বর্তমান পৃথিবীতে অর্ধেকের বেশি মানুষ ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত আছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর ফলে ইন্টারনেট কে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিশাল মার্কেটপ্লেস। আমরা সবাই চাই নিজের পণ্য,প্রতিষ্ঠান সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠুক আর এর জন্য দরকার হয় সঠিক প্রচারণা। নিজের পণ্য বা নিজের ব্রান্ডকে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করে পরিচিতি বা বিক্রি বাড়ানোর জন্য আমরা যেসব উপায় ব্যবহার করি সেটাই ডিজিটাল মার্কেটিং। এখানে ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে নিজের পণ্য বা ব্রান্ডের পরিচিতি বাড়ানো যায় এবং কম টাকাতে হয়ে যায়। আপনার লক্ষ লক্ষ গ্রাহক তৈরি হতে পারে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনাকে কোথাও যেতে হবে না শুধু ইন্টারনেটের মাধ্যমে সব কাজ করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যম
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক গুলো মাধ্যম রয়েছে। যেসব মাধ্যম ব্যবহার করে আমরা আমাদের পণ্যের ব্যাপক প্রসার করতে পারি তা হলো:
• Search Engine Optimization (SEO)
• Website Marketing
• Content Marketing
• Social Media Marketing
• E-mail Marketing
• Affiliate Marketing
• Video Marketing
Search Engine Optimization (SEO)
নিজের পণ্য বা ব্রান্ডকে অন্যের কাছে প্রচারের অন্যতম সেরা উপায় হলো SEO।এর মাধ্যমে আপনাদের পণ্য বা প্রতিষ্ঠানকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে নিয়ে আসা হয় অথবা আপনার কোন কিওয়ার্ডকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে নিয়ে আসা হয়।
ধরুন আপনি Google এ কোন কিছু সার্চ করলেন যা লিখে সার্চ করলেন সেটিকে বলা হয় কিওয়ার্ড আর সার্চ করার পর যে পেজ পাওয়া যায় তা হলো সার্চ পেজ। কোন পণ্য বা আপনার দেওয়া সেবা সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে নিয়ে আসার জন্য SEO করতে হয়। সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে থাকলে বেশি ভিজিটর পাওয়া যায় আর বেশি ভিজিটর মানে বেশি পরিচিতি।
Website Marketing
বর্তমানে প্রতিদিন নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। এগুলো বিভিন্ন কারণে তৈরি করা হচ্ছে। কেউ নিজের ব্যবসার জন্য তৈরি করছে আবার কেউ পরিচিতি বাড়ানোর জন্য তৈরি করছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এ ওয়েবসাইট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্যের ব্যাপক প্রচারণা চালাতে পারবেন। ই- কমার্স ব্যবসা করার জন্য ওয়েবসাইট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি Affiliate Marketing করি সেক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইটের দরকার হয়। ওয়েবসাইট ব্রান্ডিং এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। ওয়েবসাইট তৈরি করার পর অবশ্যই SEO করতে হবে কারণ এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে দেখাবে।
Content Marketing
ডিজিটাল মার্কেটিং এ কন্টেন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যার যতো ভালো কন্টেন্ট থাকবে সে ততো বেশ এগিয়ে থাকবে। কন্টেন্ট আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বর্ণনা করবে। আপনার কন্টেন্ট গুলোকে সবসময় আপডেট রাখতে হবে। আপনি নিজে না লিখতে পারলে এমন একজনকে দিয়ে লেখাতে হবে যে আপনার জন্য ভালো কন্টেন্ট তৈরি করে দিতে পারে কারণ কন্টেন্ট আপনার মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অনেক সহায়তা করবে। কাস্টমার কোন কিছু কেনার আগে পণ্য সম্পর্কে জানতে চায় সেক্ষেত্রে কন্টেন্ট আপনাকে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করবে। কন্টেন্ট আপনার ক্রেতাকে আপনার পণ্য কিনতে আগ্রহী করে তুলবে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এ কন্টেন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।
Social Media Marketing
Facebook, Twitter, Instagram সহ অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কে এ নিজের পণ্য, ব্রান্ড প্রমোট করাকে Social Media Marketing বলে। এখানে অনেক গ্রাহক পাওয়া যায় কারণ পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। আর তাদের কাছে নিজের পণ্যকে ভালো ভাবে তুলে ধরতে পারলে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া যায়।
E-mail Marketing
এখানে নিজের পণ্য বা ব্রান্ড সম্পর্কে Message আকারে লিখে একটি E-mail এর মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষকে পাঠানো হয়। এর জন্য প্রচুর E-mail সংগ্রহ করে রাখতে হয়। এর মাধ্যমে নিয়মিত কাস্টমার তৈরি করা সম্ভব। যারা আপনার পণ্য একাধিক বার কিনতে পারে। এর জন্য আপনার কিছু Software প্রয়োজন হতে পারে।
Affiliate Marketing
Affiliate Marketing হলো আপনি যদি কোন কোম্পানির পণ্য অন্য কারও কাছে Sell বা বিক্রি করে দিতে পারেন তাহলে ই কোম্পানি আপনাকে কমিশন প্রদান করবে আর এটাই হচ্ছে Affiliate Marketing । এতে আপনার নিজের কোন পন্য থাকবে না মানে অন্যের পণ্য মার্কেটিং করে বিক্রি করার মাধ্যমে কমিশন লাভ করা।
Video Marketing
বর্তমানে ভিডিও মার্কেটিং অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ভিডিও মার্কেটিং এর অন্যতম সেরা প্লাটফর্ম হলো YouTube। আপনার পণ্য নিয়ে ভিডিও তৈরি করে তা আপনি YouTube এ প্রচার করতে পারেন এতে আপনার বিক্রি যেমন বাড়বে আপনার পণ্যের পরিচিতি তেমন বাড়বে।
ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে ক্যারিয়ার