আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই?আশাকরি ভালো আছেন।আজকে আপনাদের জানাব জার্মানিকে দিয়ে ফুটবলের পুনোর্দমে যাত্রা শুরু হওয়ার কথা।
করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব।লাশের পর লাশ স্তূপে মানুষের জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।এই পর্যন্ত তিন লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে ভাইরাসটিতে।এই ভাইরাসের থাবা থেকে বাদ পড়েনি ফুটবলবিশ্বও।বিশেষ করে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফুটবল লীগ ইপিএল,সিরি আ,লা লিগা,বুন্দেসলিগা ইত্যাদি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের মুখে পড়েছে।প্রায় ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে এই আকর্ষণীয় ফুটবল লীগগুলো বন্ধ।তবে জার্মানিতে বুন্দেসলিগা শুরু হওয়ায় ফুটবল যেন আবার প্রত্যাবর্তন করল।পুরো বিশ্বের মতো জার্মানিতেও করোনাভাইরাস প্রভাব বিস্তার করে ছিলো।ফলে গত মার্চ মাস থেকে বুন্দেসলিগা করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বন্ধ হয়ে যায়।এরপর জার্মানিতে করোনামহামারী বিস্তার লাভ করে।যার ফলে একলাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়ে প্রায় নয় হাজারের মতো মানুষ সেখানে মারা যায়।তবে এপ্রিল মাসের শেষের দিক থেকে করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় দেশটি।ফলে চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল ঘোষণা দেন অবশ্যই বুন্দেসলিগা শুরু হবে ১৬ মে হতে।তারপর স্বাস্হ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে ১৬ মে হতে বুন্দেসলিগা পুনরায় শুরু হয়।
তার আগে প্রতিটি দলের খেলোয়াড়,কোচিং স্টাফ নিয়ম অনুযায়ী কোয়ারেন্টাইন ট্রেনিং সেশন করে।ঐ দিন বুন্দেসলিগার ছয়টি ম্যাচ কোনো ধরনের বাধাবিপত্তি ছাড়াই সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়।এই সময় স্বাস্হ্যবিধি অনুসারে সবকিছুর ব্যবস্হা করা হয়।করোনার কারণেই এই স্বাস্থ্যবিধিগুলো বাধ্যতামূলক মেনে চলা হয়েছে।দর্শকবিহীন স্টেডিয়ামেই খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়।এই সময় যারা স্টেডিয়ামে ঢুকেছেন যেমন-খেলোয়াড়,কোচিং স্টাফ,রেফারি,সাংবাদিক ইত্যাদি সবাইকেই ঢুকাকালীন করোনা টেস্ট করা হয়।এছাড়া সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মানতে হয়।ফলে খেলোয়াড়,কোচরা ম্যাচ চলাকালীন কারো সাথে করমর্দন কোলাকুলি করতে পারেন নি।শুধু মুষ্টিবদ্ধ হাতে সৌজন্যতা দেখিয়েছেন।এছাড়া খেলোয়াড়রা গোল করে একে অপরের সাথে উল্লাস করেন নি,যে খেলোয়াড় গোল করেছেন তিনি আলাদাভাবে মাঠের এক কোণে করেছেন।এছাড়া ম্যাচে স্টেডিয়ামে ঢুকতে ও বাহির হতে একে অপর থেকে তিন ফুট দূরত্বে থেকেছেন।এছাড়া বাড়তি বদলি খেলোয়াড় নিয়মও কার্যকর হয় ম্যাচগুলোতে।এই দিন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড-শালকে ০৪,ইউনিয়ন বার্লিন-বায়ার্ন মিউনিখ ইত্যাদি বড় ক্লাবের ম্যাচগুলো অনুষ্টিত হয়।টিভি কভারেজে প্রায় ৬ মিলিয়ন মানুষ ম্যাচগুলো উপভোগ করেছেন।এর ফলে চলমান মৌসুম এভাবেই নতুন সমস্যা দেখা না দিলে শেষ করবে বলে জানিয়েছে বুন্দেসলিগা কর্তৃপক্ষ।
বন্ধুরা,আমার পোস্টটি ভালো লাগলে বেশি বেশি শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।