে আগ্রহটাকে খুঁজে বের করার জন্য আমাদেরকে কী করতে হবে । নতুন নতুন জিনিস প্রতি মাসে ট্রায়করতে হবে । প্রতি মাসে অত্যন্ত একটা নতুন জিনিস ট্রায় করতে থাকতে হবে । যতক্ষুন না ঐ পার্মানেন্ট আগ্রহের জিনিসটা না খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে । তা সেটা ফটোগ্রাফিই হোক, রান্নাবান্নাই হোক বা সেটা হিসাব রাখাই বা কেন না হোক । বসে বসে ভেবে বা অনলাইন টেস্ট দিয়ে কোনদিনই নিজের ইন্টারেস্ট খুজেবের করা সম্ভব না । নিজের হাতে আমরা যখন কাজ করি তখনী আমরা জানতে পারি যে সত্যিই আমাদের সেই কাজে আগ্রহ আছে কি না । এ জন্যেই প্রতি মাসে অতন্ত্য পক্ষে একটা করে নতুন জিনিস ট্রায় করতে থাকতে হবে । যতক্ষন না সেই পার্মানেন্ট ইন্টারেস্টেড জিনিসটা না পাওয়া যাচ্ছে । কিছু কাজ এরকম হয় যে যেগুলো শুরুতে তো খুবই আগ্রহ লাগে কিন্তু কিছুদিন পর যেই পুরনো হয় তখন ঐ কাজগুলোই বোরিং লাগতে শুরু করে । তো যাই হয়ে যাক একটা কাজকে একমাস চালিয়ে যেতে হবে । আর নোটিশ করতে থাকতে হবে যে দিন দিন ইন্টারেস্ট বারছে না কমছে । তারপর সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে । এরকম ভাবে খুজত খুঁজতে যদি আপনি আপনার আগ্রহের কাজটা খুঁজে পেয়ে যান তাহলে তো খুবি ভালো কারন যদি আপনার কাজটাতে আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই সেই কাজটাতে মনোযোগ দিতে পারবেন এবং এর ফলে আপনার অভিজ্ঞতাও বাড়বে তারাতারি ও সফল হতে বেশি সময় লাগবে না ।
মোট কথা নিজের জন্য সঠিক ক্যারিয়ার ঠিক করার জন্য আপনাকে সবার প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে আপনার আগ্রহটাকে যে আপনার আগ্রহ কীসে, কোন কাজে কিন্তু আপনি যদি সেটাকে খুঁজে পাতে বের্থ্য হন তাহলে আপনাকে খুঁজে বার করতে হবে কোন কাজটা করলে আপনার লকসানের খাতা কম হবে । আর যদি সেটাও খুঁজে বের করতে না পারেন তাহলে যেখানে ভাব বেশি হবে সেটাতেই আপনার ক্যারিয়ার বেছে নেওয়া উচিৎ আর নয়তাবা কোন সাধারন কাজ বেছে নিয়ে সেখানে মন দিয়ে কাজ করা শুরু করা উচিৎ । আর তখনি আপনার জিবনে সফল হওয়ার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি থাকবে ।
সংগৃহীত পষ্টঃ পোষ্ট ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন । আমাদের সাথেই থাকুন এরকম আরও পোষ্ট পেতে । ধন্যবাদ ।