স্মার্টফোন আমাদের কাছে অতি প্রয়োজনীয় একটি বস্তু বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে। স্মার্টফোনের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিক থেকেই স্মার্টফোন মানুষের মনকে জয় করতে সক্ষম হয়েছে।
কিন্তু বর্তমানের এই প্রতিযোগিতার যুগে আমরা সব সময় নতুনকে পুরনো বানিয়ে দিচ্ছি। স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেও এর কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন স্মার্টফোন বাজারে বের হচ্ছে এবং আমরা পুরাতন স্মার্টফোনগুলো কে আমাদের নিকট থেকে সরিয়ে ফেলেছি। কিন্তু আমাদের পুরনো স্মার্টফোনগুলো আমাদের কাছে থেকে সরিয়ে ফেলা কতটা প্রয়োজন তা নিয়ে কি আমরা কখনো ভেবে দেখেছি?
হয়তো অনেকেই আমরা এই বিষয়টিকে তেমন কোন গুরুত্ব দেয়নি। আমাদের শখের স্মার্টফোনটিকে আমরা কখনই হাতছাড়া করতে চাইনা। পুরনো হয়ে যাওয়ার পরও অনেকেই আমরা আমাদের পছন্দের স্মার্টফোনগুলো কে জমিয়ে রাখতে চাই। কিন্তু এই বিষয়টি মোটেই লাভজনক কোনো বিষয় নয়।
আপনারা হয়তো মনে করতে পারেন আমার কাছে ভুরিভুরি টাকা রয়েছে যার ফলে আমি পুরনো স্মার্টফোনগুলো কে ফেলে দিয়ে নতুন স্মার্টফোন ব্যবহার করার উপদেশ আপনাদেরকে দিচ্ছি। এরকম চিন্তা করে থাকলে আপনারা সম্পুর্ন ভুল ভাবছেন। স্মার্ট ফোন দিয়ে আমরা শুধুমাত্র যোগাযোগ রক্ষা করি না বরং বর্তমানে স্মার্টফোন দিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের অফিশিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল কাজ করে থাকি যা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সময় দেওয়ার সাথে সাথে স্মার্টফোন তাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো কে আপডেট করে। কিন্তু এরকম অনেক স্মার্ট ফোন রয়েছে যারা এই আপডেট গুলো করতে সক্ষম হয় না। যার ফলে তারা অনেকাংশেই পিছিয়ে পড়ে। এছাড়াও পুরনো স্মার্টফোন ব্যবহার করলে আপনাকে আরো বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যেগুলো হলো:
সিকিউরিটি আপডেট জনিত জটিলতা:
বিশ্বের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন গুলো তাদের সিকিউরিটি সম্পর্কে বেশ সচেতন। কিন্তু বেশিরভাগ মোবাইলেই আমরা এই আপডেট পেতে সক্ষম হই। বড় বড় নামকরা ব্র্যান্ড স্যামসাং, শাওমি, ওয়ানপ্লাস ইত্যাদি মোবাইল তাদের ফোনগুলোতে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সিকিউরিটি আপডেট দিয়ে থাকে। সেই নির্দিষ্ট পর্যায় পার হয়ে যাওয়ার পর ফোন গুলো কে আপডেট করা আর সম্ভব হয় না। যার ফলে সময়ের তুলনায় তারা অনেকাংশেই পিছিয়ে পড়ে।
এক্ষেত্রে যদি আপনি এগিয়ে না থাকেন তাহলে আপনার তথ্য খুব সহজেই যেকোন কারো কাছে লিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বর্তমানে সাইবার ক্রাইম এবং হ্যাকিং আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় এবং উন্নত। যার ফলে সিকিউরিটির বিষয়টি আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এবং এই বিষয়ে আপনি কতটা সচেতন তা নির্ভর করবে আপনি আপনার পুরনো ডিভাইসটিকে ব্যবহার করবেন কি করবেন না। পুরানো ডিভাইস এর চেয়ে নতুন ডিভাইসে আপনি আরো বেশি শক্তিশালী সিকিউরিটি সার্ভিস পেতে সক্ষম হবেন এবং আপনাকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করবে।
হার্ডওয়ার জনিত জটিলতা:
স্মার্টফোনগুলোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আমাদের যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তার মধ্যে একটি সমস্যা হল ব্যাটারির জীবন সিমা। সময় যাওয়ার সাথে সাথে আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারি তে দুর্বল হতে শুরু করে। পূর্বের স্মার্টফোনগুলোতে যেসকল ব্যাটারি ব্যবহার করা হতো তাদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। যা একটি নির্দিষ্ট সময় পর ফুলে যায় এবং এর কর্মদক্ষতা কমে যায়।
অনেক সময় এই স্মার্টফোন ব্রাস্ট হয়ে বিভিন্ন ধরনের ছোট এবং বড় দুর্ঘটনা ঘটায় যা মানুষের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। আবার আপনার পুরনো স্মার্টফোনটি যদি কোন প্রকার হার্ডওয়ার জটিলতা নষ্ট হয়ে যায় তবে আপনি আপনার স্মার্টফোনটিকে ঠিক করার ক্ষেত্রে বেশ ভোগান্তির সম্মুখীন হবেন। কারণ আপনি হয়তো আপনার পুরনো স্মার্টফোনের পাশগুলো দোকানে আর পুনরায় পেতে সক্ষম হবেন না।
এর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর আমাদের ব্যবহারকৃত স্মার্টফোনগুলো অবশ্যই পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
nice
Thanks
Nice
উপকারী পোস্ট
সুন্দর পোস্ট
nice
ঠিক বলেছেন ভাইয়া
Poriborton drkr
So?
Hmm
Next?
ভালো
ভালে
nice