আজকের পোস্টে আমরা ছাগলের দুধ সম্পর্কে কথা বলতে যাচ্ছি। ছাগলের দুধ বৃদ্ধির উপায়, ছাগলের বাচ্চা হওয়ার পরও দুধ না হলে করণীয় কি, ছাগলের দুধ বৃদ্ধির ঔষধ কি কি ব্যবহার করা যাবে ইত্যাদি সকল বিষয় নিয়ে আজকের এই পোস্টে আলোচনা করা হবে। তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
ছাগলের দুধ
ছাগল একটি গৃহপালিত পশু। আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বেই ছাগল লালন পালন করা হয়। পৃথিবীতে প্রায় ১০০ কোটি বা তারও বেশি ছাগল লালন পালন করা হয়। মানুষের কাছে এই ছাগলের গুরুত্ব অপরিসীম। সারা বিশ্বেই ছাগলের মাংস খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ছাগলের মাংস যেমন মুখরোচক তেমনিই এটি পুষ্টিতে ভরা।
ছাগলের মাংসে অনেক পরিমাণ প্রোটিন বা আমিষ থাকে যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের একটি।
এছাড়াও ছাগলের মাংসে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফ্যাট৷ শুধু যে ছাগলের মাংসই ব্যবহার হয় তা কিন্তু নয়।
এদের দুধও সারা বিশ্বে ব্যবহার করা হয়।
তো জেনে নেওয়া যাক ছাগলের দুধের গুরুত্ব ও কোন কোন ক্ষেত্রে ছাগলের দুধ ব্যবহার করা হয়।
ছাগলের দুধের গুরুত্ব
দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর একটি খাবার৷ আমরা মূলত গরুর দুধই বেশি পান করে থাকি। কিন্তু ছাগলের দুধও অনেক পুষ্টিকর। প্রতি ১০০ গ্রাম ছাগলের দুধে ৪.৫ গ্রামের মতো শর্করা ও প্রায় ৪ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এছাড়াও ছাগলের দুধে থাকে তিন গ্রামের মতো চর্বি।
এছাড়াও থাকে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি।
উপরের প্রতিটি উপাদানই মানুষের জন্য প্রয়োজন।
এছাড়াও ছাগলের দুধে গরু বা অন্যান্য প্রাণীর দুধের চেয়ে তুলনামূলক কম কোলেস্টেরল থাকে।
প্রতি ১০০ গ্রাম ছাগলের দুধে মাত্র ৬৯ ক্যালরি থাকে।
ছাগলের দুধের সবচেয়ে ভালো একটি বিষয় হচ্ছে এই দুধ একদম ছোট বাচ্চাদের চাইলে দেওয়া যায়।
গরুর দুধ শিশুদের দেওয়া যায় না কিন্তু ছাগলের দুধ ছোট শিশুদের দেওয়া যায়।
২০১২ সালে ইএফএসএ (ইউরোপিয়ান ফুড সেইফটি এসোসিয়েশন) ঘোষণা করে যে ছাগলের দুধের মধ্যে উপস্থিত প্রোটিন ছোট বাচ্চাদের খাওয়ার উপযোগী।
এর কারণে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমন ইংল্যান্ড, জামার্নি, নেদারল্যান্ডস ইত্যাদি দেশে ছাগলের দুধ অনেক বিখ্যাত।
কিন্তু বাচ্চাদের মায়ের দুধ খাওয়াই শ্রেয় তাই শিশুকে ছাগলের দুধ দেওয়ার পূর্বে নিশ্চয়ই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।
ছাগলের দুধ যে কেবল পান করা হয় তা কিন্তু নয়।
এছাড়াও ছাগলের দুধ নানা ডেইরি প্রোডাক্ট তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়৷ পনির, ছাগলের মাখন, দধি ইত্যাদি তৈরতেও ছাগলের দুধ ব্যবহার করা হয়।
ছাগলের বাচ্চা দেওয়ার পর যদি দুধ না হয় তাহলে কি করতে হবে?
এখন একটি প্রাণীর সাধারণত দুধ আসে সন্তান জন্ম দানের সময়। এখন যখন একটি ছাগলের বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পরও দুধ না হয় তাহলে আপনার করণীয় কি? ছাগলের দুধ কম হলে ছাগলের বাচ্চা মৃত্যুর বড় সুযোগ রয়েছে যেহেতু মাত্র নবজাতক তাই মায়ের দুধ ছাড়া কিছু সাধারণত খেতে পারে না। শুধু তাইই না ছাগলের দুধ না হওয়া আপনার আর্থিক ক্ষতির কারণও হতে পারে৷ এখন ছাগলের দুধ না হওয়ার বেশ কিছু কারণ হতে পারে।
পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাব: যদি আপনাকে ছাগলটিকে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য না দেন তাহলে দুধ কম হতে পারে বা দুধ তৈরি নাও হতে পারে৷ ইতিমধ্যে আপনার ছাগল একটি সন্তান জন্ম দিয়েছে তো স্বাভাবিকভাবেই ছাগলটি অনেকটাই দুর্বল। তাই দুধ তৈরিতে সমস্যা হতে পারে।
তাই ছাগলকে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাদ্য ঘাস খাওয়ান। এর পাশাপাশি পানি তো থাকবেই।
অন্ত:সত্ত্বা কালে এবং বাচ্চা জন্মের পর ছাগলকে সাধারণের চেয়ে বেশি খাবার দিন।
এছাড়াও ছাগল বেশ কিছু মারাত্মক রোগেও আক্রান্ত হতে পারে৷ এতেও ছাগল দুধ দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে।
সেসকল ক্ষেত্রে আপনাকে পশু ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ দিতে হবে। তাতে আপনার ছাগল হয়তো সুস্থ হয়ে যেতেও পারে।
ছাগলের দুধ কম হওয়ার কারণ কি?
ছাগলের দুধ বিভিন্ন কারণে কম হতে পারে এমনকি কিছু সময়ের জন্য দুধ হওয়া অনেকটা বন্ধ হয়েও যেতে পারে। নিম্নে ছাগলের দুধ কম হওয়ার কিছু কারণ দেওয়া হলো।
১. ছাগলের কোনো অসুস্থতা থাকলে দুধের পরিমাণ কমে যেতে পারে। একদম সাধারণ অসুখও ছাগলের দুধ তৈরিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করত পারে।
২. ছাগলকে এন্টিবায়োটিক দেওয়া হলেও দুধ তৈরিতে সমস্যা হতে পারে।
৩. শরীরে অপরিহার্য ভিটামিন, মিনারেলের কিংবা অন্যান্য জরুরি পুষ্টি উপাদানের অভাবেও দুধ কম হয়ে যেতে পারে।
৪. ছাগল যদি কৃমি রোগে আক্রান্ত হিয় তাহলেও ছাগলের দুধ কম হতে যেতে পারে। ছাগলের কোনো অসুখ হয় নাকি সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৫. কাঁচা ঘাস ও সুষম দানাদার খাদ্যের অভাবে ছাগল দুর্বল হয়ে পড়বে যা তার দুধ উৎপাদনে প্রভাব ফেলতে পারে।
ছাগলের দুধ বৃদ্ধির ঔষধ হিসেবে কি ব্যবহার করা যেতে পারে?
যদি ছাগলের দুধ কম হতে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে কিছু ওষুধ রয়েছে যা ব্যবহার করা যেতে পারে।
ছাগলের দুধ বৃদ্ধির ঔষধ কি দিতে হবে তা জানার পূর্বে আপনাকে জানতে হবে আপনার ছাগলের আদৌ কোন রোগ হয়েছে। ছাগলের কোনো রোগ হলে তার আচার-আচরণ থেকেই অনেকটাই বোঝা যায়। যেমন: ঝিমিয়ে পড়া, জ্বর জ্বর ভাব, অত্যাধিক পায়খানা ইত্যাদি। কিন্তু ডাক্তারের কাছে গিয়ে সম্পূর্ণ চেকআপ করলেই বেশি ভালো হয়।
কোন ওষুধ ব্যবহার করার পূর্বে আপনার উচিত নিশ্চয়ই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা।
ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত নিজে নিজে ওষুধ প্রয়োগ না করাই ভালো।
ছাগলের দুধ কম হওয়ার মূল কারণসমূহের মধ্যে অন্যতম কিছু কারণ হচ্ছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের অভাব। বিশেষ করে ছাগলের বাচ্চা হওয়ার পর ছাগলের শরীরে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দেয়। তাই আপনাকে এসকল পুষ্টি উপাদান মা ছাগলকে খাওয়ানো লাগবে। বিশেষ করে ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম তো দিতে হবেই।
কিন্তু ছাগলের সাধারণ খাবারের মধ্যে তেমন কোনো ভিটামিন বা ক্যালসিয়াম নেই।
তাই আপনি চাইলে ভিটামিন বা ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট কিনে তা ছাগলকে খাইয়ে দিতে পারেন।
এতে ছাগলের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগেও উল্লেখ করা হয়েছে যে কৃমিজনিত সমস্যার কারণেও ছাগলের দুধ কমে যেতে পারে।
তাই কৃমির কোনো লক্ষণ দেখা দিলে বাজার থেকে কৃমির ওষুধ কিনে এনে ছাগলকে দিতে পারেন।
এতে কৃমি কমে যাবে আর হয়তো দুধের পরিমাণ আগের মতো হয়ে যাবে।
কিন্তু যদি দেখেন এর কোনোটির মাধ্যমেই ছাগলের দুধ বৃদ্ধি হচ্ছেনা সেক্ষেত্রে আপনাকে ছাগলটিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া উত্তম। হতে পারে ছাগলের দুধ কমে যাওয়ার পিছে অন্য কোনো কারণ রয়েছে যেমন কোনো মারাত্মক রোগ। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন এবং ডাক্তার যে যে ওষুধ দিবে তা নিয়মিত আপনার ছাগলকে দিন।
ছাগলের দুধ বাড়ানোর উপায় এবং সুস্থ রাখার উপায় / ছাগলের দুধ বৃদ্ধির ঔষধ
ছাগলের দুধ বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে। নিম্নে তেমনই কয়েকটি কৌশল বর্ণনা করা হলো।
সুষম খাদ্য সরবরাহ
ছাগলকে পর্যাপ্ত পরিমাণে দানাদার সুষম খাদ্য সরবরাহ করুন। পুষ্টি উপাদান ব্যতীত ছাগলের দুধের পরিমাণ অনেক কমে যাবে। তাই দৈনিক সুষম দানাদার খাদ্যের যোগান দেওয়া অপরিহার্য।
ছাগলের গর্ভকালীন সময়ে ছাগলকে সাধারণের চেয়ে বেশি পরিমাণে সুষম খাদ্য দিতে হবে।
এছাড়াও ছাগলের বাচ্চা হওয়ার পরবর্তী সময়েও স্বাভাবিকের চেয়ে তুলনামূলক বেশি করে সুষম খাদ্য খাওয়াতে হবে।
গর্ভকালীন ও বাচ্চা জন্মের পরপর সময়ে ছাগলের বেশি পরিমাণে সুষম খাদ্য প্রয়োজন হয়।
এর অন্যতম কারণ হচ্ছে এসময় ছাগলের শরীর থেকে অনেক পরিমাণে পুষ্টি উপাদান কমে যায় এবং তার পাশাপাশি দুধ সৃষ্টিতে ছাগলের শক্তি বেশি খরচ হয়।
সুষম খাদ্যের মধ্যে ক্যালসিয়াম, বিভিন্ন ভিটামিন, ফসফরাস আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
ছাগলের দুধ বৃদ্ধির ঔষধ ও টিকা
ছাগলকে সময়মতো তার প্রয়োজনীয় টিকাসমূহ প্রদান করুন। এতে ছাগল বেশিরভাগ রোগ থেকেই বেঁচে যাবে। এছাড়াও ছাগলকে নিয়মিত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। কোন রোগে আক্রান্ত হলে নিয়মিত ওষুধ দিন। প্রসবের পর পর সময় মা ছাগলকে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি পুষ্টি উপাদানের ট্যাবলেট দিন কারণ প্রসবের পর পর সময়ে ছাগলের পুষ্টি উপাদান অনেকটাই কমে যায়।
অনেকক্ষেত্রেই এসময় কেবল সুষম খাদ্য দিয়ে কাজ হয় না বরং বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের আলাদা ট্যাবলেট দিতে হয়।
বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ
আমরা বলি পানির অপর নাম জীবন। পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীরই বেঁচে থাকার জন্য পানি লাগে তা মানুষ হোক, গরু হোক না ছাগল হোক। দেহের প্রতিটি কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার জন্য পানির প্রয়োজন হয়।
শরীর যথেষ্ট পানি না পেলে শরীর ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।
শরীরে হজম ক্রিয়ার উপরও বিশুদ্ধ পানির গুরুত্ব অপরিসীম।
এছাড়াও পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেওও সহায়তা করে।
তাই নিশ্চয়উ ছাগলের জন্য খামারে বিশুদ্ধ সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা করতে হবে।
কাঁচা ঘাস সরবরাহ
ছাগলের দুধ বৃদ্ধিতে কাঁচা ঘাসের গুরুত্ব অপরিসীম। ঘাসের বিভিন্ন ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান ছাগলের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই অবশ্যই প্রতিদিনের খাবারে সুষম খাদ্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ কাঁচা ঘাসও দিতে হবে।
প্রশব কালের যত্ন
প্রশব কালে ছাগলের অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয়। ছাগলের থাকার জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। ছাগলের আরামের জন্য শুকনো খড় বিছিয়ে নরম বিছানার মতো করে দিতে হবে।
ছাগলকে মশা ও অন্যান্য পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য মশার কয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও ছাগলকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করতে হবে। গ্রীষ্মকালে ছাগলকে একবার হলেও গোসল করাতে হবে।
এতে কেবল যে ছাগল পরিষ্কার থাকবে তা কিন্তু নয়, গোসল করানোর মাধ্যমে ছাগল গ্রীষ্মের গরম থেকে একটু রেহাই পাবে।
আর শীতকালে যদি গোসল সম্ভব না হয় তাহলেও একটু শরীরটা পরিষ্কার করে দিতে হবে।
হালকা পানি দিয়ে শরীর মুছে দেওয়া যেতে পারে কিংবা ব্রাশ দিয়ে শরীরের লোম পরিষ্কার করা যেতে পারে।
ব্যয়াম করানো
এতমাস গর্ভে থাকার কারণে ছাগলের তেমন একটা হাঁটাহাঁটি বা শারীরিক কার্যক্রম করা হয় না। তাই ছাগল অনেকটাই অলস প্রকৃতির হয়ে যায়।
তাই প্রসবের পরপর সময় একটু ব্যয়াম করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে একটু হাঁটাহাঁটি করাতে হবে।
যদি দেখেন যে ছাগল নিজে নিজে উঠতে চাচ্ছে না কিংবা হাঁটাহাঁটি করতে চাচ্ছে না সেক্ষেত্রে আপনিই হাঁটতে নিয়ে যেতে পারেন।
বেশিদিন খামারে অলস বসে থাকা ছাগলের জন্য তেমন ভালো হবে না।
ছাগলের বাচ্চাকে খাওয়ানো
ছাগলের দুধের পরিমাণ ছাগলের বাচ্চা কতটুকু দুধ খায় তার উপর অনেকটাই নির্ভর করে। ছাগলের বাচ্চাকে নিয়মিত দুধ খেতে দেওয়ার মাধ্যমেও দুধ বৃদ্ধি করা সম্ভব। ছাগলের বাচ্চা যত বেশি দুধ পান করবে দুধের পরিমাণ তত বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
বাচ্চা যদি কিছু সময় পর পর দুধ পান করতে থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ওলানে দুধ বেশি হবে।
এবং এর ফলে দুধের উৎপাদনও বেশি পাবে। যত ঘন ঘন ছাগল ছানা এসে দুধ খাবে তত বেশি দুধ বৃদ্ধির সম্ভাবনা।
তো আজকে আমরা জানলাম ছাগলের দুধ বৃদ্ধির উপায়, ছাগলের বাচ্চা হওয়ার পরও দুধ না হলে করণীয় কি, ছাগলের দুধ বৃদ্ধির ঔষধ কি কি ব্যবহার করা যাবে ইত্যাদি সম্পর্কে। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।