আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ। ভ্রমন করতে পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তো খুজে পাওয়া দুষ্কর৷ অনেকেই আছেন দেশের বাইরে ভ্রমন করতে পছন্দ করেন আবার অনেকেই দেশের ভেতরেই।তবে আমাদের দেশের মত এত সৌন্দর্য খুব কম দেশেই আছে।
আজ আমি আপনাদের জানাবো পার্বত্য জেলা রাঙামাটি খাগড়াছড়ি তে অবস্থিত সাজেক ভ্যালী নিয়ে কিছু তথ্য যেগুলো আপনাদের অনেক কাজে লাগবে।
এসব অঞ্চলে গেলে একটু কম শীতেই যাওয়া ভাল।তাতে করে আপনাদের যেমন কষ্ট কম হবে তেমনি মেঘ দেখতে পারবেন ভাল করে।যাওয়ার আগে অবশ্যই সাজেকে থাকার জন্য কটেজ কনফার্ম করে যাবেন।কারন ওখানে গিয়ে আপনি তাৎক্ষণিক থাকার জায়গা পাবেন না।এক সপ্তাহ আগে কনফার্ম করা ভাল।
আপনি যেখান থেকেই যান না কেন আপনাকে আগে গিয়ে নামতে হবে খাগড়াছড়ি শহরে।খাগড়াছড়ি থেকে চাদের গাড়ি অথবা জিপে করে যেতে হয় সাজেকে।প্রায় ৩ ঘন্টার পথ,আপনারা ১০-১২ জন হলেই একটা গাড়ি নিতে পারবেন।আর কম হলে ওখানেই জিপ সমিতিতে কথা বলে অন্যদের সাথেও যেতে পারবেন। সকাল ৮ টায় জিপ আপনাদের নিয়ে যাবে সাজেকের উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে রাস্তার অপার সৌন্দর্য দুইচোখ ভরে দেখতে পারবেন।ওখানে পৌছানোর পর দুপুরের খাবার খেয়ে নিবেন হোটেলেই। আমি আপনাদের সাজেস্ট করবো ওখানের ব্যাম্বু চিকেন খেতে।এরকম স্বাদ আপনি আর কোথাও খুজে পাবেন না।এরপর কটেজে রেস্ট নিয়ে যেতে পারেন কংলাক পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। অবশ্য আপনি যে গাড়িটি ভাড়া করবেন তিনিই আপনাদের সব ঘুরে দেখাবেন।আপনার ভ্রমনের শেষ পর্যন্ত তিনি থাকবেন।কংলাক পাহাড়ের নিচের সীমানায় আপনাকে নিয়ে যাবে গাড়িতে আর বাকিটা পথ আপনাকে হেটেই উঠতে হবে।
উপরে ওঠার পর পাহাড়ের চারদিকের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই।চারদিকে শুধু উচু উচু পাহাড়ের সারি।এখানে অনেক পাহাড়ি দোকান পাবেন।এসব দোকানে সবচেয়ে স্পেশাল জিনিস পাবেন তা হচ্ছে পাহাড়ি ফল,বিশেষ করে পেপে,আনারস,কলা,তরমুজ ইত্যাদি। এগুলোর দাম যেমন কম তেমনি স্বাদে অতুলনীয়। একবার খেলেই বুঝবেন তা কতটা অসাধারণ। অবশ্য পাহাড়ে ওঠা নামার ক্ষেত্রে এসব ফলের এক্সট্রা এনার্জি আপনার কাজে দিবে।কংলাক পাহাড়ের ভ্রমন শেষে আপনি ফিরে আসবেন কটেজ এ।রাত্রে খাবার পর ঘুরাঘুরি করে কিছু কেনাকাটা সেরে নিতে পারেন।আশেপাশে অনেক সুন্দর পাহাড়ি ড্রেস,জিনিসপত্র পাবেন।তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় যেটা দেখতে সাজেক গেছেন সেটা হচ্ছে মেঘমালা।এটা দেখার জন্য আপনাকে উঠতে হবে অনেক ভোরে।ভোরে উঠা ছাড়া আপনি মেঘ দেখতে পাবেন না।আর যদি মেঘই দেখতে না পারেন তবে আপনার যাওয়াটাই বৃথা হয়ে যাবে।মেঘ দেখার জন্য খুব ভোরে উঠে আপনাকে যেতে হবে হেলিপ্যাডে।হেলি প্যাড চিনতে আপনার কোনো কষ্টই হবেনা।কাওকে বললেই আপনাকে দেখিয়ে দেবে। একবার গেলেই বুঝবেন কাছ থেকে মেঘ দেখার অনুভুতি। যারা একবার গেছেন তারাই এর মজা বুঝেছেন।
পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাজেকের আশেপাশের এলাকার সকল স্পটের তথ্যসূত্র জানিয়ে দেব।ততক্ষন সবাই ভাল থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ।