আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া প্রয়োজন। যে সমস্ত খাদ্যবস্তু শিশুর বৃদ্ধি ও গঠন বজায় রাখে ক্যালরি চাহিদা পূরণ করে এবং দেহের শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলীকে সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেই সমস্ত খাদ্যকে আমরা সুষম খাদ্য বলতে পারি। ছয়টি উপাদান বিশিষ্ট পরিমাণমত খাবার যা ব্যক্তিবিশেষের দেহের চাহিদা মেটায় আমরা সে সমস্ত খাদ্যকে সুষম খাদ্য বলতে পারি। দৈহিক অবস্থা শ্রমের পরিমাণ লিঙ্গ ভেদ এবং বয়স হিসেবে পুষ্টির প্রয়োজনীয় উপাদান গুলো উপযুক্ত পরিমাণে সুষম খাদ্যের মধ্যে গণ্য হতে পারে। যে সমস্ত শর্ত পালন করলে আমরা একটি খাদ্যকে সুষম খাদ্য বলতে পারে সেগুলো হলো:
১.প্রতি বেলার খাবারে আমিষ স্নেহ পদার্থ শর্করা জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করে খাদ্যের ছয়টি উপাদান এর মিশ্রণ হিসেবে নিশ্চিত করা যায়.
২. সকল শ্রেণীর খাদ্য যেন বয়স লিঙ্গ ও জীবন নির্বিকার অনুযায়ী যেন সরবরাহ করা হয়.
৩.দৈনিক ক্যালরি 10 শতাংশ আমিষ 30 থেকে 40 শতাংশ এবং 60 থেকে 70 পার্সেন্ট শর্করা জাতীয় পদার্থ থেকে গ্রহণ করা উচিত.
এবার আমরা জানবো সুষম খাদ্য তালিকা:
আমরা ইচ্ছে করলেই সুন্দর কয়েকটি নিয়ম মেনে সুষম খাদ্য তালিকা তৈরি করতে পারি।
১.দেহের প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্যের তাপ মূল্য বা ক্যালোরি তাপ শক্তির পরিমাণ নিশ্চিত করতে হবে।
২.খাদ্য গঠনের ও পূরণের উপযোগী সরবরাহ করতে হবে।
৩.খাদ্যের উপাদান গুলো ব্যক্তিবিশেষের কর্ম ও শারীরিক অবস্থা ভেদে বিভিন্ন ধরনের হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে তালিকা তৈরি করতে হবে।
৪.ঋতু আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
৫.ব্যক্তি ও পরিবারের আর্থিক সঙ্গতির ভেবে খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
৬.বিভিন্ন খাদ্যের পুষ্টিমান ও খাদ্যের শ্রেণীবিভাগ সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করতে হবে খাদ্য পাচিত থাকা উচিত নয় প্রথমে খাদ্যের মূল বিভাগগুলো থেকে খাদ্য বাছাই করতে হবে।