আজ আমি আমার লেখায় বুদ্ধিমান ব্যক্তির ৫ টি গুন নিয়ে আলোচনা করবো। পুরো লেখাটি পড়লে আপনি হয়তো অবাক হয়ে যাবেন। আপনি যে বুদ্ধিমান সেটা হয়তো আপনি এতদিন খেয়াল করেননি। এই ৫ টি লক্ষনের মধ্যে ৩ টি লক্ষন যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে আপনি ধরে নিতে পারেন যে আপনি বুদ্ধিমান।
আচার্য্য চানক্য বলেছেন যে, বুদ্ধিমান ব্যক্তি সবসময় এমন ভাবে যে আমার সময় কেমন চলছে? আমার বন্ধু কেমন ধরনের? আমি যে স্থানে থাকি সেটা কেমন? আমার আয় ব্যয় কত? আমি কোন কাজটি করতে সমর্থ? প্রতিটি ব্যক্তির এগুলো চিন্তা ভাবনা করা উচিত। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন মনীষিরা বুদ্ধিমান লোকের বিভিন্ন লক্ষন ও গুনাগুন খুজে বের করার জন্য অনেক সময় দিয়েছেন। কিছু কিছু পরীক্ষায় বেরিয়ে এসেছে অভাবনীয় সাফল্য। যেগুলো একে একে আলোচনা করছি।
১. বুদ্ধিমান লোকেরা হইচই পছন্দ করে নাঃ যেসব মানুষের বুদ্ধিকর্মে কাজ করার প্রবনতা নেই, যারা সবকিছুতেই বিরক্তবোধ করে, প্রধানত হাত গুটিয়ে বসে থাকতে ভালোবাসেনা বরং তারা শারীরিক কাজ করতে সবসময়ই পছন্দ করে তারা বুদ্ধিমানদের দলে নথিভূক্ত হয় না। অপরদিকে বুদ্ধিমান লোকেরা এক জায়গায় বসে থকাতে বিরক্তবোধ করে না। তারা ধ্যানে বা গভীর চিন্তায় ডুবে থাকতে সক্ষম। এটির দ্বারা ভূলে যায় তাদের চারপাশের অপ্রয়োজনীয় হইহুল্লোড়, চিৎকার চেচামেচি।
২. বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা অধিক রাত করে ঘুমায় এবং দেরী করে ঘুম থেকে উঠেঃ এই ধারনা কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমান নেই। এই ধারনা গড়ে উঠেছে মানুষের অনুমান ধারনার উপর। বৈজ্ঞানিক মতে প্রত্যেক জীবেরেই ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘুমের প্রয়োজন। বুদ্ধিমান লোকেরা তাদের সাফল্য অর্জনের জন্য অধিক রাত পর্যন্ত কাজ করে, ফলে দেরী করে ঘুমায়। তাই সকালে দেরী করে ঘুম থেকে উঠে।
৩. বুদ্বিমান লোকেরা অগোছালো হয়ঃ বুদ্বিমান লোকরা যেসব জিনিস নিয়ে কাজ করে যেমন: বই, খাতা, কলম, ল্যপটপ ইত্যাদিকে ঘুচিয়ে রাখতে পারে না। সব এলোমেলোভাবে পড়ে থাকে। মিনাসেটা ইউনিভার্সিটির ক্যাথলিন বোস বলেন, তুমি যতটা অগোছালো ঠিক ততটাই বুদ্বিমান। তিনি পিংপং বল নিয়ে একটি পরীক্ষা করিয়েছিলেন। তাতে দেখা গেল খুব অগোছালো পরিবেশে যারা কাজ করেছিলেন তারাই সবচেয়ে মজার সৃজনমূলক ধারণা নিয়ে কাজ করেছিলেন। তাই আপনার অগোছালো টেবিল দেখে দীর্ঘ নি:শ্বাস ফেলার আগে নিজের বুদ্বিমত্তাকে বেশি নম্বর দিয়ে দিন।
৪.বুদ্বিমান লোকেরা নিজের সাথে কথা বলেঃ এই লক্ষনটি আপনার মধ্যে থাকলে নিজেকে পাগল মনে করার কোনো দারকার নেই। কারন বুদ্বিমান লোকেরা নিজের সাথে জোরে জোরে কথা বালে।গঙ্গোরী ইউনিভার্সিটির মনোস্তত্ত্ববিদ পালোরী মেরিপেফা ও আলেকজন্ডার গিরখান একটি স্ট্যাডিতে দেখিয়েছেন যে জোরে জোরে নিজের সঙ্গে কথা বললে আত্মসংযম বাড়ে। এবং এটি বুদ্বিমত্তার একটি গুরূত্বপূণ লক্ষণ। জোরে জোরে কথা বলাটা নিজের ওপর নিয়ন্ত্রন বাড়ায়। যার ফলে নামকরা পেশাদার খেলোয়াররা খেলার সময় জোরে জোরে কথা বলেন।
৫. একাকিত্বঃ বুদ্ধিমান লোকেরা নিজেকে নিয়ে থাকতেই ভালোবাসে। যদি আপনি পছন্দ করেন নিজেই নিজের সঙ্গী আর না চান সবসময় লোকেরা আপনার চারপাশে ঘিরে থাকুক তাহলে আপনি নিঃসন্দেহে বুদ্ধিমান ব্যক্তি। এই পর্যবেক্ষনে জানা যায়, একা একা থাকা আর বুদ্ধিমত্তার সাথে গভীর সম্পর্ক আছে। একা থাকলে চিন্তা করতে, কাজের পরিকল্পনা করতে সুবিধা হয়। যেটা বুদ্ধিমান লোকেরা চায়। এরা বেশি সামাজিকতা পছন্দ করে না। কারন এতে তাদের সন্তষ্টি আসে না। তাই বন্ধুদের ক্ষেত্রে সময় কাটানোর হার কমে আসে। বুদ্ধিমান লোকের ক্ষেত্রে।
হিসেবটা আপনার কাছে একটু শক্ত মনে হতে পারে যে এটা তো অপ্রত্যাশিত। কিন্ত হ্যা এটাই সত্য। তাই মন খারাপ করার কোনো কারন নেই। আজ জানলেন যে আপনি এতদিন বুদ্ধিমান ছিলেন এবং এখনও আছেন।