আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি। তো আজকে আমি আপনাদের সাথে একদম ভিন্ন ধরণের একটি টপিক নয়ে কথা বলব। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপনার নগদ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয় কি?
নগদ কি?
নগদ হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং আ্যপগুলোর মধ্যে একটি। এটি ২০১৮ সালের ২৮ শে সেপ্টেম্বর গুগল প্লে স্টোরে রিলিজ করা হয়। বর্তমানে গুগল প্লে স্টোরে এর ১০ মিলিয়ন বা ১ কোটিরও বেশি ডাউনলোড রয়েছে। বাংলাদেশ পোস্ট অফিস বর্তমানে নগদ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি বিকাশের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ব্যাংকিং আ্যপ।
আমরা প্রায়ই বিভিন্ন সময় শুনতে পারি যে নগদ বা বিকাশ বা এইসব মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট হ্যাক হয় কিংবা হ্যাক হওয়ার প্রচেষ্টা হয়। এখন এই হ্যাক এড়াতে করণীয় কি? নিচে আমি তা বলতে যাচ্ছিঃ
নগদ একাউন্ট হ্যাক হওয়ার আগে করণীয়
১. কোনো ব্যক্তি যদি ফোন দিয়ে আপনাকে বলে সে নগদের একজন চাকরিজীবী তাহলে সাথে সাথে ফোন কেটে দিন এবং নাম্বার ব্লক দিলে সবচেয়ে ভালো হয়।
২. কোনো ব্যক্তি ফোন দিনে সে যদি আপনার কাছে আপনার নগদ একাউন্টের ভেরিফিকেশন কোড কিংবা পাসওয়ার্ড চায়, কথা না বাড়িয়ে সাথে সাথে ফোন কেটে দেন ও পারলে ব্লক করে দিন। কারণ নগদ কখনো আপনার ব্যক্তিগত তথ্য জিজ্ঞাসা করে না।
৩. কোনো ব্যক্তি যদি ফোন দিয়ে বলে যে আপনি কোনো লটারি জিতেছেন এরকম কোনো লোভ দেখায় কিংবা আপনাকে হুমকি দেয় যে আপনি পাসওয়ার্ড না দিলে একাউন্ট লক করে দিবে তাহলে ফোন কেটে নগদের ফোন নাম্বারে ( ১৬১৬৭) ফোন দিয়ে জানিয়ে দিন।
৪. কারো সাথে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন পাসওয়ার্ড কিংবা ভেরিফিকেশন কোন শেয়ার করবেন সে যতই পরিচিত হোক কিংব আত্মীয়ই হোক না কেন।
নগদ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয়:
এই ব্যাপারগুলো মাথায় রাখলে আপনার নগদ একাউন্ট হ্যাক হওয়ার সম্ভবনা কম হবে।
কিন্তু ধরেন আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য একজনকে দিয়ে দিয়েছেন। এখন কি করবেন? তা আমি নিচে বলছিঃ
আপনি যদি কাউকে আপনার ব্যক্তিগত গোপন তথ্য জানিয়ে দিন বা দেখেন যে আপনি আপনার একাউন্টে ঢুকতে পারছেন না সেই মুহূর্তেই নগদের হেল্পলাইন নাম্বারে (১৬১৬৭) বা (০৯৬০৯৬১৬১৬৭) ফোন দিতে জানান যে আপনি আপনার একাউন্টে ঢুকতে পারছেন কিংবা আপনার একাউন্টে টাকা নেই।
আপনি এই কথা জানালে নগদ আপনার অভিযোগ গ্রহণ করবে এবং আপনি যদি সঠিক প্রমাণ দিয়ে পারেন যে একাউন্টটি আপনার তাহলে আপনার যে একাউন্টটি হ্যাক হয়েছে সেটি লক করে দিবে। কিংবা হ্যাকার অন্য একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিলে সে একাউন্টে ব্যালেন্স লক করে দিবে যাতে সে ব্যক্তি টাকা আর তুলতে পারে না।
উল্লেখ্য যে সর্বদা যত দ্রুত সম্ভব নগদকে একাউন্ট হ্যাক হওয়া সম্পর্কে জানান। যত দ্রুত বলবেন তত একাউন্ট বা টাকা রক্ষা করার সুযোগ বেশি। ধরেন একাউন্ট দিয়ে টাকা যাওয়ার ২-৩ ঘণ্টা পর জানালেন তাহলে হতে পারে হ্যাকার টাকা অন্য একাউন্টে ট্রান্সফার করে ক্যাশ আউট করে নিয়ে নিল। তখন আপনার আর কিছু করার থাকবে না।
নগদ একাউন্ট ব্যবহারের সময় সব সময়ে সাবধান থাকবেন। শুধু যে নগদ একাউন্ট তা কিন্তু নয় যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং আ্যপ ব্যবহারে সাবধান হবেন। আর একাউন্ট হ্যাক হলে যত দ্রুত সম্ভব নগদের ফোন নাম্বারে জানিয়ে দিন।
তো আজকের জন্য এতটুকুই। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আবার কয়েকদিন পর আপনাদের সামনে নতুন কোনো টপিক নিয়ে হাজির হব। ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সেই কামনায় আজকের জন্য বিদায় জানাচ্ছি। গ্রাথোরের সঙ্গেই থাকুন।