কুঢ় এক ধরনের কুষ্ঠ ব্যাধি। এর আক্রমণের প্রভাব মানুষের চেহারা ও নাসিকায় পতিত হয়। ডঃ কিউরের অভিজ্ঞতা ও গবেষণা মতে কুষ্ঠরোগের জীবাণু নাসিকা পথে শরীরে প্রবেশ করে এবং নাসিকাই এই মারাত্মক জীবাণুর নিরাপদ। সির্দ হলে নাক দিয়ে পানি ঝরতে থাকে। ফলে নাসিকার ভেতর থেকে সর্বপ্রকার ধুলা-বলি ও জীবাণু বের হয়ে যায়।
কেননা সর্দির কারণে নাক দিয়ে অধিক পরিমাণ সিকনী ঝরতে থাকে। ফলে বিভিন্ন প্রকার ধ্বংসাত্মক জীবাণু ও ময়লা যা স্বাভাবিকভাবে নির্গত হয় না, তা নাক ঝড়ার কারণে বের হয়ে যায়। এ কারণেই সর্দিকে কুষ্ঠরোগের রক্ষাকবজ মনে করা হয়।
আর একটি কথা আগেই বলে নিই, করোনা রোগের যে সর্দি কাশি, আর এ সর্দি কাশির মাঝে অনেক তফাত, কেননা করোনা এসেছে মাত্র কিছু দিন আগে, হঠাৎ আবার এদিন শেষ হয়ে যাবে । আর আমি যে সর্দি কাশির কথা বলছি, যা আদিম যুগ থেকেই চলে আচ্ছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে কুষ্ঠ ব্যাধিকে এক প্রকার কফ্ বা শ্লেষ্মাজনিত রোগ মনে করা হয়। শ্লেষ্মা এবং সওদা একত্রে মিলিতভাবে কুষ্ঠরোগের সৃষ্টি করে। সর্দির কারণে কফ্ বের হয়ে যায়্ সুতরাং সর্দি মানুষের জন্য খবুই উপকারী। কাশিকে খারাপ ভেবো না্। কেননা তা বিকলাঙ্গতা থেকে রক্ষা করে। বিকলাঙ্গতা মূলত মস্তিষ্ক প্রসূত স্নায়ুবিক রোগ। বর্তমান যুগে এই রোগ অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানসিক চাপের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ তথা হাইব্লাড প্রেসার এই রোগের বিশেষ কারণ।
কাশির কারণে ফুসফুসে অধিক পরিমাণ অক্সিজেন প্রবেশ করে। ফলে পালমনারী ভেইনের মাধ্যমে ফুসফুসে আগত রক্ত ভালভাবে পরিস্কার হয়ে যায়। ঐ রক্তেরই একটা বিশেষ অংশ বা উপাদান ( যা কিছুকাল পরে রক্তকে গাঢ় করে বিভিন্ন রোগের উদ্ভব ঘটায় সেটা) পরিস্কারহয়ে যায়। ফলে মানুষ অঙ্গহীনতা বা বিকলাঙ্গতা থেকে পরিত্রাণ পায়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে এই রোগের বিভিন্ন করাণ ও বিভিন্ন প্রকার আছে। তন্মধ্যে একটি সামগ্রিক কারণ হল কফ। যখন মস্তিষ্ক প্রসূত শ্লেষ্মা অতিরিক্ত হয়ে যায়। তখন এমন বস্তুর প্রয়োজন দেখা দেয়, যদ্ধারা কফ বের হতে পারে। কফ বের হওয়ার প্রধান মাধ্যম কাশি। এ কাশির ফলে কফ জনিত অতিরিক্ত আর্দ্রতা হ্রাস পায়।
দম্বল মূলতঃ কফ জনিত ফোঁড়া। এই ফোঁড়ার মাধ্যমে পুঁজ ও পানি নির্গত হয়। ফলে মস্তিষ্কের কফ জনিত আর্দ্রতা স্বাভাবিক হয়ে যায় । আর এই কফ জনিত অস্বাভাবিক আর্দ্রতা শ্বেত-কুষ্ঠের প্রধান কারণ।
এই ব্যাপারে আমি (লেখক) একজন ফিলিওলজিষ্ট কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, রক্তে মেলানিন এর ঘাটতিই শ্বেত-কুষ্ঠের প্রধান কারাণ। আর মিলানিন ঘাটতির কারণ হল, রক্তে W.B.C এর আধিক্য এবং W.B.C মূলত কফ। আলোচ্য ফোঁড়ার কারণে রক্তপুঁজ হিসেবে প্রচুর পরিমাণে তরল পদার্থ নির্গত হয়। ফলে দম্বল তথা কফ জনিত ফোঁড়ার রোগী শ্বেতকুষ্ঠ থেকে মুক্ত থাকে।