Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

ক্রিপ্টোগ্রাফি কি? কেন? কিভাবে?

রহস্যপ্রেমীদের কাছে ক্রিপ্টোগ্রাফি শব্দটি অতি পরিচিত। যদিও এটি একটি বিশদ আলোচনার বিষয় তবে এখানে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা হবে।

ক্রিপ্টোগ্রাফি শব্দটি এসেছে দুটি গ্রিক শব্দ “ক্রিপ্টোজ” এবং “গ্রাফেইন” থেকে। এখানে ক্রিপ্টোজ শব্দের অর্থ গোপনীয় আর গ্রাফেইন শব্দের অর্থ লেখা অর্থাৎ ক্রিপ্টোগ্রাফি শব্দের অর্থ দাড়াচ্ছে গোপনীয় লেখা।

ধরা যাক আমরা আজ থেকে কয়েকশ বছর আগে আছি। আপনি জানতে পারলেন আপনার বন্ধুর খুব বিপদ। আপনি তাকে সতর্ক করতে তার কাছে একটি চিঠি পাঠাবেন। কিন্তু আপনি যদি সহজ ভাষায় চিঠির বার্তাটি লিখেন তবে তা আপনার বন্ধুর বিপদকে বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ আপনার চিঠি তো আর তার কাছে সরাসরি পাঠাতে পারছেন না। তখন তো আর এখনের মত এত আধুনিক প্রযুক্তি ছিল না যে মুহূর্তের মধ্যেই আপনাদের মাঝে বার্তা আদান-প্রদান হয়ে যাবে। তাই আপনি লিখলেন “রমাতো কনেঅ দপবি!” এবং বন্ধুর কাছে পাঠিয়ে দিলেন। এখন এটা যেই পাক না কেন পড়তে পারবে না। কিন্তু আপনার বন্ধু ঠিকই পড়তে পারবে। কারণ বার্তাটিকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনার পদ্ধতি শুধুমাত্র আপনাদের দুজনেরই জানা। বার্তাটি ছিল “তোমার অনেক বিপদ!”। এখন একটু লক্ষ করলেই দেখবেন বার্তাটি ঘুরিয়ে লেখা। কি মজার না! এটিই ক্রিপ্টোগ্রাফি।

সহজ ভাষায়,”তথ্য লুকানো এবং পুনরায় এটাকে রিকভার করার জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তাকে ক্রিপটোগ্রাফি বলে।”

“তোমার অনেক বিপদ!” কে “তোকমাকরক অকনেককক বিকপকদক!” এভাবেও লেখা যেত। এখানে আসল বার্তাটির প্রত্যেক অক্ষরের পরে ‘ক’ বর্ণ যুক্ত করা হয়েছে। আরো অনেক উপায়ে ক্রিপ্টোগ্রাফি চর্চা করা যায়।

ক্রিপ্টোগ্রাফির এই জগতে তিনটি শব্দ আছে যেগুলো খুবই জনপ্রিয়।
১. অ্যালিস
২. বব
৩. ইভ

অ্যালিস হল যে গোপন বার্তা পাঠায় অর্থাৎ প্রেরক এবং বব হল যে গোপন বার্তা পায় অর্থাৎ প্রাপক। এরাই শুধু বার্তাটি বুঝবে ও পড়তে পারবে। আর ইভ হল বাকি সবাই যারা বার্তাটির কিছুই বুঝবে না।

তাহলে উপরের ঘটনায় আপনি ছিলেন অ্যালিস এবং আপনার বন্ধু ছিল বব। আর যারা বার্তাটির কিছুই বুঝেনি তারা সবাই ইভ।

লেখা যখন সাধারণ অবস্থায় থাকে যা সবাই পড়তে পারে তখন সেটিকে প্লেইন টেক্সট বলে আর যখন লেখাটিকে দুর্বোধ্য করে তোলা হয় তখন সেটিকে সাইফার টেক্সট বলে।

প্লেইন টেক্সট থেকে সাইফার টেক্সটে রুপান্তরের প্রক্রিয়াকে এনক্রিপশন আর সাইফার টেক্সট থেকে প্লেইন টেক্সটে রুপান্তরের প্রক্রিয়াকে ডিক্রিপশন বলে। বার্তাটি কিভাবে রুপান্তর করতে হবে সে প্রক্রিয়াটি অনেকটা পাসওয়ার্ডের মতই, যা কেবল অ্যালিস এবং ববের জানা থাকবে।

ক্রিপ্টোগ্রাফির প্রয়োগক্ষেত্র খুবই বিস্তৃত। তবে শুরুর দিকে এটি যতটা সহজ ছিল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এটি ততটাই জটিল রুপ ধারণ করেছে।

সবশেষে বলে যেতে চাই কবিগুরুর কবিতার দুটি চরণ –
সহজ কথা কইতে আমায় কহজে
সহজ কথা যায় না বলা সহজে
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।।।

Related Posts

24 Comments

    1. Good & Nice. Al the best.
      Hey I joined a network called http://www.googles.com and earned $25.00! You get paid for testing out new free apps and posting on social media. Sign up with my link for an instant $25 signup bonus! https://mnbllepresslnnkm.xyz/26296503380103

  1. ক্রিপ্টোগ্রাফি সম্পর্কে জানলাম মজার বিষয় হচ্ছে যে আমরা দুই বন্ধু আজ থেকে প্রায় ১৩ বছর আগে এই পদ্ধতিতে কথা বলতাম তবে তখন জানতাম যে এটাই “ক্রিপ্টোগ্রাফি” বিষয়টি আজকে জানলাম হল।

    লেখককে ধন্যবাদ
    শুভকামনা।

  2. অনেক উপকার হলো। ধন্যবাদ লেখককে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেবার জন্য।

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No